✦ ভূমিকা: এই ব্লগপোস্টে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ—“পিতা-মাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি, যতনে মানিয়া চল তাহাদের বাণী”। যারা ক্লাস ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ থেকে শুরু করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী, সবার জন্য এটি খুবই উপকারী। সহজ ভাষায় লেখা এই ভাবসম্প্রসারণটি একবার পড়ে দেখুন, ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।
পিতা-মাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি,যতনে মানিয়া চল তাহাদের বাণী
মূলভাব : বাবা, মা ও অভিভাবকবৃন্দ আমাদের জীবন গঠন ও পরিচালনার জন্য যেসব উপদেশ দেন, সেগুলো মেনে চলা কর্তব্য।
সম্প্রসারিত ভাব : পিতা-মাতা আমাদের জীবন দান করেন এবং অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেন। পিতা-মাতার সঙ্গে অন্য গুরুজনরাও আমাদের সুস্থ জীবন বিকাশে সহায়তা করেন এবং অনেক কষ্ট স্বীকার করে আমাদের বড় করে তোলেন। এঁরা সবাই বয়সে, জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, প্রজ্ঞায় আমাদের থেকে অনেক বড়। পিতা-মাতা আমাদের ভালোবাসেন, স্নেহ করেন এবং সবসময় আমাদের মঙ্গল কামনা করেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা জানেন কোনটি আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু আমরা নবীন ও অনভিজ্ঞ হওয়ায় এই জটিল পৃথিবীর অনেক কিছুই আমাদের অজানা। তাই আমাদের উচিত পিতা-মাতা, গুরুজন এবং বিশ্বের মহান ব্যক্তিদের উপদেশকে পথ চলার আলোর মতো গ্রহণ করা। না হলে আমরা জীবনের পথে বারবার হোঁচট খাব এবং সফলতা ধরা দেবে না। ইতিহাসে দেখা যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বায়েজিদ বোস্তামী গুরুজনদের আদেশ-উপদেশকে শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে চলেছিলেন, আর সে কারণেই তাঁরা আজ সকলের শ্রদ্ধার আসনে স্থান পেয়েছেন। তাই পিতা-মাতা ও গুরুজনেরা আমাদের জীবনের আদর্শ, তাঁদের কথা অনুসরণ করেই আমাদের জীবন গড়তে হবে এবং দেশ, জাতি ও বিশ্বকে চিরস্থায়ী কল্যাণের পথে এগিয়ে নিতে হবে।
সিদ্ধান্ত : পিতা-মাতা, গুরুজন ও বিশ্বের মহান ব্যক্তিদের উপদেশ মানলে নিজের জীবন সুন্দর ও বিকশিত হবে এবং দেশ ও জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবে।
এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো
মূলবাব : এ পৃথিবীতে পিতা-মাতার মতো আপনজন আর কেউ নেই। তারা সবসময় আমাদের কল্যাণ কামনা করেন। তাই তাদের আদেশ-উপদেশ মেনে চলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
সম্প্রসারিত ভাব : আমাদের জন্মদান ও লালন-পালনের মূল দায়িত্ব পিতা-মাতার। তারা সারাজীবন নিজেদের সুখ বিসর্জন দিয়ে আমাদের সুখের জন্য কাজ করেন। তারাই আমাদের সুখী-সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে সহায়তা করেন। তারা তাদের স্নেহ-ভালোবাসার চাদরে আগলে রাখেন সবসময়। আমাদের জন্য যা ভালো ও কল্যাণের বার্তা বয়ে আনতে সক্ষম, তারা তা-ই সম্পাদন করেন পরম যত্নে। তারা আমাদের অভিভাবক ও অনেক অভিজ্ঞতাসম্মন্ন মানুষ। জন্মের পর আমাদের জন্য এ পৃথিবীর সবকিছুই কঠিন পরীক্ষার ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তারা আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে আমাদের পথ দেখান। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের আদেশ-উপদেশ আমাদের মেনে চলা উচিত। পিতা-মাতার আদেশ-উপদেশ আমাদের জীবনে আশীর্বাদের মতো। এসব উপদেশ আমাদের সফলতা অর্জনে সহায়ক হয়। ইতিহাসে দেখা যায়, যারা মহান হয়েছেন, যারা শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসেছেন—তাঁরা সবাই পিতামাতার কথা মেনে চলেছেন। যেমন হযরত ইউসুফ (আ.), হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.), বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.), রামচন্দ্র ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর—তাঁরা সকলেই মা-বাবার উপদেশকে জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের সেই উপদেশ আমাদের কাছে দেবতার বাণীর মতো সম্মানিত। তাই আমাদের উচিত পিতা-মাতার উপদেশ অনুসরণ করে জীবন গড়া, যাতে নিজেদের জীবন যেমন সুন্দর হয়, তেমনি সমাজ, দেশ ও পৃথিবীতেও কল্যাণ বয়ে আসে।
সিদ্ধান্ত : পিতা-মাতা আমাদের গুরুজন। তাই তাদের উপদেশ মাথা পেতে নেওয়ার মাধ্যমেই আমাদের কল্যাণ নিশ্চিত হবে।
✦ উপসংহার: ভাবসম্প্রসারণটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আরও অনেক সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে ঘুরে আসুন আমার ওয়েবসাইটে—StudyTika.com। সহজ ভাষায় লেখা আরও অনেক কন্টেন্ট আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।