মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | ধাতুর সাধারণ বৈশিষ্ট্য | বেরিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?

আমাদের চারপাশে অনেক রকম ধাতু আছে, যেগুলো আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি — কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছো, এদের মধ্যে কিছু ধাতু কেন বিশেষ নাম পায় যেমন “মৃৎক্ষার ধাতু”? 🤔 স্কুলের বইতে পড়লে হয়তো একটু কঠিন লাগে, কিন্তু আজকের এই পোস্টে তুমি একদম সহজ ভাষায় জানতে পারবে এর মজার কারণ ও ব্যাখ্যা। তাই পোস্টটা শেষ পর্যন্ত পড়ো, কারণ শেষে এমন কিছু জানবে যা তোমাকে পরীক্ষায় যেমন সাহায্য করবে, তেমনি বোঝাতেও আনন্দ লাগবে! 🌱

মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে?(সহজ সংজ্ঞা)

মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে?

যে সকল ধাতু মাটিতে বিভিন্ন যৌগ হিসেবে পাওয়া যায় এবং যারা বিক্রিয়ায় ক্ষার তৈরি করে, তাদেরকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়। সাধারণভাবে, পর্যায় সারণির ২ নং গ্রুপের মৌলসমূহ মৃৎক্ষার ধাতু হিসেবে পরিচিত।

ধাতু কী?

যে সকল পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ১, ২, অথবা ৩টি ইলেকট্রন থাকে, তাদেরকে ধাতু বলা হয়। ধাতু এমন এক ধরনের মৌল যা সহজে বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবহন করতে পারে এবং সাধারণত চকচকে ও শক্ত প্রকৃতির হয়।

ধাতুর সাধারণ বৈশিষ্ট্য

ধাতুর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে, যা দেখে সহজেই বোঝা যায় কোনো পদার্থ ধাতু নাকি অধাতু। নিচে ধাতুর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো:

  • ধাতু দেখতে চকচকে হয়।
  • ধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝনে শব্দ হয়।
  • ধাতু বিদ্যুৎ পরিবহন করে।
  • ধাতু তাপ পরিবহন করে।

আমাদের আশেপাশের ধাতু

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরণের ধাতু দেখা যায়। যেমন: লোহা, তামা, দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি। এই ধাতুগুলো আমাদের জীবনের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়।

ক্ষারধাতু ও মৃৎক্ষার ধাতুর পার্থক্য

পর্যায় সারণির ১ নং গ্রুপের মৌলসমূহকে বলা হয় ক্ষারধাতু। আর ২ নং গ্রুপের মৌলসমূহকে বলা হয় মৃৎক্ষার ধাতু। এদের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যে কিছু মিল থাকলেও তাদের ক্রিয়াশীলতার পার্থক্য রয়েছে।

বেরিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?

যে সকল ধাতু মাটিতে যৌগ আকারে পাওয়া যায় এবং পানির সাথে বিক্রিয়া করে ক্ষার তৈরি করে, তাদেরকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়। এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই পর্যায় সারণির গ্রুপ-২ এর মৌলগুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।

বেরিয়াম পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপে অবস্থিত একটি মৌল। এটি মূলত মাটিতে পাওয়া যায় এবং পানির সাথে বিক্রিয়া করে বেরিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Ba(OH)₂] নামের একটি ক্ষার তৈরি করে।

এই কারণেই বেরিয়ামকে একটি মৃৎক্ষার ধাতু হিসেবে ধরা হয়।

p>তাহলে দেখা গেল, “মৃৎক্ষার ধাতু” বিষয়টা যতটা কঠিন মনে হয়, আসলে ঠিক ততটাই সহজ ও বোঝার মতো। তুমি যদি মনোযোগ দিয়ে পুরোটা পড়ে থাকো, এখন নিশ্চয়ই ধারণা পেয়েছো এই ধাতুগুলোর বিশেষত্ব কোথায়। ✨ বিজ্ঞান শেখা আরও মজার করতে চাইলে StudyTika.com-এ ভিজিট করো — এখানে তুমি আরও অনেক সহজভাবে লেখা শিক্ষামূলক পোস্ট পাবে যা পড়ে পড়াশোনা হবে আনন্দের! 📚💫

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.