আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই বোনেরা আপনি অথবা আপনার আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কেও অসুস্থ হয়েছে, তাই না? আর এজন্য আপনি নানানরকম ঔষধ এর ব্যাপারে জানার চেষ্ট করছেন। তার মধ্যে একটি হলো valium 10। এই মেডিসিন এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো valium 10 এর কাজ কি,valium 10 কিসের ঔষধ,valium 10 এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, valium 10 খাওয়ার নিয়ম,valium 10 এর দাম। আশা করি আপনি এই রিলেটেড সকল তথ্য জানতে পারবেন।
সবার এই বিষয়ে খুব সুন্দর ধারণা ও জ্ঞান থাকা উচিত। তো চলুন পড়ে নেওয়া যাক আজকের এই ঔষধ এর ব্যাপারে। যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ মেসেজ করুন। এবং valium 10 ঔষধ এর ব্যাপারে সকল না বোঝা জিনিস খুলে বলবেন।
valium 10 এর কাজ কি?
সহজ ভাষায়: Valium 10 ট্যাবলেট পেশীর কষাকষি কমাতে, ঘুম ঠিক করতে এবং মূত্রথলি ও স্ফিংটারের কাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি মেরুদন্ডের আঘাত ও সমস্যায় আরাম দেয়, মাংসপেশীর ব্যথা কমায়, মস্তিষ্কের কিছু অসুখ এবং টেনশন থেকে হওয়া মাথাব্যথা কমাতে কাজ করে।
valium 10 এর দাম কত?
valium 10 ট্যাবলেট প্রতি পিসের দামঃ ৮.০০ টাকা। এই দাম একটু কম বেশি হতে পারে। আপনি বাজারে গিয়ে একদম সঠিক দামটি জানতে পারবেন। আশা করি এই দামটিই ঠিক।
valium 10 খাওয়ার নিয়ম কি?
valium ট্যাবলেট বেকলোফেন পানি ও খাবারের সাথে খেতে হয়। বেকলোফেন সাধারণতঃ বয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে ৩ বার এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ৪ বার দিতে হয়। বেকলোফেন সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রায় দেয়া উচিত। প্রশমন প্রক্রিয়ার জন্য নিচের মাত্রা অনুসরণ করা উচিত-৫ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ৩ দিন।
১০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ৩ দিন ১৫ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ৩ দিন ২০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ৩ দিন।
পরবর্তীতে মাত্রা আরো বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু দৈনিক মোট সর্বোচ্চ মাত্রা ৮০ মি.গ্রা. হতে পারে কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে বেকলোফেন দিনে ১০০ থেকে ১২০ মি.গ্রা. প্রয়োজন হতে পারে।
শিশু: সর্বনিম্ন মাত্রায় চিকিৎসা শুরু করা উচিত (০.৩ মি.গ্রা./ কেজি/দিন, বিভক্ত মাত্রায়)। সাবধানতার সাথে ১-২ সপ্তাহ বিরতিতে শিশুর প্রয়োজন বিশেষে মাত্রা বাড়ানো উচিত। সাধারণত ০.৭৫ মি.গ্রা.- ২.০০ মি.গ্রা./কেজি/ দিন বিভক্ত মাত্রায় ওষুধটি চলতে থাকে।
১০ বছরের অধিক বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে সর্বোচ্চ ২.৫ মি.গ্রা./কেজি দেয়া যেতে পারে।
বিভিন্ন কারনে ঔষধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ঔষধ গ্রহন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
valium 10 এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?
সকল ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যাইহোক, অনেক মানুষের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না বা কেবল ছোটখাট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যদি এইসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়
valium ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমনঃ সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তন্দ্রালুতা, ঘুমঘুম ভাব, ঝিমুনি, দূর্বলতা ও অবসাদ।
স্নায়ু: মাথাব্যথা, নিদ্রাহীনতা এবং সামান্য উত্তেজনা, হতাশা, বিভ্রান্তি, পেশীর ব্যথা, খিঁচুনি ইত্যাদি। রক্ত সঞ্চালন: উচ্চ রক্তচাপ এবং খুব কম ক্ষেত্রে ঘন ঘন শ্বাস নেয়া, বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা ও মুর্ছা যাওয়া।
পরিপাক তন্ত্র: ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখের শুষ্কতা, স্বাদহীনতা, অ্যাবডোমিনাল ব্যথা, বমিবমি ভাব, ডায়রিয়া।
মূত্রথলি বার বার প্রস্রাবভাব হওয়া, মূত্র না বের হওয়া, যৌন সমস্যা, ইজাকুলেশন না হওয়া, রাত্রে বার বার প্রস্রাব হওয়া এবং প্রস্রাবে রক্ত আসা। অন্যান্য র্যাশ, চুলকানি, ফোলা, ওজনবৃদ্ধি, নাক বদ্ধতা, চোখে ঝাঁপসা দেখা, হেপাটিক সমস্যা ইত্যাদি।
পেশীর টান এমন হতে পারে যে হাঁটা চলায় সমস্যা হয় তখন মাত্রা পুনঃনির্ধারণ করা উচিত। এজন্য দিনের বেলায় কম মাত্রা দিয়ে রাত্রে বেশী মাত্রা দেয়া উচিত
Also Read: Baclax 10 এর কাজ কি?
আশা করি আপনাদের এই বিষয়টি ‘valium 10 এর কাজ কি,valium 10 খাওয়ার নিয়ম,valium 10 এর দাম কত,valium 10 এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি’ ভালো লেগেছে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি valium 10 এর বিষয়ে আরো কিছু জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ সরাসরি মেসেজ করুন। আমাদের ফেইসবুক পেইজর লিংক। যদি ভালো লেগে তাহলে অন্য পোস্ট পড়তে ভুলবেন না।
নোট: এই সব তথ্য ইন্টারনেট ও অন্যান্য জায়গা থেকে সংগ্রহিত। তাই কোনো তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হলে এই ওয়েবসাইট এর কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। আর যদি পারেন তাহলে ভুল এর একটি Screenshot দিয়ে মেসেজ করুন।