ব্যাসার্ধ কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | পরিসীমা বা পরিধি যুক্ত বৃত্তের ব্যাসার্ধ

জ্যামিতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো ব্যাসার্ধ। এটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে পরিধি পর্যন্ত দূরত্বকে নির্দেশ করে। ব্যাসার্ধের মাধ্যমে আমরা বৃত্ত বা গোলকের আকার ও অন্যান্য গাণিতিক সম্পর্ক সহজেই বুঝতে পারি। 

আজকের এই পোস্টে আমরা ব্যাসার্ধ সম্পর্কে সহজে এবং বিস্তারিত আলোচনা করবো, যা আপনাকে জ্যামিতির এই বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

ব্যাসার্ধ কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | পরিসীমা বা পরিধি যুক্ত বৃত্তের ব্যাসার্ধ

ব্যাসার্ধ কাকে বলে?

 বৃত্তের কেন্দ্র থেকে পরিধির দূরত্বকে ব্যাসার্ধ বলে। 

ব্যাসার্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা চিরায়ত জ্যামিতিতে ব্যবহৃত হয়। এটি বৃত্ত বা গোলকের কেন্দ্র থেকে এর পরিধি পর্যন্ত অঙ্কিত যে কোন রেখাংশকে নির্দেশ করে। 

সাধারণভাবে, এটি বৃত্ত বা গোলকের কেন্দ্র থেকে পরিধির মধ্যকার দূরত্বকেও বোঝায়। 

ব্যাসার্ধের ইংরেজি শব্দ "radius" এবং গ্রীক "diameter" এর বাংলা পরিভাষা হিসেবে সংস্কৃত থেকে নেওয়া হয়েছে। "Radius" শব্দের অর্থ হলো রশ্মি বা যষ্ঠি এবং "diameter" এর অর্থ ব্যাস। 

ব্যাসার্ধকে সাধারণত 'r' দ্বারা নির্দেশ করা হয় এবং ব্যাসকে 'd' দ্বারা নির্দেশ করা হয়, যেখানে ব্যাসার্ধ ব্যাসের অর্ধেক। সুতরাং, আমরা লেখার মাধ্যমে নিচের সম্পর্কগুলো পেতে পারিঃ

  • d = 2r
  • r = d/2

যদি কোন বস্তুর কেন্দ্র না থাকে, তবে একে পরিলিখিত বৃত্ত বা গোলকের ব্যাসার্ধ বলা হয়। এই ক্ষেত্রে ব্যাসার্ধের সংজ্ঞা সামান্য পরিবর্তিত হয়, যেখানে এটি একটি আকৃতির যেকোনো দুটি বিন্দুর মধ্যে সর্বাধিক দূরত্ব হিসেবেও ধরা হয়।

 সাধারণভাবে, কোন জ্যামিতিক আকৃতির মধ্যে আবদ্ধ বৃহত্তম বৃত্ত বা গোলকের ব্যাসার্ধই ঐ জ্যামিতিক কাঠামোটির অন্তঃব্যাসার্ধ।

একটি বলয়, নল বা অন্য কোন ফাঁপা বস্তুর গহ্বরের ব্যাসার্ধ হলো এর অভ্যন্তরীণ ব্যাসার্ধ। এছাড়া, সুষম বহুভুজের ব্যাসার্ধও এর পরিব্যাসার্ধের মতো। 

একটি বহুভুজের কেন্দ্র থেকে এর যেকোন বাহুর মধ্যবিন্দু পর্যন্ত অঙ্কিত রেখাংশকে "অ্যাপথেম" বলা হয়। সুষম বহুভুজের অন্তঃব্যাসার্ধকেও অ্যাপথেম বলা হয়।

গ্রাফ তত্ত্বে, কোন লেখ বা গ্রাফের ব্যাসার্ধ হল 'u' থেকে গ্রাফের যে কোন শীর্ষবিন্দুর মধ্যে সর্বাধিক দূরত্বের সকল 'u' শীর্ষবিন্দুসমূহের মধ্যে সর্বনিম্ন দূরত্ব।

পরিসীমা বা পরিধি যুক্ত বৃত্তের ব্যাসার্ধ

বৃত্তের ব্যাসার্ধের সূত্র হলো:

r = C / 2π

ব্যাসার্ধ সম্পর্কে জানার পর, আপনি জ্যামিতির এই বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে আরও অনেক পোস্ট রয়েছে যা আপনাকে পড়াশোনায় সহায়তা করবে। তাই আরও জানার জন্য Studytika.com-এর অন্যান্য পোস্টগুলোও দেখে নিন!

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.