এই পোস্টে তুমি পড়তে পারবে একটি সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ: “এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি”। এটি ছোট হলেও গভীর অর্থবহ ভাবসম্প্রসারণ। মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং এর ভাব বোঝার চেষ্টা করো।
ভাবসম্প্রসারণঃ এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি
মূলভাব: পৃথিবীর ধনীদের সম্পদ-লিপ্সা অপরিমেয়। চির-অতৃপ্ত এই লোভ তাদের এমন পথে ঠেলে দেয় যে, তারা দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের সম্পদও হাতিয়ে নিতে কুণ্ঠিত হয় না।
সম্প্রসারিত ভাব: ধনীদের ধন-লিপ্সা কোনোদিন পরিতৃপ্ত হয় না। নিজেদের সম্পদ বাড়াতেই তাদের একমাত্র আগ্রহ সীমাবদ্ধ থাকে। দুর্বল ও অসহায় মানুষের উপর শোষণ চালিয়ে তারা দিন দিন নিজেদের ঐশ্বর্য বাড়ায়। অন্যদিকে, দরিদ্র মানুষ শোষণের শিকার হয়ে পথের ভিক্ষুক হয়ে পড়ে। ধনী মানুষের এই অতিরিক্ত সম্পদ-লিপ্সার ফলে সমাজে অশান্তি, সংঘাত ও বৈষম্য বাড়ে। পৃথিবীর ধনী যত সম্পদ পায়, ততই চায় আরও বেশি। বিবেকহীন ও হৃদয়হীন এই মানুষরা সমাজের অন্যান্য সম্পদ হাতিয়ে নিজেদের মর্যাদা বাড়ায়। কখনো কখনো তাদের লিপ্সা দরিদ্রের সর্বশেষ সম্বলও ছিনিয়ে নেয়। ফলে দরিদ্ররা তাদের সব হারিয়ে পথে ভিক্ষাবৃত্তি করতে বাধ্য হয়। সমাজে দরিদ্রের বাঁচার অধিকার থাকা সত্ত্বেও এই বৈষম্য চিরকাল বিদ্যমান থাকে। তাই ধনীদের উচিত অতিরিক্ত ধন সঞ্চয় ও সংগ্রহ থেকে বিরত থাকা, যাতে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় থাকে। নবযুগ এলেও পৃথিবীতে বৈষম্য কমেনি।
মন্তব্য: শান্তি ও কল্যাণের জন্য আজ সকল মানুষের লক্ষ্য হওয়া উচিত শোষণ ও সামাজিক অন্যায় দূর করা। ধনী ও দরিদ্র মিলে সমাজের সীমিত সম্পদ ন্যায়সঙ্গতভাবে ভাগাভাগি করেই প্রকৃত শান্তি ও কল্যাণ অর্জন সম্ভব।
ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে যদি তোমার ভালো লেগে থাকে, তাহলে আরও সুন্দর ও অর্থপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ পড়তে ভিজিট করো আমাদের ওয়েবসাইট StudyTika.com। এখানে তোমার জন্য আছে আরও অনেক চমৎকার ভাবসম্প্রসারণ। 🌿