হিমু – হুমায়ূন আহমেদ PDF Download *Free*

“হিমু – হুমায়ূন আহমেদ” PDF Download: আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা/ভাইয়েরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমি জানি আপনারা বই পড়তে পছন্দ করেন, এই জন্যই আজকে আপনি এই “হিমু – হুমায়ূন আহমেদ” পোস্টটিতে চলে এসেছেন।

বই মানুষের জীবনে জন্য অসীম গুরুত্বপূর্ণ। বই ছাড়া মানুষ তার জীবনকে উপভোগ করতে পারবে না। বই পড়ার মাধ্যমে জীবনের গভীরতম অনুভবকে প্রকাশ করার পদ্ধতি পাওয়া যায়। সেই বই গুলির মধ্যে “হিমু – হুমায়ূন আহমেদ” বইটি অনেক ভূমিকা রাখে। এটি জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত।

হিমু – হুমায়ূন আহমেদ PDF Download [Easy Download]

“হিমু – হুমায়ূন আহমেদ” বইটি ডাউনলোড করতে চাইলে নিচে থাকা বাটনে চাপ দিন। এরপর নিদের্শনা অনুযায়ী ডাউনলোড করোন। কোনো রকম সমস্যা হলে আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ নক দিন। আমাদের  ফেইসবুক পেইজ এর লিংক, এখানে চাপ দিন ‍StudyTika FaceBook Page। অথবা এই পেইজ থেকে সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে নিন Solution Page

     

আশা করি আপনারা ডাউনলোড করতে পেরেছেন। এই pdf টি ডাউনলোড করতে যদি কোথাও সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেলে কমেন্ট করবেন।

হিমু – হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের সকল বিবরণ 

প্রসঙ্গ হিমু
……………………………………………
হিমু আমার প্রিয় চরিত্রের একটি। যখন হিমুকে নিয়ে কিছু লিখি -নিজেকেই হিমু মনে হয়, এক ধরনের ঘোর অনুভব করি। এই ব্যাপারটা অন্য কোনো লেখার সময় তেমন করে ঘটে না। হিমুকে নিয়ে আমার প্রথম লেখা ময়ূরাক্ষি। ময়ূরাক্ষি লেখার সময় ব্যাপারটা প্রখম লক্ষ্য করি। দ্বিতীয়বার লিখলাম দরজার ওপাশে । তখনো একই ব্যাপার। কেন এরকম হয়? মানুষ হিসেবে আমি যুক্তিবাদী। হিমুর যুক্তিহীন, রহস্যময় জগৎ একজন যুক্তিবাদীকে কেন আকর্ষণ করবে? আমার জানা নেই। যদি কখনো জানতে পারি-পাঠকদের জানাবো।
হুমায়ুন আহমেদ
এলিফ্যান্ট রোড

রিভিও
হুমায়ূন আহমেদ পড়েছেন আর হিমু পড়েননি এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে না । কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিকের কোন সৃষ্টিকে যদি একক ভাবে মনে রাখতে হয় তবে সেটা হিমু । হৃদয়গ্রাহী হিমুকে কোনভাবেই উপেক্ষা করার সুযোগ নেই । গল্পের জাদুকর তাঁর জাদুকরী ছোঁয়ার ষোল আনা ঢেলে দিয়ে ‘হিমু’ লিখেছেন ।
হিমু কে ? কী তার ক্ষমতা ? আদৌ কি বাস্তবে কোন হিমু আছে ? নাকি লেখকের খেয়ালী মনের কল্পনা ? হিমু, রহস্য মানব । যে কিনা লজিকের ধার ধারে না । যাকে নিয়ে তার চারপাশের মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয় । কারো কাছে হিমু অতিন্দ্রীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি , মহাপুরুষ কিংবা সাধু সন্ন্যাসী গোত্রীয় যার প্রতিটি ভবিষ্যৎবাণী বাস্তবে রূপ নেয় । আবার কারো কাছে হিমু হল বাউন্ডুলে এক স্বত্তা । যার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নেই । চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলাই যার কাজ । কেউ হিমুকে খুব বেশী ভালোবাসে , অন্ধের মত ভক্তি করে আবার কারো কাছে হিমু বিরক্তিকর প্রাণি বিশেষ । হিমু এমন এক স্বত্তা যে একই সঙ্গে চেনা আবার একেবারেই অচেনা । যে কখনই সত্য কথা বলে না আবার মিথ্যা কথা বলে না । প্রচন্ড ভালোবাসা উপেক্ষা করার মত ঐশ্বরিক ক্ষমতা যার আছে । যে তার বাবার স্বপ্ন অর্থাৎ সন্তানকে মহাপুরুষ বানানোর চেষ্টা পুরোপরি ব্যর্থ করেনি আবার সফলও করেনি । মানুষের উপকার করেই যে সটকে পড়ে , ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগটা যে দেয় না । একেকজনের কাছে হিমু একেক রকম । আমার কাছে হিমু এমন এক রহস্যমানব যার চারপাশের রহস্যের জাল গুটিয়ে ফেলা যাবে না ।
যেখানে হিমুর স্রষ্টা হিমুর যুক্তিহীন রহস্যময় জগতকে নিজেই উন্মোচন করতে পারেন নি ,সেখানে আমার মত ক্ষুদ্র পাঠক কীভাবে পারবে ? কিছু চরিত্র থাক না রহস্যের আড়ালে , ক্ষতি কী ?
  • বই-হিমু
  • লেখক-হুমায়ূন আহমেদ
  • ধরন-উপন্যাস
  • পৃষ্ঠা-৭৪
  • মূল্য-১২০
  • প্রতীক প্রকাশনা

কি নাম বললেন আপনার, হিমু?
জ্বি হিমু
হিম থেকে হিমু
জ্বি না হিমালয় থেকে হিমু। আমার ভাল নাম হিমালয়।

বাংলাসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ । আর তার তৈরি অন্যতম একটা চরিত্র হলো হিমু। হিমু এক রহস্য মানব। যাকে পাঠকের পক্ষে কখনো উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। ময়ূরাক্ষীর মধ্য দিয়ে লেখক হিমু কে আমাদের মাঝে এনেছিলেন। যে পুরো মিসির আলীর উল্টো। কোন যুক্তির ধার ধারে না । সে নিজের খেয়াল মতো অবস্থান করে। নিজের খুশিতে ঘোরাফেরা করে। নিজের মতোই তার পথ চলা। যেখানে কোন সঙ্গী কে প্রয়োজনবোধ করে না। আমরা হুমায়ূন ভক্ত রা ইচ্ছা করেই তার পথের সঙ্গী হতে চাই। কেন না তাতে আমাদের ভালো লাগে।তার একটু খানি প্রশ্রয়ে নিজেদেরকে আমরা খুব সৌভাগ্যবান মনে করি।

উপন্যাসের প্রথম দিকে তাকে এষা নামে একটি মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। হিমুর ভাষায়, সে তাদের কোন একটা সাহায্য করায়, তারা ঠিক এর প্রতিদান না দিতে পেরে কিছু টা সংকোচ বোধ করছে। কি সেই উপকার পাঠক না হয় বইয়ের পাতায় দেখবেন। তাকে প্রশ্ন করা হলো, তার কাজ কি? হিমু খুব সাবলীল ভাবে উত্তর দিলো, সে একজন পরিব্রাজক। হাটা তার কাজ। উত্তর শুনে এষার কপালে ভাজ পড়লো।

বসার ঘরে বসে কিছু একটা ভেবে বের করে ফেলল, বাড়িতে চা পাতা নেই। আর তাই সে এষা কে প্রশ্ন করলো।কথা শুনে এষার কপালের ভাজ বিস্তৃত হলো। হিমু বসে বসে ঘরের চিত্র গুলো পুরো তার চোখে ভাসাতে থাকলো। এষা পড়াতে যেতে চাইলেও সে বসে থাকল। এষা তখন টিভি ছেড়ে দিলো। কিন্তু টিভিতে কিছু আসছিলো না। তবুও হিমু খুব আগ্রহ নিয়ে টিভি দেখতে থাকলো।

যাই হউক অনেকের কাছে হিমু ক্ষমতাধর ব্যক্তি , মহাপুরুষ কিংবা সাধু সন্ন্যাসী টাইপের যারা ভবিষ্যৎবাণী করতে পারে। ।কিন্তু কারো কাছে হিমু একে বারে বাউন্ডুলে ফালতু টাইপ । হিমুর সব থেকে প্রিয় কাজ চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্তিত করা।

উপন্যাসে অনেক চরিত্র তাকে খুব বেশী ভালোবাসে এমনকি ভক্তি করে অন্ধের মতো।তার মধ্যে ইয়াদ একজন। আবার কারো কাছে হিমু বিরক্তিকর একটা জিনিস। তেমন একজন হলেন নীতু। এমন কি আমার আম্মুর কাছেও। মেয়ের বই গুলো তো দেখতে পারেই না। সেই সাথে লেখক এবং চরিত্র গুলোরও গুষ্ঠী উদ্ধার করতে মহিলা এক পায়ে খাড়া।

হিমু চরিত্র টা ঘোলা। তাকে কখনো বুঝা যায়, আবার কখনো আয়ত্বের একেবারে বাইরে থাকে । তাকে বিশ্বাস করলেও ঠকতে হয় আবার অবিশ্বাস করেও পারা যায় না। তার কথা গুলো মূলত সত্যও না আবার মিথ্যাও না। তার একটা অমানুষিক গুন হলো মানুষের প্রচন্ড ভালোবাসা উপেক্ষা করা।যা সাধারন মানুষের মাঝে নেই। এদিক থেকে বলতে গেলে মহাপুরুষ পর্যায়ে। তার বাবার স্বপ্ন ছিলো তাকে মহাপুরুষ বানানো। তার জন্য জন্মের পর থেকে তিনি বহুৎ চেষ্টা করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে হিমু একেবারে মহাপুরুষ এর কাছাকাছি। এবং সে দিক দিয়ে তার বাবার ইচ্ছা পুরোপরি ব্যর্থ হয়নি। কিন্তু আবার সফলও হয়নি।

সকল পাঠকের কাছে হিমু এক রহস্যময় চরিত্র। যা কোন ভেদ করা সম্ভব নয়। সে চলবে তার আপন গতিতে।

হুমায়ুন আজাদ জীবনী

হুমায়ুন আজাদ একজন বাংলাদেশি কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকার, কিশোরসাহিত্যিক, গবেষক, এবং অধ্যাপক ছিলেন।হুমায়ুন আজাদ ২৮ এপ্রিল ১৯৪৭ সালে তার মাতামহের বাড়ি, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে বাংলাদেশ) অধীন বিক্রমপুরের কামারগাঁয় জন্ম নেন; যেটি বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার অন্তর্গত। 

তার জন্ম নাম ছিল হুমায়ুন কবীর। ১৯৮৮ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর নাম পরিবর্তনের মাধ্যম তিনি বর্তমান নাম ধারণ করেন। তার বাবা আবদুর রাশেদ প্রথম জীবনে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও পোস্টমাস্টার পদে চাকরি করতেন,পরে ব্যবসায়ী হন। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে তার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। মা জোবেদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী, যিনি ২০০৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। 

তিন ভাই এবং দুই বোনের মধ্যে আজাদ ছিলেন পিতামাতার দ্বিতীয় পুত্রসন্তান। ছেলেবেলায় তার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি রাড়িখাল গ্রামে বেড়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তার বিভিন্ন লেখায় বিভিন্ন ভাবে রাড়িখাল গ্রামের বর্ণনা উঠে এসেছে এবং এ গ্রাম নিয়ে তিনি "রাড়িখাল : ঘুমের ভেতরে নিবিড় শ্রাবণধারা" নামে একটি লেখা প্রকাশ করেন। আজাদের মতে তার শৈশব ও কৈশোর ছিল তার জীবনের শ্রেষ্ঠ খণ্ড, যে সময়ের কথা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তার ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না (১৯৮৫), নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু (২০০০), শ্রাবণের বৃষ্টিতে রক্তজবা (২০০২) এবং বিভিন্ন লেখায় উঠে এসেছে। 

তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক লেখক যিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কারবিরোধিতা, যৌনতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে তার বক্তব্যের জন্য ১৯৮০-এর দশক থেকে পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। হুমায়ুন আজাদের ৭টি কাব্যগ্রন্থ, ১২টি উপন্যাস ও ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৭টি ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক, ৮টি কিশোরসাহিত্য ও অন্যান্য প্রবন্ধসংকলন মিলিয়ে ৬০টিরও অধিক গ্রন্থ তার জীবদ্দশায় এবং মৃত্যু পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ সালে তার নারীবাদী গবেষণা-সংকলনমূলক গ্রন্থ নারী প্রকাশের পর বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সাড়ে চার বছর ধরে বইটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ছিল। 

এটি তার বহুল আলোচিত গবেষণামূলক কাজ হিসাবেও স্বীকৃত। এছাড়াও তার পাক সার জমিন সাদ বাদ উপন্যাসটি পাঠকমহলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। তার রচিত প্রবচন সংকলন ১৯৯২ সালে হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ নামে প্রকাশিত হয়। তাকে ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১২ সালে সামগ্রিক সাহিত্যকর্ম এবং ভাষাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়। ২০০৩ সালে তার রচিত কিশোরসাহিত্য ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না (১৯৮৫) এবং আব্বুকে মনে পড়ে (১৯৯২) জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়েছিলো।

১৯৫২ সালে আজাদ দক্ষিণ রাড়িখাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইনফ্যান্ট (প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা) শ্রেণীতে ভর্তি হন, সেখানে তিনি ইনফ্যান্ট থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত মোট চার বছর অধ্যয়ন করেন। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার জন্য তিনি স্যার জে সি বোস ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী। এ বিদ্যালয় থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

হুমায়ুন আজাদ উচ্চশিক্ষা                

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হুমায়ুন আজাদ (মাঝে) ১৯৬২ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য আজাদ ঢাকায় চলে আসেন। মানবিক বিভাগে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও বাবার ইচ্ছায় ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি ঢাকা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হন। 

১৯৬৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬৮ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। হুমায়ুন আজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালীন সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রাবাসে থাকতেন।

কর্মজীবন:
  • হুমায়ুন আজাদ
চট্টগ্রাম কলেজ
প্রভাষক
কাজের মেয়াদ
১৯৬৯ – ১৯৬৯
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রভাষক
কাজের মেয়াদ
১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ – ১৯৭০
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রভাষক
কাজের মেয়াদ
১২ ডিসেম্বর ১৯৭০ – ১৯৭৬
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রভাষক
কাজের মেয়াদ
১ নভেম্বর ১৯৭৮ – ১৯৮৬
অধ্যাপক
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬ – ২০০৪

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ২২ বছর বয়সে তার কর্মজীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক হিসাবে। সেখানে কিছুকাল কর্মরত থাকার পর ১৯৭০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। একই বছর ১২ ডিসেম্বর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। 

১৯৭৩ সালে তার প্রথম গবেষণা গ্রন্থ রবীন্দ্রপ্রবন্ধ: রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা এবং একইবছর সেপ্টেম্বরে কাব্যগ্রন্থ অলৌকিক ইস্টিমার প্রকাশিত হয়। সে বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে ভাষাবিজ্ঞান পড়তে স্কটল্যান্ডে চলে যান। ১৯৭৬ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল বাংলা ভাষায় সর্বনামীয়করণ। 

এই গবেষণাপত্র ১৯৮৩ সালে প্রোনোমিনালাইজেশন ইন বেঙ্গলি নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হয়। এডিনবরায় গবেষণাকালীন সময়ে তিনি রবার্ট ক্যাল্ডরের সহযোগিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ এবং নিজের কিছু কবিতা অনুবাদ করেছিলেন, যেগুলি "লিডস বিশ্ববিদ্যালয় জার্নাল" এবং এডিনবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের "চ্যাপম্যান" সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।

হুমায়ুন আজাদ সাহিত্যকর্ম

হুমায়ুন আজাদের গ্রন্থতালিকা:
হুমায়ুন আজাদের কবিতার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার শুরু হয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তবে বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে থাকাকালীন তার "ঘড়ি বলে টিক টিক" শিরোনামে প্রথম লেখা প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিল দৈনিক ইত্তেফাকের শিশুপাতা কচিকাঁচার আসরে। শৈশবে পরবর্তীতে তিনি এই পত্রিকায় একাধিক প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তার প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৭। 

তার প্রকাশিত-অপ্রকাশিত কবিতাসমূহ জীবদ্দশায় হুমায়ুন আজাদের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৯৩) ও কাব্যসংগ্রহ (১৯৯৮) এবং মৃত্যুর পরে কাব্যসমগ্র (২০০৫) বইয়ে প্রকাাশিত হয়। তিনি ১২টি উপন্যাস লিখেছেন। তার উপন্যাসসমূহ উপন্যাসসমগ্র ১ (২০০১), উপন্যাসসমগ্র ২ (২০০২) এবং উপন্যাসসমগ্র ৩ (২০০৩) বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি যাদুকরের মৃত্যু (১৯৯৬) নামে ১টি মৌলিক ছোটগল্পের বই লিখেছেন। এছাড়াও তার ৮টি কিশোরসাহিত্য, এবং ৮টি ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক বই রয়েছে।

হুমায়ুন আজাদ উপন্যাস

হুমায়ুন আজাদের লেখা প্রথম উপন্যাস ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল (১৯৯৪), যেটির প্রেক্ষাপট ছিলো ১৯৮০-এর দশক এবং উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র রাশেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যে বাংলাদেশের সমাজে চলা পরিবর্তন অবলোকন করে। মূলত কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক হলেও হুমায়ূন আজাদ ১৯৯০-এর দশকে ঔপন্যাসিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। 
২০০৪ সালে মৃত্যু অবধি তার প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ছিলো ১২টি।

১৯৯৪ সালে তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন প্রথম উপন্যাস ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল-এর মধ্যে দিয়ে। বাংলাদেশের সামরিক শাসন প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসটি তিনি উৎসর্গ করেছেন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রাশেদকে, তার বাবার নামও ছিলো রাশেদ, তিনি উপন্যাসের উৎসর্গ পাতায় এভাবে লিখেছিলেন,

উৎসর্গ পরলোকগত পিতা, আমি একটি নাম খুঁজছিলাম, আপনার নামটিই-রাশেদ-মনে পড়লো আমার।

১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয় নারী-পুরুষের মধ্যেকার শারীরিক ও হৃদয়সম্পর্কের নানা আবর্তন এবং পরিণতির আখ্যানমূলক উপন্যাস সব কিছু ভেঙে পড়ে। সব কিছু ভেঙে পড়ের পর তিনি মানুষ হিসেবে আমার অপরাধসমূহ উপন্যাস লিখেছিলেন যেটি ছিলো একজন সরকারি কর্মকর্তার তার বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে এবং তিনি এ-উপন্যাসটি বাংলাদেশের খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির উল ইসলামকে উৎসর্গ করে লিখেছিলেন।

১৯৯৯ সালে প্রকাশিত উপন্যাস কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ-এ হুমায়ুন আজাদ হাসান রশিদ নামের একজন কল্পিত বাঙালি কবির একজন বিবাহিত নারীর সাথে বিয়ে ছাড়া একত্রবাসের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।

২০০২ সালে প্রকাশিত ১০,০০০, এবং আরো ১টি ধর্ষণ ছিলো বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজের একটি ধর্ষিত মেয়ের জীবন নিয়ে যে তার ধর্ষণের ফসল বাচ্চাকে হত্যা করে।

২০০৪ সালে প্রকাশিত পাক সার জমিন সাদ বাদ ছিলো ধর্মীয় মৌলবাদ নিয়ে এবং একটি খুনের স্বপ্ন উপন্যাস ছিলো একজন তরুণের অপর একটি তরুণীর জন্য ভালোবাসার কাহিনী নিয়ে। পাক সার জমিন সাদ বাদে তিনি মৌলবাদে দীক্ষিত এক পুরুষকে সবার শেষে প্রেমের কাছে পরাজিত করান। 

দেখান যে কণকলতা নামের তরুণীর জন্য উপন্যাসের প্রধান নায়ক অপরাধ-জগৎ থেকে বেরিয়ে আসে আর একটি খুনের স্বপ্নতে তিনি নায়িকা সুফিয়ার জন্য নায়কের অন্ধ প্রেমকেই করে তুলেছিলেন প্রধান উপজীব্য বিষয় যে নায়ক পরে নায়িকাকেই খুন করার চিন্তা করে। একটি খুনের স্বপ্ন উপন্যাসটি হুমায়ুন আজাদ তার নিজেরই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের (১৯৬৪-১৯৬৮) স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করে লিখেছিলেন।

হুমায়ুন আজাদ ফালি ফালি ক’রে কাটা চাঁদ (২০০১) উপন্যাসে শিরিন নামের এক কল্পিত ব্যক্তিত্ব সম্পন্না নারীর অবতারণা করেছেন এই মনে করে যে মানসিক সম্পর্ক রাখা একটি গভীর আস্থার ব্যাপার। উপন্যাসটি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী নারীবাদের একটি চিত্র তুলে ধরে। শিরিনের স্বামী রয়েছে যার নাম দেলোয়ার কিন্তু সে একদা খালেদ নামের এক পুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় নিজের এক প্রকারের সম্মতিতেই। শিরিন পরে তার স্বামী দেলোয়ারের সঙ্গে বাস করবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয় এবং খালেদ তাকে প্রেম প্রস্তাব দিলে সেটাও প্রত্যাখ্যান করে।

এছাড়াও নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু উপন্যাসটি ছিলো একজন কিশোর-বালকের কাহিনীর ভেতর দিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রচিত উপন্যাস, যেখানে কিশোর-বালকটি গ্রামীণ পরিবেশে বড় হয়। নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু উপন্যাসটিকে তিনি বাংলাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান উপন্যাস মনে করতেন। তুলনা করতে গিয়ে এই উপন্যাসকে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালীর উপন্যাসের তুলনায় অনেক ভালো উপন্যাস বলে মনে করেছিলেন। 

পথের পাঁচালীর অপু চরিত্রের সঙ্গে নিজের জীবনের মধুর জলকদর চরিত্রকে তুলনা করতে গিয়ে জলকদর চরিত্রকেই অনেক বেশি শিল্পোত্তীর্ণ চরিত্র মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেছিলেন যে, জলকদরের ভিতর দিয়ে তিনি নিজের কৈশোরজীবনকে দেখেছিলেন। নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু উপন্যাসটির আগে কিশোরদের জন্য হুমায়ুন আজাদ এর আগে আব্বুকে মনে পড়ে নামে একটি উপন্যাসিকা লিখেছিলেন যেটা ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো এবং আমাদের শহরে একদল দেবদূত নামের আরো একটি কিশোর-উপন্যাসিকা ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

হুমায়ুন আজাদ কবিতা

হুমায়ুন আজাদ কবিতার দ্বারা লেখালেখিতে হাত দিয়েছিলেন, তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তখনই তিনি মূলত কবিতা রচনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন শেষ করার পরেও ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি কবিতা লিখতে থাকেন। ষাটের দশকের পরিব্যাপ্ত হতাশা, দ্রোহ, ঘৃণা, বিবমিষা, প্রেম ইত্যাদি তার কবিতার প্রধান বিষয় ছিলো। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম অলৌকিক ইস্টিমার যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৩-এর জানুয়ারিতে। কাব্যগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন ১৯৬৮-১৯৭২ সালে তার নিজেরই কাটানো রাত-দিনগুলোর উদ্দেশ্যে। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ জ্বলো চিতাবাঘ প্রথম প্রকাশিত হয় মার্চ ১৯৮০ সালে।

১৯৮৫ সালে প্রকাশিত সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, তৃতীয় কাব্যগ্রন্থটি তিনি সমসাময়িক দুই বাংলাদেশী লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং ইমদাদুল হক মিলনকে উৎসর্গ করেছেন। প্রত্যুত্তরে ইমদাদুল হক মিলন তার বনমানুষ উপন্যাসটি হুমায়ুন আজাদকে উৎসর্গ করেন। ১৯৮৭ সালের মার্চে প্রকাশিত হয় তার চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল। তার পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ সালে। এর আট বছর পর ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয় তার ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু। 

কাব্যগ্রন্থটি আজাদ তার 'প্রিয় মৃতদের জন্য' উৎসর্গ করেন। সপ্তম এবং শেষ কাব্যগ্রন্থ পেরোনোর কিছু নেই প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি, ২০০৪ সালে। জীবদ্দশায় তার সাতটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তবে আজাদের মৃত্যুর পর ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ সালে এই সাতটি কাব্যগ্রন্থ সহ আরো কিছু অগ্রন্থিত ও অনূদিত কবিতা নিয়ে কাব্যসমগ্র প্রকাশিত হয়। নব্বইয়ের দশক থেকে ঢাকার আগামী প্রকাশনী তার গ্রন্থাবলীর প্রধান প্রকাশক ছিল।

হুমায়ুন আজাদ গল্প

হুমায়ুন আজাদ সর্বপ্রথম একটি ছোটগল্প লিখেছিলেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে স্কটল্যান্ড থেকে এসে, গল্পটির নাম তিনি দিয়েছিলেন অনবরত তুষারপাত। এই গল্পটি তিনি পরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাতে ১৯৭৯ সালে প্রকাশ করেছিলেন। এই গল্পটি সহ ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত লেখা আরও পাঁচটি গল্প তিনি যাদুকরের মৃত্যু (১৯৯৬) বইতে সংকলিত করেছিলেন। এরপর তিনি শিশুকিশোরদের জন্য আরো তিনটি গল্প লিখেন যেগুলো তিনি কিছু শিশুতোষ কবিতা সহ বুকপকেটে জোনাকি পোকা (১৯৯৩) গ্রন্থে সংকলন করেন। তিনি বইয়ের শুরুর দিকে বলেছিলেন।

কিশোর কিশোরীদের জন্য আমি তিন দশকে লিখেছি কিছু প্রবন্ধ, কয়েকটি কবিতা, তিনটি গল্প। প্রবন্ধগুলো একটু অন্য ধরনের; শব্দ, ভাষা, আর কবিতা সম্পর্কে; তাতে স্বপ্নের কথা আছে বেশি করে। কবিতাগুলোতেও তাই; গল্পগুলোতেও। এগুলোকে এক বইতেই রাখলাম, কেননা এটা স্বপ্নের বই। এগুলোকে গদ্যে লিখেছি বা ছন্দে লিখেছি, তবে এগুলো একই স্বপ্নে লেখা।

হুমায়ুন আজাদ প্রবন্ধ

১৯৭৬ সালে প্রথম প্রকাশিত 'লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী' বইটি ছিলো হুমায়ুন আজাদের দ্বিতীয় প্রবন্ধ, এর আগে তিনি 'রবীন্দ্রপ্রবন্ধ: রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা' (১৯৭৩) নামের একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন।

১৯৯২ সালে প্রকাশিত নারী স্বাধীন বাংলাদেশে নারীবাদ বিষয়ক প্রথম বই। এই প্রবন্ধগ্রন্থের জন্য তিনি তীব্র সমালোচিত হন। ফলে ১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং প্রায় সাড়ে চার বছর পরে ২০০০ সালের ৭ মার্চ উচ্চবিচারালয় বইটির নিষিদ্ধকরণ আদেশ বাতিল করে। 

ফরাসি নারীবাদী দার্শনিক সিমোন দ্যা বোভোয়ারের ১৯৪৯ সালের গ্রন্থ দ্বিতীয় লিঙ্গ হুমায়ুন আজাদ ২০০১ সালে বাংলায় অনুবাদ করেন। সিমোন দ্যা বোভোয়ারের লেখা তাকে নারীবাদের প্রতি অনেক আকৃষ্ট করেছিল।

ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সালে প্রকাশিত আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম গ্রন্থে তিনি তার স্বপ্নের বাংলাদেশের করুণ অবস্থা দেখে ব্যথিত হয়েছিলেন। বইটিতে তিনি বর্ণনা করেছিলেন যে তিনি যেরকম প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তার স্বপ্ন আগেই ভেঙে গেছে, তিনি বাংলাদেশের সমাজের অধঃপতন খুবই আক্ষেপের সঙ্গে প্রকাশ করেছিলেন। তাছাড়া ২০০০ সালে প্রকাশিত মহাবিশ্ব ছিলো একটি বিজ্ঞান-প্রবন্ধ। তার জীবনী জানতে উইকিপিডিয়ায় বিস্তারিত দেখুন।



Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.