আইসোটোপ একটি বিশেষ ধরনের পরমাণু। এদের প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা আইসোটোপের বিষয়টি সহজে বুঝতে চেষ্টা করব। আপনি জানতে পারবেন আইসোটোপ কীভাবে কাজ করে এবং এর উদাহরণ কী কী।
আইসোটোপ কাকে বলে?
যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু বাকি সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়, তাদেরকে আইসোটোপ বলা হয়।
প্রোটন সংখ্যা এক হওয়ার জন্য, এদের পরমাণু ক্রমাঙ্ক এবং ইলেকট্রন বিন্যাসও এক হয়। এজন্য এরা একই ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম দেখায়। তাই তারা আসলে একই মৌলের ভিন্ন ভরের পরমাণু।
মনে রাখার জন্যঃ আইসোটোপের প্রোটন সংখ্যা সমান থাকে। মনে রাখার সুবিধার জন্য, প্রোটন ও আইসোটোপ দুটোতেই ‘প’ আছে, এই মিলটি মনে রাখা যেতে পারে।
দুটি আইসোটোপের উদাহরণ
১১H, ২১H, ৩১H এবং ৩৭১৭Cl, ৩৫১৭Cl।
১১H এ পরমাণু ক্রমাঙ্ক ১ এবং ভরসংখ্যাও ১, অর্থাৎ ১১H তে ১টি প্রোটন আছে কিন্তু কোনো নিউট্রন নেই। আবার ২১H এ পরমাণু ক্রমাঙ্ক ১ এবং ভরসংখ্যা ২, অর্থাৎ ২১H তে ১টি প্রোটন এবং ১টি নিউট্রন আছে। আবার ৩১H এ পরমাণু ক্রমাঙ্ক ১ এবং ভরসংখ্যা ৩, অর্থাৎ ৩১H তে ১টি প্রোটন এবং ২টি নিউট্রন আছে। যেহেতু এদের প্রোটন সংখ্যা সমান, তাই এরা আইসোটোপ।
ঠিক একইভাবে ৩৭১৭Cl এবং ৩৫১৭Cl এর উদাহরণটিও দেখা যেতে পারে। ৩৭১৭Cl এর পরমাণু ক্রমাঙ্ক ১৭ ও ভরসংখ্যা ৩৭, অর্থাৎ ৩৭১৭Cl এ ১৭টি প্রোটন ও ২০টি নিউট্রন আছে।
অন্যদিকে, ৩৫১৭Cl এর পরমাণু ক্রমাঙ্ক ১৭ ও ভরসংখ্যা ৩৫, অর্থাৎ ৩৫১৭Cl এ ১৭টি প্রোটন ও ১৮টি নিউট্রন আছে। তাই, এরা আইসোটোপ।
আইসোটোপের মাধ্যমে আমরা পরমাণুর ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য বুঝতে পারি। এই পোস্টে আমরা আইসোটোপের সহজ ব্যাখ্যা দিয়েছি। আশা করি, এটি আপনাদের কাছে সহায়ক হয়েছে। আরও অনেক কিছু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট স্টাডিটিকায় ঘুরে আসুন। আপনাদের জন্য নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আমরা লিখে যাচ্ছি।