এই ব্লগপোস্টে আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে একটি সুন্দর রচনা দেওয়া হয়েছে। রচনাটি খুব সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, যাতে সবাই বুঝতে পারে। আশা করি, তোমরা পুরো রচনাটি ভালো করে পড়বে।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ১
সূচনা :
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ঝিনাইদহ শহরে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের উত্তরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিম দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক (বিশ্বরোড) অবস্থিত, যা এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বর্ণনা :
আমাদের বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলো একটি সুবৃহৎ দালানে অবস্থিত। সেখানে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, অফিস ঘর, লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার এবং শিক্ষকদের বিশ্রামাগারসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা রয়েছে। বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়, এবং প্রতিটি শ্রেণিতে দুটি করে শাখা রয়েছে।
বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছয় শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। বারোজন শিক্ষক এখানে পাঠদান করছেন, যাঁরা সবাই সুশিক্ষিত, স্নেহশীল এবং দায়িত্ববান। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিকভাবে ভালোবাসেন এবং যত্নসহকারে শিক্ষা দেন।
আমাদের বিদ্যালয়ে একটি সুন্দর লাইব্রেরি আছে, যেখানে নানা ধরনের পুস্তক রাখা রয়েছে। পাশাপাশি এখানে কয়েকটি দৈনিক ও মাসিক পত্রিকাও রাখা হয়। আমরা প্রতি সপ্তাহে লাইব্রেরি থেকে গল্পের বই পড়ার জন্য নিয়ে থাকি। বিদ্যালয়ের একটি খেলার মাঠও আছে, যেখানে ছুটির পর ছাত্ররা ফুটবল, হকি, ক্রিকেটসহ নানা ধরনের খেলাধুলায় অংশ নেয়।
পরীক্ষায় সাফল্য :
আমাদের স্কুল হতে প্রতিবছর বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ছাত্র পাঠানো হয় এবং তাদের অধিকাংশই ভালোভাবে পাস করে থাকে। বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের স্কুল থেকে ২/৩ জন করে বৃত্তি পেয়ে আসছে। এটা আমাদের স্কুলের পক্ষে অত্যন্ত কৃতিত্বের বিষয়।
উপসংহার :
আমাদের স্কুলটি উপযুক্ত কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সব দিক দিয়ে বিচার করলে একে একটি আদর্শ বিদ্যালয় বলা চলে। তাই আমরা আমাদের বিদ্যালয়টিকে খুব ভালোবাসি এবং এর জন্য গর্ববোধ করি ।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ২
সূচনা :
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম ‘মুকুল বিদ্যানিকেতন’। আমি শিশু শ্রেণি থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি। এটি এলাকার মধ্যে একটি আদর্শ ও বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ।
অবস্থান :
‘মুকুল বিদ্যানিকেতন’ আমাদের গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থিত। অনেক পুরোনো একসারি তালগাছের পাশে আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের ছেলেমেয়ে এখানে পড়াশোনা করে।
বিদ্যালয় ভবনের বর্ণনা :
আমাদের বিদ্যালয়টি দেখতে খুব সুন্দর। এটি একটি সাদা রঙের দোতলা ভবন। নিচতলায় রয়েছে শিক্ষকদের কক্ষ, অফিস কক্ষ, বিজ্ঞানাগার ও পাঠাগার। দোতলার পুরোটাতেই শ্রেণিকক্ষ। বিদ্যালয়ের সামনে একটি বড় খেলার মাঠ এবং দুদিকে দুটো ছোট বাগান আছে। ছুটির পর ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠি আমরা।
পাঠদান পদ্ধতি ও সাফল্য :
আমাদের বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ শিশুদের কোলাহলে মুখর থাকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী ও ১০ জন শিক্ষক আছেন। শিক্ষকগণ আমাদের অত্যন্ত যত্ন ও আন্তরিকতা নিয়ে পড়ান, এবং সত্যিই আমাদের খুব ভালোবাসেন। প্রায় ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টির গর্বিত ইতিহাস রয়েছে। এখানে পড়াশোনা করে বহু শিক্ষার্থী জীবনে সফলতা অর্জন করেছেন।
খেলাধুলা ও বিনোদন :
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া ফুটবল, ক্রিকেট, ক্যারম, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার ব্যবস্থা আছে । প্রায় প্রতিবছরই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাসফরে নিয়ে যাওয়া হয়।
উপসংহার :
বিদ্যালয় আমাদের উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে। আমাদেরও উচিত বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার জন্য কাজ করা। আমরা শৃঙ্খলা মেনে চলব, ভালোভাবে পড়াশোনা করব এবং বিদ্যালয় ভবন ও প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখব।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ৩
ভূমিকা :
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শ্যামপুর থানা শহর থেকে সামান্য পূর্বে এটি অবস্থিত।
অবস্থান :
বিদ্যালয়ের ভবনটি একটি দোতলা দালান। বিদ্যালয় গৃহের দক্ষিণে বড় একটা মাঠ আছে। পূর্ব দিকে আছে একটি বড় পুকুর। উত্তর ও পশ্চিম দিকে আছে যথাক্রমে একটি বাগান ও বড় পাকা রাস্তা। বিদ্যালয় গৃহটি দক্ষিণমুখী ।
বর্ণনা :
আমাদের বিদ্যালয় ভবনে মোট ছয়টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটি কক্ষ শিক্ষকদের বসার জন্য নির্দিষ্ট। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দরজা, জানালা, চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে। আমাদের শিক্ষকগণ অত্যন্ত স্নেহশীল, আর আমরা তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করি। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বেলা ৪টায় শেষ হয়। ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত অধ্যবসায়ী ও মনোযোগী হয়ে পড়াশোনা করে। ফলে প্রতি বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় এখানকার অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করে বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করছে।
খেলাধুলা :
খেলাধুলা, বিতর্ক, রচনা প্রতিযোগিতা প্রতিটি বিষয়ে এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের কৃতিত্ব প্রায় অবিসংবাদিত। ক্রীড়া শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে আমাদের একটি ফুটবল দল রয়েছে। বিদ্যালয়ে একটি পাঠাগার আছে।
উপসংহার :
বাংলাদেশের অনেক বিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিদ্যালয়েও অনেক সমস্যা আছে। এসবের মধ্যে অর্থনৈতিক সমস্যাই মূল সমস্যা। বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের জন্য গর্বিত।
তোমাদের যদি আরও রচনা পড়তে ইচ্ছে করে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট StudyTika.com এ আরো অনেক রচনা পাওয়া যাবে। এখানে এসে আরও রচনা পড়ো আর ভালো করে শেখো।