Bionex : আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই-বোনেরা। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। তবে, যদি আপনি বা আপনার প্রিয়জনের কেউ অসুস্থ হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই ঔষধের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেষ্টা করছেন। আজ আমরা কথা বলব একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের নাম—Bionex।
এটি সম্পর্কে আপনাদের কিছু মূল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব, যেমনঃ 🔹 Bionex কি কাজ করে? 🔹 এটি কিসের ঔষধ? 🔹 Bionex এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? 🔹 Bionex খাওয়ার বা ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম কী? 🔹 Bionex এর দাম কত ইত্যাদি?
আমরা আশা করি, এই বিষয়ে আপনি প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
Bionex এর কাজ কি?
Bionex Capsul অতিরিক্ত রক্তস্রাব, দাঁত তোলার ক্ষেত্রে, আলসারেটিভ কোলাইটিস, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি
Bionex সাধারণত একটি ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট, যা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এটি শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, এটি চুল, ত্বক ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে, এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
Bionex এর দাম কত?
Bionex Capsul প্রতি পিসের দামঃ ১৬.০০ টাকা।
এই দাম একটু কম বেশি হতে পারে। আপনি বাজারে গিয়ে একদম সঠিক দামটি জানতে পারবেন। আশা করি এই দামটিই সঠিক।
Bionex খাওয়ার বা ব্যাবহারের নিয়ম কি?
Bionex Capsul প্রাপ্ত বয়স্ক-
• সাধারন মাত্রা হিসেবে: ৫০০-১০০০ মিগ্রা দৈনিক ৩ বার।
শিশু-
• নিবারক হিসেবে: মুখে দৈনিক সর্বনিম্ন, অনুমোদিত মাত্রা হচ্ছে ০.৫-১ গ্রাম; শিরাপথে বা মাংশপেশীতে দৈনিক ৫০০ মিগ্রা।
রক্তক্ষরণজনিত চিকিৎসা হিসেবে: মুখে ১-৩ গ্রাম বিভক্ত মাত্রায় দৈনিক প্রয়োগ করতে হবে। জটিল অবস্থা ও আশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক অ্যামপুল (৫০০ মিগ্রা) শিরাপথে ধীরে ধীরে প্রয়োগ করতে হবে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় মুখে প্রয়োগ করতে হবে। নিবারক হিসেবে: দৈনিক বিভক্ত মাত্রায় প্রতি কেজি ওজন হিসেবে ৫-১০ মিগ্রা মুখে প্রয়োগ করতে হবে। • চিকিৎসা হিসেবে: মুখে দ্বিগুন মাত্রা (১০ থেকে ২০ মিগ্রা/কেজি) প্রয়োগ করতে হবে। শিরাপথে বা মাংসপেশীতে ১০ মিগ্রা/কেজি হিসেবে (০.৫ মিলি প্রতি ৫ কেজিতে) ধীরে ধীরে প্রয়োগ করতে হবে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় মাত্রা অনুযায়ী মুখে প্রয়োগ করতে হবে। সুবিধাজনক ক্ষেত্রে (ছোট বাচ্চাদের
ক্ষেত্রে) সামান্য পরিমাণ চিনি- পানির সাথে পাতলা করে ক্যাপসুল-এর পরিবর্তে মুখে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
বয়স্ক রোগী: এক্ষেত্রে মাত্রা কমানোর প্রয়োজন নেই যদি না রেনাল ফেইলিওর-এর প্রমাণ থাকে।
বিভিন্ন কারনে ঔষধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ঔষধ গ্রহন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
Bionex এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
পরিপাকতন্ত্রের উপসর্গ, ডায়রিয়া, বমি ভাব, বমি, ত্বকের এলার্জি ইত্যাদি।
আশা করি, 'Bionex এর কাজ কি?', 'Bionex খাওয়ার বা ব্যবহারের নিয়ম', 'Bionex এর দাম কত', এবং 'Bionex এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি'—এই বিষয়গুলো আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং ভালো লেগেছে। যদি আপনি Bionex সম্পর্কিত আরও কিছু জানার আগ্রহী হন, তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজে সরাসরি মেসেজ পাঠাতে পারেন। আমাদের ফেইসবুক পেইজের লিংক নিচে দেওয়া হল।
আর যদি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্টগুলোও পড়তে ভুলবেন না। ধন্যবাদ 😊
নোট: এই সকল তথ্য ইন্টারনেট এবং অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত। যদি কোন তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে এই ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। তবে, যদি আপনি কোন ভুল তথ্য খুঁজে পান, অনুগ্রহ করে একটি স্ক্রিনশট নিয়ে আমাদের মেসেজ করুন।