উচ্চ শির যদি তুমি কুল মান ধনে, করিও না ঘৃণা তবু নীচ-শির জনে” — এই চমৎকার ভাবসম্প্রসারণটি নিয়ে এই পোস্টে সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে একটি সুন্দর ব্যাখ্যা। যারা ভাবসম্প্রসারণ শিখতে চাও, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী হবে। একবার পড়ে দেখো, পুরোটা পড়তে ভালোই লাগবে!
উচ্চ শির যদি তুমি কুল মান ধনে,করিও না ঘৃণা তবু নীচ-শির জনে
মূলভাব : ধনী ও দরিদ্র উভয়েরই বাসযোগ্য ভূমি এই পৃথিবী। ধন-সম্পদে কিংবা বংশমর্যাদায় পার্থক্য থাকলেও মূলত মানুষের সঙ্গে মানুষের কোনো ভেদাভেদ নেই।
সম্প্রসারিত ভাব : উচ্চ শ্রেণির লোকেরা প্রায়ই এ কথা অস্বীকার করে থাকে যে, ‘সব মানুষই সমান’।যাঁর বংশগৌরব বা অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্য দেখা যায়, তিনি অনেক সময় নিজেকে একেবারে বাদশার মতো মনে করেন। আত্মদম্ভে তারা নিজেদেরকে সবার ওপরে ধরে নিয়ে অহংকার প্রকাশ করতে থাকেন। কিন্তু ধন-সম্পদ কখনো স্থায়ী নয়। আজ ধনী যে ব্যক্তি, কাল সে পথের ফকিরেও পরিণত হতে পারে। তাই ধন-সম্পদের বড়াই করা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। বড় হতে চাইলে প্রথমে মনকে বড় করতে হবে। নিচু অবস্থানের মানুষকে ঘৃণা করে কেউ কখনো সত্যিকার অর্থে উঁচুতে উঠতে পারে না। একটু চিন্তা করলে দেখা যাবে, উঁচু জায়গায় আঘাত সবচেয়ে বেশি লাগে। উঁচু বৃক্ষই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ভূপাতিত হয়। তাই এই নশ্বর পৃথিবীতে অহংকার করা বোকামির কাজ ছাড়া কিছু নয়। মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু উলট-পালট হয়ে যেতে পারে। আসল কথা হলো মানুষের ধন-সম্পদ, নাম-যশ-খ্যাতি—all these are ক্ষণস্থায়ী অর্জন মাত্র। মানুষের সার্থকতা নির্ভর করে মনুষ্যত্বের বিকাশে। ধন-সম্পদ ছাড়া, মানুষের কাছে স্রষ্টার সান্নিধ্যই প্রকৃত স্বর্গ। সেটিই হলো মানুষের শ্রদ্ধা, প্রেম ও আশীর্বাদ। আর এজন্য প্রয়োজন মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সমতার বোধ এবং অকৃত্রিম ভালোবাসা।
মন্তব্য : সুতরাং ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে পারাটাই প্রজ্ঞার পরিচায়ক।
এই ছিল “উচ্চ শির যদি তুমি কুল মান ধনে, করিও না ঘৃণা তবু নীচ-শির জনে” ভাবসম্প্রসারণের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা। আরও এমন সহজ ও সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে ঘুরে আসো আমার ওয়েবসাইটে — StudyTika.com। এখানে অনেক ভাবসম্প্রসারণ তোমার অপেক্ষায় আছে!