করমর্দন ও আলিঙ্গনের সুন্নাত ও নিয়মাবলী

করমর্দন ও আলিঙ্গনের সুন্নাত ও নিয়মাবলী: হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা এই সুন্দরতম বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো, যা আপনাদের সবার জানা দরকার। আপনি যদি এই বিষয়টি না জানেন তাহলে আপনার জীবন স্বার্থক হবে না। এই জন্য এই পোস্টটি সম্পর্ণ পড়ুন।


করমর্দন ও আলিঙ্গনের সুন্নাত ও নিয়মাবলী

করমর্দন ও আলিঙ্গনের সুন্নাত ও নিয়মাবলী

করমর্দন ও আলিঙ্গনের সুন্নাত- যখন দু’জন ইসলামী ভাই পরস্পর মিলিত হয় তবে প্রথমে সালাম করবেন। তারপর উভয়ে হাত মিলাবেন। এটা হচ্ছে সুন্নাত। আর সাহাবা-ই-কেরাম সাক্ষাতের সময় এমনি করতেন। হাত মিলানাে সুন্নাত। হযরত আবুল খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)’র দরবারে আরয করলাম,“হুযূর নবী করীম (সাল্লাল্লাহু

তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মানিত সাহাবীদের মধ্যে কি হাত মিলানাের প্রচলন ছিলাে?” তিনি বললেন, হাঁ।” (বােখারী) সর্বপ্রথম ইয়েমেনী ইসলামী ভাইয়েরা সরকারে পুর-ওয়াকৃার (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে করমর্দন করার সৌভাগ্য হাসিল করেছেন। সুতরাং করমর্দনের সূচনা।

হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বলেছেন, “যখন ইয়েমেনবাসীগণ মাদানী সরকার (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম)-এর বরকতময় দরবারে আসলেন, তখন হুযূর নবী করীম, রাউফুর রাহীম (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) এরশাদ ফরমালেন,“তােমাদের নিকট ইয়েমেন বাসীগণ এসেছে। আর তারা হলাে এমন লােক, যারা সর্বপ্রথম করমর্দন করেছে।” (আবু দাউদ শরীফ) পরস্পর করমর্দন করলে শক্রতা দূর হয়ে যায়। একে অপরকে তােহফা- উপঢৌকন দিলে ভালবাসা বাড়ে। সুতরাং- হাদিয়া দাও, ভালবাসা বাড়বে।

হযরত আতা খােরাসানী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত, হুযূর নবী করীম (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন, “একে অপরের সাথে করমর্দন করাে। এর ফলে হিংসা-বিদ্বেষ দূর হতে থাকে। হাদিয়া-উপঢৌকন প্রেরণ করাে, পরস্পর ভালবাসা পয়দা হবে, শক্রতা দূর হতে থাকবে” (মিশকাত) হযরত আনাস করমর্দন করলে মাগফিরাত হয়ে যায়।

(রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত, যখন দু’জন মুসলমান সাক্ষাত করলাে, একে অপরের হাত ধরে নিলাে, (অর্থাৎ হাত মিলালাে) তখন এটা আল্লাহ তা’আলা তাঁর বদান্যতার দায়িত্বে অপরিহার্য করে নিলেন যে, তাদের দো’আকে হাযির করে দেবেন, (অর্থাৎ কবুল করে নেবেন) আর উভয়ের হাত পরস্পর পৃথক হতেই তাদের মাগফিরাত হয়ে যাবে।

আশা করি আপনাদের এই “করমর্দন ও আলিঙ্গনের সুন্নাত ও নিয়মাবলী” বিষয়টি বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি। যদি কোনো বিষয় না বোঝেন তাহলে আমাদের ফেসবুক পেইজ এ নক দিতে পারেন।

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.