কবর ও উজ্জ্বল ভবিষৎ: হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা এই সুন্দরতম বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো, যা আপনাদের সবার জানা দরকার। আপনি যদি এই বিষয়টি না জানেন তাহলে আপনার জীবন স্বার্থক হবে না। এই জন্য এই পোস্টটি সম্পর্ণ পড়ুন।
কবর ও উজ্জ্বল ভবিষৎ
কবর ও উজ্জ্বল ভবিষৎ- এর একটি দুঃখজনক ঘটনাঃ একজন মধ্যবিত্ত অবস্থা সম্পন্ন পিতা ছিলেন।
সে একটা ছোট মুদির দোকান চালাতো। তাঁর এক যুবক ছেলে ছিল। তাঁর মনে বড় আকাঙ্খা ছিল যে, তাঁর ছেলে কোন মতে আমেরিকা গিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে। ডাক্তার হয়ে আসুক। আর দেশে ফিরে প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্টা করুক।
এভাবে, তাঁর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক আর তাঁর নিজের বার্দ্ধকের সহায় হয়ে যাক।
সুতরাং কোনোমতে সে টাকা-পয়সা জোগাড় করে তাঁর যুবক পুত্রকে আমেরিকা পাঠালো।
শেষ পর্যন্ত, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সনদ নিয়ে স্বদেশ ফিরে আসলো। এবং সে তাঁর প্রাইভেট ক্লিনিক খুলো। বুড়ো পিতা তখন তো নিজেকে গর্বে সামাল দিতে পারছিল না। তাঁর ধারণা ছিল যে, তাঁর সোনালী স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে।
কিন্তু হায়! সর্ব শক্তিমানের মর্জি কিন্তু অন্য কিছু ছিল। মাত্র কয়েক মাস পর, ওই যুবক ডাক্তারের প্লীহা রোগ দেখা দিল।
কয়েকদিন হাসপাতালে রোগশষ্যায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি সনদ প্রাপ্ত ডাক্তার যুবক। যার বয়স ২৫ বছর হয়নি। এবং বিয়ে শাদীর পূর্বেই এ দুনিয়া থেকে পড় পারে পাড়ি জমালো।
বুড়ো বাপ শোকের ভারে ভেঙ্গে পড়লো। কবর ও উজ্জ্বল ভবিষৎ
প্রিয় ইসলামী ভাই ও বোনেরা, এ একজন যুবক নয়। জানিনা, প্রত্যাহ কতোজন যুবক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে?
কেউ রোগে আক্রান্ত হয়ে, কেউ ঝগড়া-বিবাদ করে, কেউ বাইক চালাতে গিয়ে। অনুরুপ ভাবে কেউ পানিতে ডুবে ইত্যাদি। নানাভাবে মৃত্যুর কোলো ঢলে পরছে।
আর মাতা-পিতা কপালে হাত মেরে মেরে আর্তনাদ করছে। এভাবে কতো শত, হাজারো স্বপ্ন অকালে ঝড়ে যায়।
উজ্জ্বল ভবিষৎ এর চিন্তা ভাবনা
যাইহোক, এই গল্পের মূখ্য উদ্দেশ্য যে, উজ্জ্বল ভবিষৎ এর চিন্তা ভাবনা করার সাথে সাথে যদি “আলোক ময় কবর“ পয়দা, যদি হতো ।
হায়রে আপসোস! আপন পার্থিব জীবনের ভবিষৎ এর দিন গুলো উজ্জ্বল করার জন্য জোড় প্রচেষ্টা চালানোর সাথে সাথে নিশ্চিত ও অবিচল মৃত্যু আছে।
এরপর আগমণকারী কবরের হাজারো বছরের স্থায়ী জীবনকে সুন্দর ও সুখময় করার জন্যও চিন্তা করা হতো।
কিন্তু আজ সেদিকে কে মনোনিবেশ করছে? সমাজ আজ ধ্বংসের গহ্বরে পতিত হয়েছে।
শয়তান এভাবে মানুষের অন্তরগুলোর উপর এমনভাবে ঝেঁকে বসেছে।
ওয়াজ নসিহত কিংবা আখিরাতের মঙ্গলের কথা বললেও সে শুনতে চায় না কিংবা কখনো কখনো সে রাগান্বিত হয়ে যায়।
আশা করি আপনাদের এই “কবর ও উজ্জ্বল ভবিষৎ” বিষয়টি বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি। যদি কোনো বিষয় না বোঝেন তাহলে আমাদের ফেসবুক পেইজ এ নক দিতে পারেন।