আপনারা জানেন কি, আমাদের চারপাশের প্রতিটি বস্তুর একটি ভর থাকে? ভর মানে হলো, কোনো বস্তুর ভিতরে কতটা পদার্থ আছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে, বস্তুর ব্যবহার কেমন হবে। এই পোস্টে আমরা ভর ও ওজন নিয়ে সহজভাবে কথা বলব। চলুন, আমরা ভরের বিষয়ে আরও কিছু শিখি!
ভর কাকে বলে?
ভর হল একটি বস্তুতে কতো পরিমাণ পদার্থ আছে তা। এটি বস্তুটির মৌলিক গুণ এবং তার স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণ নির্দেশ করে। ভরের একক সাধারণত কিলোগ্রাম (kg), গ্রাম (g), পাউন্ড (lb) ইত্যাদি।
ভরের পরিমাণ স্থানান্তরের সময় অপরিবর্তিত থাকে; অর্থাৎ, একটি বস্তু পৃথিবী থেকে চাঁদে বা অন্য কোনো স্থানে গেলে তার ভর পরিবর্তিত হয় না।
ভর ও ওজন
পদার্থের ভিতরের মোট পরিমাণকে আমরা সেই পদার্থের ভর বলি। একে m দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে পদার্থের ভর এবং অভিকর্ষজ ত্বরণের গুণফলকে পদার্থের ওজন বলা হয়। একে W দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ভর এবং ওজন পদার্থবিজ্ঞানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা।
ওজন কাকে বলে?
ওজন হল একটি বস্তুতে গ্র্যাভিটেশনাল বলের পরিমাণ যা পৃথিবীর গ্র্যাভিটি (অথবা অন্য কোনো গ্রহের গ্র্যাভিটি) দ্বারা তৈরি হয়। এটি ভরের উপর গ্র্যাভিটেশনাল বল। ওজনের একক সাধারণত নিউটন (N)।
ওজন ভরের সাথে গ্র্যাভিটেশনাল ত্বরণ (g) এর গুণফল হিসেবে নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর পৃষ্ঠে, ওজন গণনা করার জন্য ভরকে গুণ করতে হয় 9.8 মিটার/সেকেন্ড² (পৃথিবীর গতি)। অর্থাৎ, ওজন = ভর × g।
ভরের তুলনায়, ওজন স্থানীয় গ্র্যাভিটেশনাল ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে, তাই এটি একটি গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে পরিবর্তিত হতে পারে।
একটি উদাহরণ
যদি একটি বস্তু 10 কিলোগ্রাম ভরের হয়, তবে তার পৃথিবীর পৃষ্ঠে ওজন হবে প্রায় 98 নিউটন (10 কেজি × 9.8 m/s²)। কিন্তু যদি সেই বস্তু চাঁদে চলে যায়, যেখানে গ্র্যাভিটি পৃথিবীর তুলনায় কম, তখন তার ওজন কমে যাবে।
আশা করি, আপনাদের ভর ও ওজন সম্পর্কে ভালো কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। এই বিষয়গুলো খুবই মজার! আরও অনেক তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে আরও পোস্ট পড়তে আসবেন। আপনারা থাকুন, আরও শিখুন!