ল.সা.গু গণিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা দুটি বা ততোধিক সংখ্যার সাধারণ গুণিতকের মধ্যে ক্ষুদ্রতম গুণিতক খুঁজে পেতে সহায়ক হয়। আপনি যদি ল.সা.গু কীভাবে বের করবেন এবং গণিতে এটি কীভাবে ব্যবহার করা হয় জানতে চান, তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
লসাগু কাকে বলে?
দুই বা ততোধিক সংখ্যার সাধারণ গুণিতকগুলির মধ্যে যে গুণিতকটি ক্ষুদ্রতম হয়, তাকে প্রদত্ত সংখ্যাগুলির লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক বা ল.সা.গু বলে।
এটি একটি মৌলিক গণিতের ধারণা যা সংখ্যার গুণন সম্পর্কিত সমস্যাগুলিকে সমাধান করতে ব্যবহৃত হয়।
যেকোনো দুটি বা একাধিক সংখ্যার লসাগু বের করার মাধ্যমে আমরা সহজে জটিল গুণন ও বিভাজনের কাজগুলো করতে পারি।
ল.সা.গু নির্ণয়ের সূত্র
সংখ্যা দুটির ল.সা.গু বের করার জন্য একটি সহজ সূত্র রয়েছে:
- ল.সা.গু = সংখ্যা দুটির গুণফল ÷ গ.সা.গু
অর্থাৎ, প্রথমে সংখ্যাগুলির গুণফল বের করতে হবে, তারপর তাদের গ.সা.গু (গৃহীত সাধারণ গুণন) দিয়ে ভাগ করলে ল.সা.গু পাওয়া যাবে।
একাধিক ভগ্নাংশের ল.সা.গু নির্ণয়
যদি একাধিক ভগ্নাংশের ল.সা.গু নির্ণয় করতে হয়, তাহলে নিচের সূত্রটি প্রয়োগ করতে হবে:
- একাধিক ভগ্নাংশের ল.সা.গু = (লবগুলির ল.সা.গু ÷ হরগুলির গ.সা.গু)
এখানে লব হচ্ছে ভগ্নাংশের উপরের সংখ্যা এবং হর হচ্ছে ভগ্নাংশের নিচের সংখ্যা। প্রথমে লবগুলির ল.সা.গু নির্ণয় করতে হবে এবং হরগুলির গ.সা.গু বের করতে হবে, এরপর এই দুটি মানের ভাগফল দিলে একাধিক ভগ্নাংশের ল.সা.গু পাওয়া যাবে।
উদাহরণ
চলুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করি। ধরা যাক, আমাদের দুটি সংখ্যা ১২ এবং ১৮। এদের ল.সা.গু বের করার প্রক্রিয়া হবে:
- প্রথমে ১২ এবং ১৮ এর গুণফল বের করতে হবে: ১২ × ১৮ = ২১৬
- এরপর ১২ এবং ১৮ এর গ.সা.গু বের করতে হবে, যা ৬।
- অতএব, ল.সা.গু = ২১৬ ÷ ৬ = ৩৬।
এইভাবে, ১২ এবং ১৮ এর ল.সা.গু হবে ৩৬।
গণিতের অন্যান্য ক্ষেত্রে ল.সা.গু এর ব্যবহার
ল.সা.গু শুধু সংখ্যার গুণন ও বিভাজনের ক্ষেত্রে নয়, গণিতের আরও বিভিন্ন শাখায় ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ল.সা.গু ব্যবহার করে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধান যেমন ভগ্নাংশের সরলীকরণ, গাণিতিক গাণিতিক ধাঁধা ইত্যাদি সহজ করা যায়।
এই পোস্টটি থেকে ল.সা.গু সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন বলে আশা করি। আরও গণিতের ধারণা সহজভাবে শিখতে চাইলে, আমার ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ে দেখুন!