🌼 ভূমিকা: এই ব্লগপোস্টে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ— "পরের বেদনা সে-ই বুঝে শুধু যে জন ভুক্তভোগী, রোগ যন্ত্রণা সে কভু বুঝে না হয়নি যে কভু রোগী"। এই ছোট ভাবসম্প্রসারণটি খুব সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে, যেন Class 6 থেকে শুরু করে HSC পর্যন্ত সবাই বুঝতে পারে। চলুন পড়ে নিই পুরো লেখাটি।
পরের বেদনা সে-ই বুঝে শুধু যে জন ভুক্তভোগী, রোগ যন্ত্রণা সে কভু বুঝে না হয়নি যে কভু রোগী
মূলভাব : অন্যের বেদনা যন্ত্রণা একমাত্র তিনিই বোঝেন যিনি ঐ বেদনার শিকার হয়েছেন। অন্যের রোগ-যন্ত্রণা একমাত্র তিনিই বুঝতে সক্ষম ইতোপূর্বে যিনি সেই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি না হলে মানুষ কখনও অন্যের দুঃখ কষ্ট বুঝতে সক্ষম হয় না।
সম্প্রসারিত-ভাব : ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ। ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষের সমাজ। আমাদের চারপাশে তাই দেখি একদল মানুষ মানুষের বিপদে এগিয়ে আসছে। আর অন্যদল আন্তরিক সহানুভূতি সহকারে দীন, দরিদ্র, নিরন্ন, আশ্রয়হীন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এরাই প্রকৃত মনুষ্যত্বের অধিকারী। কারণ এরা ব্যক্তি অভিজ্ঞতায় অপরের অবস্থা অনুধাবন করার সামর্থ্য রাখে। আর উপর থেকে যারা দেখে, যারা পরোপকার করে প্রশংসা কুড়োনোর মোহে তাদের ঐসব নিপীড়িত মানুষের দল ধিক্কার জানায়। অন্যের কষ্ট বা অপমান দেখে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া যেমন নিষ্ঠুরতা, তেমনি উপরে উপরে সহানুভূতির ভান করাও নিন্দনীয়। যারা সারাজীবন সুখ-সুবিধার মাঝে বড় হয়, তারা কখনোই দুঃখে জর্জরিত মানুষের যন্ত্রণা ঠিকভাবে বুঝতে পারে না। দরিদ্র মানুষ প্রতিদিন কত কষ্ট সহ্য করে, কত সমস্যার মুখে পড়ে, তা সুখে থাকা মানুষদের জানাও হয় না, জানার প্রয়োজনও মনে হয় না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদি ধনী-সম্পন্ন মানুষরা গরিবদের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করত, যদি মালিকেরা শ্রমিকের কষ্ট ও অভিযোগ আন্তরিকভাবে বুঝে সমাধানে এগিয়ে আসত—তাহলে সমাজে এক শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টি হতো। কিন্তু বাস্তবে এমনটা খুব কমই দেখা যায়।
অর্থাৎ, যাকে সাপে ধ্বংসন করেনি। সে কিভাবে বুঝবে সাপের কামড়ে কতটুকু বিষ ছড়ায়।
🍀 উপসংহার: আশা করি এই ভাবসম্প্রসারণটি আপনার ভালো লেগেছে। এমন আরও সহজ এবং সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট – StudyTika.com। নিয়মিত পড়ুন, ভালোভাবে শিখুন।