শাহ সিমেন্টর দাম কত? | বাংলাদেশে শাহ স্পেশাল সিমেন্টের দাম কত?

শাহ সিমেন্টর দাম কতআসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা আলোচনা করবে শাহ সিমেন্ট দাম সম্পর্কে। তোমরা এখান থেকে যে বিষয় গুলোজানতে পারবে তা হলে শাহ সিমেন্টর দাম? ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। চলো তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শাহ সিমেন্ট দাম, ব্যবহার, ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেই।  


শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশের একটি পরিচিত সিমেন্ট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এটি একটি অংশগ্রহণকারী শীর্ষ উৎপাদক এবং সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত। শাহ সিমেন্ট লিমিটেড হলো শাহ গ্রুপের একটি উদ্যোগ, যা প্রায় ২১ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। এটি উৎপাদন ক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম সিমেন্ট প্ল্যান্ট। এটি আবুল খায়ের গ্রুপের একটি সহপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত।

শাহ সিমেন্ট পরিশুদ্ধ, উন্নতমানের পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট উৎপাদন করে। এটি নির্মাণ ও প্রকল্পের জন্য উত্তম মানের সিমেন্ট প্রদান করে। শাহ সিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বোত্তম মানের সিমেন্ট উৎপাদন করে সম্ভাবনাময় সব নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা।

১ বস্তা সিমেন্টের দাম কত?

সিমেন্টের গুনগত মানের ভিত্তিতেে  এর  দাম নির্ভর করে। যেখানে অন্য যেকোনো ব্রান্ডের সিমেন্টের প্রতি বস্তার দাম ৫১০ থেকে ৫৫০ টাকা। সেখানে শাহ সিমেন্টের ১ বস্তার দাম ৫৫০ টাকা। পাইকারি মূল্য প্রতি বস্তা শাহ সিমেন্টের দাম ৫১০ টাকা। প্রতিটি ডিলারের দোকানে শাহ সিমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে ৫৫০ টাকায়। তবে সাধারণ দোকান থেকে ১ বস্তা সিমেন্টের মূল্য ৫১০ থেকে ৫৫০ টাকা। 
এই মধ্যে শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য গ্রাহকদের সিমেন্ট সরবরাহ করেছে। বিভিন্ন অবদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাহাড়ি মধ্যে জাতীয় সড়ক নির্মাণে সিমেন্ট সরবরাহ, পুল নির্মাণ প্রকল্প, মেঘনা সেতু, পাইকারিল মেলা স্থলে সিমেন্ট উদ্যোগ, এবং অন্যান্য গৃহস্থালি এবং সরকারি প্রকল্পের জন্য সিমেন্ট প্রদান।

বাংলাদেশে শাহ সিমেন্টের ইতিহাস

শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশে একটি পরিচিত সিমেন্ট কোম্পানি যা দেশের সিমেন্ট ও নির্মাণ উদ্যোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাখে। এটি ২০০২ সালে ঢাকার মুন্সীগঞ্জে আবুল খায়ের গ্রুপ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
শাহ সিমেন্ট প্রথমে বাংলাদেশে অল্প সংখ্যক কারখানা হিসেবে কাজ শুরু করে। কিন্তু দ্রুতই তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ও সম্প্রসারণ বাড়িয়ে নেয়। এখন শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশের সর্বাধিক উৎপাদক সিমেন্ট কোম্পানি হিসেবে গণ্য হয়ে উঠেছে।
শাহ সিমেন্ট প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত উদ্যোগ হিসেবে গণ্য, যা উন্নত সিমেন্ট উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সর্বাধিক মানের সিমেন্ট উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনকারীতা মেটাতে এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা।

শাহ সিমেন্টের মূল পণ্য এবং অফার

শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্য ও অফার উপলব্ধি করায়। এটি প্রধানতঃ উৎপাদন করে প্রকাশ্য পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট। কিছু উল্লেখযোগ্য পণ্য এবং অফারগুলি নিম্নলিখিত:

১। শাহ প্লাটিনাম পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট: এটি উচ্চ মানের পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট পণ্য। এটি মজবুত কনক্রিট স্ট্রাকচার তৈরি করার জন্য প্রযোজ্য।

২। শাহ স্পেশাল পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট: এটি পারমাণবিক সিমেন্ট যা উচ্চ রক্তচাপ ও জলপ্রণীত স্থানের জন্য উপযুক্ত।

৩। শাহ ডাউন টাইম স্পেশাল পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট: এটি দ্রুত রূপান্তরিত হয় এবং কাঠের পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের জন্য বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।

৪। শাহ বাংলা পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট : এটি উচ্চ মানের পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট যা বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও,শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন অফার ও ডিসকাউন্ট প্রদান করে ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্ট করার জন্য। এটি প্রয়োজনীয় পণ্যে ছাড় প্রদান করে উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের উপকারের পক্ষে কাজ করে।

শাহ সিমেন্টের কিছু প্রকার

শাহ সিমেন্ট বিভিন্ন টাইপের হয়ে থাকে যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিচে শাহ সিমেন্টর কিছু টাইপের কথা ও ব্যহার উল্লেখ করা হলো:

1. সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (OPC) – টাইপ CEM-I (Ordinary Portland Cement (OPC) – Type CEM-I)

শাহ টাইপ- I (Type CEM-I) বা শাহ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট যা শাহ ওপিসি নামে পরিচিত একটি সাধারণ উদ্দেশ্যমূলক সিমেন্ট যা সমস্ত সাধারণ নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ হাই রাইজ বিল্ডিং ইত্যাদি। বিশেষ করে প্রিকাস্ট বা প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিটের জন্য 93% এর বেশি উচ্চ মানের ক্লিংকারের 60% ট্রাইয়ের বেশি। ক্যালসিয়াম সিলিকেট (C3S) প্রারম্ভিক সেট অফার করে এবং পছন্দসই স্তরের চেয়ে বেশি সংকোচনের শক্তি বৃদ্ধি করে।

স্পেসিফিকেশন
  • টাইপ Type CEM-I
  • শক্তির শ্রেণী 52.5 N
  • উপকরণ ক্লিঙ্কার ক্লিঙ্কার 95-100% জিপসাম 0-5%
  • OPC) – Type CEM-I

শাহ টাইপ- I সিমেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্র

  • স্ট্রাকচার এবং মনোলিথিক বা প্রিফেব্রিকেটেড উপাদান।
  • কংক্রিট ভিত্তি।
  • বিশাল কাঠামোর জন্য কংক্রিট
  • সব ধরনের রিইনফোর্সড ও রাজমিস্ত্রির কাজ।
  • রাসায়নিক আক্রমণের উচ্চ প্রতিরোধের সাথে কংক্রিট
  • ভরের কাঠামো যেমন বড় পিয়ার, ভারী অ্যাবটমেন্ট এবং রিটেইনিং ওয়াল।
  • ইট বিছানো এবং প্লাস্টারিং মর্টার
  • ড্রেনেজ স্ট্রাকচার যা ভূগর্ভস্থ পানি থেকে মাঝারি সালফেট ঘনত্বের শিকার হয়।

2. পোর্টল্যান্ড কম্পোজিট সিমেন্ট (পিসিসি), টাইপ সিইএম II/বি (Portland Composite Cement (PCC), Type CEM II/B)

শাহ টাইপ- II বি (Type CEM II/B) বা শাহ পোর্টল্যান্ড কম্পোজিট সিমেন্ট যা শাহ পিসিসি নামে পরিচিত তা 91 দিন পরেও আয়রন স্ল্যাগের কারণে শক্তি অর্জন করতে থাকে। এটি C-S-H জেল ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে, ব্যাপ্তিযোগ্যতা এবং অকার্যকর অনুপাত কমাতে টেকসই কংক্রিট বা ডুরা-ক্রিট তৈরি করতে, কাঠামোর জীবনচক্রকে উন্নত করতে বারকে কোট করে। যোগ করা চুনাপাথরের সাথে মসৃণ প্লাস্টারিং কাঠামোগুলিকে ন্যায্যমুখী করে তোলে।

স্পেসিফিকেশন

  • টাইপ CEM IIB-M (S-L)
  • উপকরণ ক্লিঙ্কার (Clinker) ক্লিঙ্কার (Clinker) 72-79% ব্লাস্ট ফার্নেস স্ল্যাগ, চুনাপাথর 21-28% এবং জিপসাম 0-5%
  • CEM IIB-M (S-L)

শাহ টাইপ- II বি সিমেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্র

  • স্ট্রাকচার এবং মনোলিথিক বা প্রিফেব্রিকেটেড উপাদান।
  • কংক্রিট ভিত্তি।
  • বিশাল কাঠামোর জন্য কংক্রিট
  • সব ধরনের রিইনফোর্সড ও রাজমিস্ত্রির কাজ।
  • রাসায়নিক আক্রমণের উচ্চ প্রতিরোধের সাথে কংক্রিট
  • ভরের কাঠামো যেমন বড় পিয়ার, ভারী অ্যাবটমেন্ট এবং রিটেইনিং ওয়াল।
  • ইট বিছানো এবং প্লাস্টারিং মর্টার
  • ড্রেনেজ স্ট্রাকচার যা ভূগর্ভস্থ পানি থেকে মাঝারি সালফেট ঘনত্বের শিকার হয়।

শাহ সিমেন্ট রেডি মিক্স:

শাহ গ্রুপের (2002 সাল থেকে) সর্বশেষ উদ্যোগ শাহ সিমেন্ট এর প্রাথমিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল প্রতি বছর ৫.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এটি ১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রও প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৮ সালে, প্রতিষ্ঠানটি ১৫,০০০ টন ক্ষমতার একটি রোলার মিল স্থাপন করে, যা ডেনিশ সংস্থা এফএলএসমিথ সরবরাহ করে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এই রোলারটিকে বিশ্বের বৃহত্তম লম্বালম্বি রোলার মিল হিসাবে স্বীকৃত করে। প্ল্যান্টটি স্বয়ংক্রিয় ব্যাচিং প্ল্যান্ট, ট্রানজিট মিক্সার, কংক্রিট পাম্প এবং সম্পূর্ণ সজ্জিত পরীক্ষাগার দিয়ে সজ্জিত যা সামঞ্জস্যপূর্ণ কংক্রিট উত্পাদনের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য মানবিক ত্রুটিগুলি দূর করে। একটি টুইন শ্যাফ্ট মিক্সার, আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহৃত সর্বশেষ উদ্ভাবন মিক্সার প্রযুক্তি, ব্যাচের অভিন্ন মিশ্রণ নিশ্চিত করে।

ACRMC:

  • ভিজ্যুয়ালাইজড প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার এবং স্বয়ংক্রিয় পিএলসি কন্ট্রোলার (সিমেন, ইন্ডিয়া) দ্বারা পরিচালিত
  • নিজস্ব জেনারেটরের সাথে 24 ঘন্টা উত্পাদন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
  • প্রতিদিন কংক্রিট উৎপাদন ক্ষমতা 30000cft।
  • 100 MTs ক্ষমতার 2টি পৃথক সিমেন্ট সাইলো।
  • 2টি বিশ্বমানের কংক্রিট পাম্প, 25 তলা পর্যন্ত কংক্রিট তোলার ক্ষমতা।
  • 7.5m3 এবং 9m3 ক্ষমতা সহ 12টি ট্রানজিট মিক্সার ট্রাক।

শাহ সিমেন্ট কিভাবে তার পণ্যের মান নিশ্চিত কর? 

শাহ সিমেন্ট মান নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন মেয়াদী এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অনুসরণ করে। তার পণ্যের মান নিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেয়:

১। গণ্যমানের উপরে গুরুত্ব দেয়া: শাহ সিমেন্ট গণ্যমানের উপরে বেশি গুরুত্ব দেয়। উপাদানগুলির সঠিক অনুপাত বজায় রাখার জন্য উত্তম মানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়।

২। গুণমানের পরীক্ষা: শাহ সিমেন্ট প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করে তাদের পণ্যের গুণমান নিশ্চিত করে। মান নিশ্চিত করার জন্য পণ্যগুলির উপাদানের সঠিক অনুপাত ও মান পরীক্ষা করা হয়।

৩। উৎপাদন পদ্ধতির নির্দেশাবলী: শাহ সিমেন্ট উৎপাদন পদ্ধতির জন্য নির্দেশাবলী স্থাপন করে। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত পদ্ধতি ও নতুনত্ব প্রয়োগ করে তাদের পণ্যের মান বজায় রাখা হয়।

৪। গুণমানের পরিস্কারতা: শাহ সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষেত্রে পরিষ্কারতা বজায় রাখা হয়। পণ্যগুলির প্রস্তুতকরণ, সংরক্ষণ ও সরবরাহের পদ্ধতিগুলি পরিষ্কারভাবে মেনে চলা হয়।

শাহ সিমেন্টের প্রধান কিছু অবকাঠামো প্রকল্প:

শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রধান অবকাঠামো প্রকল্পে যোগদান করে। কিছু জড়িত প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প হলো:

১। রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প: শাহ সিমেন্ট অবকাঠামো প্রকল্পে ব্যবহৃত হয় সড়ক নির্মাণের জন্য সিমেন্ট সরবরাহ। এটি জাতীয় সড়ক প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২। পুল নির্মাণ প্রকল্প: শাহ সিমেন্ট পুল নির্মাণ প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহ করে। পুল নির্মাণে উচ্চ মানের সিমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং শাহ সিমেন্ট এই প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়।

৩। ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্প: শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পে সিমেন্ট প্রদান করে। এটি উচ্চ মানের সিমেন্ট ব্যবহার করে গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পে।

৪। নির্মাণিত বা বাস্তবায়িত সম্পদ প্রকল্প: শাহ সিমেন্ট নির্মাণিত বা বাস্তবায়িত সম্পদ প্রকল্পের জন্য সিমেন্ট সরবরাহ করে। এটি বিভিন্ন বাস্তু ও স্থাপত্য প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়, যেমন বাসা, অফিস, কারখানা, হাসপাতাল, শপিং মল, ব্রিজ, ইত্যাদি।

এছাড়াও, শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশে নির্মাণ উদ্যোগে অন্যান্য প্রকল্পে সিমেন্ট প্রদান করে, যেমন উন্নয়ন প্রকল্প, পাইকারিল মেলা স্থলে সিমেন্ট উদ্যোগ, বাস্তবায়িত অবকাঠামো প্রকল্প, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্প, ইত্যাদি।
শাহ সিমেন্ট এই ধরনের প্রকল্পগুলির জন্য উচ্চ মানের সিমেন্ট উৎপাদন করে এবং নির্মাণ কাজে গুরুত্ব দেয় মান নিশ্চিত করতে।

শাহ সিমেন্টের উৎপাদন ক্ষমতা এবং সুবিধা

অবকাঠামো উদ্যোগে শাহ সিমেন্ট একটি বৃহত্তম উত্পাদক প্রতিষ্ঠান। তাদের কারখানায় বিভিন্ন সুবিধা ও বিশেষত্ব রয়েছে।

শাহ সিমেন্টের উৎপাদন ক্ষমতা দিয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজনগুলি মেটানো হয়। শাহ সিমেন্ট সাধারণত একটি বড় উৎপাদন কারখানা অপারেশন করে যার প্রতিষ্ঠানিক ক্ষমতা মাসিক ২.১ লক্ষ ১৫ হাজার টন।

শাহ সিমেন্টের একটি সুবিধা হলো তাদের উৎপাদন কারখানাটি সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পিত ও সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও সুবিধাসম্পন্ন। উদাহরণস্বরূপঃ এই উদ্যোগে সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত উপাদানের সরবরাহ, পরিকর সংস্থানের সুবিধা, উচ্চ গ্রেড উপাদানসমূহ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, কারখানাটি সুরক্ষিত ও নিরাপদ পরিবেশে অবস্থিত এবং উন্নয়নশীল প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্পাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

এছাড়াও শাহ সিমেন্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে উচ্চ মানের কন্ট্রোল ও মান নিশ্চিতকরণের জন্য উপযুক্ত মান নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। পরিবেশন পরিস্কারের জন্য শাহ সিমেন্টের উপাদান সংগ্রহ, উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য নিয়মিত পরিকল্পনা ও মান যাচাই করা হয়।

পরিবেশগত টেকসইতা নিশ্চিত করতে শাহ সিমেন্টের উদ্যোক

শাহ সিমেন্ট পরিবেশগত টেকসইতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়। কারখানাটি পরিবেশ সংরক্ষণের দিক থেকে সক্ষম ও জিম্মিদার পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। নিম্নলিখিত কিছু ব্যবস্থা তাদের পরিবেশগত টেকসইতা সংশ্লিষ্ট করে:

১। পরিবেশের সংরক্ষণ: শাহ সিমেন্ট কারখানাটি পরিবেশের সংরক্ষণ ও সম্পর্কিত আইন ও বিধিগুলি মেনে চলার জন্য কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে। পারিশ্রমিক পদক্ষেপ নেয়া হয় যাতে সাধারণ পরিবারের জন্য পরিবেশ পরিষ্কার এবং সুস্থ থাকে।

২। প্রযুক্তি ব্যবহার: শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশে উন্নয়নের জন্য উন্নয়নশীল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। উৎপাদন প্রক্রিয়া ও পরিবার্তনে বিশেষ দক্ষতা ব্যবহার করা হয় যাতে পরিবেশের ক্ষতি সম্পর্কে ন্যায্য সীমা থাকে।

৩। সম্পদ পরিচর্যা: এটি স্বাভাবিক সম্পদ পরিচর্যা পদ্ধতি অনুসরণ করে। প্রকল্প সম্পাদনের প্রক্রিয়াতে সম্পদ উৎপাদন, ব্যবহার এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি পরিহার করা হয়।

৪। পরিবেশের সাথে সহযোগিতা: এটি পরিবেশ সংরক্ষণে স্থানীয় সম্প্রদায় ও বাসিন্দাদের সাথে সহযোগিতা করে। পরিবেশের প্রতিষ্ঠানের সকলের উচ্চতর মানের প্রয়োজন বোঝার জন্য সক্রিয়ভাবে সাথে কাজ করে থাকে।

এই সম্পূর্ণ ব্যবস্থা ও পদক্ষেপগুলি পরিবেশের টেকসইতা নিশ্চিত করার জন্য শাহ সিমেন্ট কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে। এটি পরিবেশের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক রক্ষা করতে প্রতিবদ্ধ।

শাহ সিমেন্টের স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান

শাহ সিমেন্ট স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। নিম্নলিখিত উদাহরণগুলি দ্বারা এটি বর্ণিত হতে পারে:

১। নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ: শাহ সিমেন্ট স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্ষম ও দক্ষ শ্রমিকদের নিয়োগ করে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। নিয়োগের সময় স্থানীয় কর্মীদের সুযোগ দেওয়া হয় এবং নিয়োগের পরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যাতে তারা নিজস্ব দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ পান।

২। প্রতিষ্ঠানিক সামরিক ও সামাজিক উপস্থাপনা: শাহ সিমেন্ট স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে অবদান রাখে এবং স্থানীয় সমাজের সাথে সকলের সম্পর্ক উন্নত করার জন্য প্রতিষ্ঠানিক সামরিক ও সামাজিক উপস্থাপনা করে। সাম্প্রতিক বা বিশেষ উদ্যোগ, উদ্যোগের জন্য স্থানীয় সম্প্রদায় ও সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক অংশ নেয়।

৩। স্থানীয় সরবরাহকারীদের সাথে সহযোগিতা: শাহ সিমেন্ট স্থানীয় ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সরবরাহকারীদের সাথে সহযোগিতা করে এবং তাদের উন্নয়ন ও সমর্থন করে। স্থানীয় প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যোগে সক্ষম সরবরাহকারীদের সমর্থন এবং সুযোগ প্রদান করে যাতে তারা উন্নতি ও অগ্রগতির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

এইভাবে শাহ সিমেন্ট স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সক্ষমভাবে অবদান রাখে এবং স্থানীয় সমাজের সাথে সীমাবদ্ধভাবে সহযোগিতা করে। এটি উদ্যোগের জন্য স্থানীয় অর্থনীতির প্রশাসনিক ও সামাজিক দিক সম্পর্কে সচেতন এবং সামাজিক ভাবে দায়িত্বশীল।

শাহ সিমেন্ট এর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বা প্রযুক্তি ব্যবহার

শাহ সিমেন্ট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কিছু বৈশিষ্ট্য এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এবং প্রযুক্তি হলো:

১। Vertical Roller Mill (VRM): শাহ সিমেন্টের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় VRM ব্যবহার করা হয়। এটি একটি উন্নত প্রযুক্তি যা সিমেন্টের উপাদানগুলি ঘনীভূত করে উৎপাদন করতে সহায়তা করে।

২। সিমেন্ট আর্টসান: এই সিমেন্ট তাদের উৎপাদিত সিমেন্টের মান নিশ্চিত করতে সিমেন্ট আর্টসান প্রয়োগ করে। এটি একটি উন্নত মান নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যা সিমেন্টের সঠিক মান ও গুণগত পরিমাণ নিশ্চিত করে।

৩। পরিস্কারক সিমেন্ট প্রয়োজন: এই সিমেন্টের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পরিস্কারক সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়। এটি পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গত এবং ব্যবহারকারীদের পছন্দ করা পরিষ্কার একটি পণ্য প্রদান করে।

৪। উচ্চ মানের উপাদান: এটি সম্পন্নতা ও দৃঢ়তার জন্য উচ্চ মানের উপাদান ব্যবহার করা হয়। সঠিক উপাদানের ব্যবহার উন্নত মানের সিমেন্ট উৎপাদন ও মান নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

এছাড়াও শাহ সিমেন্ট অন্যান্য প্রযুক্তি ও পদক্ষেপ ব্যবহার করে যা সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও উন্নয়নশীলতার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি উন্নত উপাদান মিশ্রণ, মডার্ন প্রক্রিয়াকরণ, কৌশল ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য মান নিশ্চিত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপগুলি নিয়ে থাকে।

শাহ সিমেন্ট বিতরণ নেটওয়ার্ক

শাহ সিমেন্ট একটি বৃহত্তম সিমেন্ট উত্পাদক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সংগ্রহস্থল, কারখানা ও সঞ্চালনের মাধ্যমে সিমেন্ট সরবরাহ করে বাংলাদেশের সারা এলাকায়।

শাহ সিমেন্টের বিতরণ নেটওয়ার্কটি সক্ষমভাবে পরিচালিত হয় যাতে সিমেন্ট সম্পূর্ণভাবে প্রয়োজনীয় অঞ্চলে পৌঁছাতে পারে। শাহ সিমেন্ট কারখানা সক্ষম হয় বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে সিমেন্ট সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ও বিতরণ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে।

শাহ সিমেন্টের সরবরাহ প্রক্রিয়া বিভিন্ন স্তরে নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রথমত, তাদের সিমেন্ট প্রতিষ্ঠান থেকে স্টোর হয় যেখানে সিমেন্ট পরিচালনা ও সংরক্ষণ করা হয়। এরপর সিমেন্ট কারখানা থেকে সঠিক পরিবহনের মাধ্যমে সিমেন্ট পরিবহন করা হয়।

শাহ সিমেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিতরণ নেটওয়ার্ক থেকে পৌঁছাতে পারে। তাদের উন্নত লজিস্টিক ও বিতরণ নেটওয়ার্ক দ্বারা সিমেন্ট সম্পূর্ণভাবে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে বিভিন্ন অঞ্চলে এবং শহরে পৌঁছাতে পারে।
শাহ সিমেন্টের বিতরণ নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয় এবং তাদের সিমেন্ট সারাবাংলাদেশে সরাসরি পৌঁছাতে পারে।

শাহ সিমেন্ট এর উপাদান

যে কোন জিনিস উৎপাদনের জন্য অবশ্যই কাঁচামাল ব্যবহার করতে হয়। ঠিক তেমনি একই সিমেন্ট তৈরি করতে কি কি উপাদান ব্যবহার করতে হয় সেটিরও একটি নির্দিষ্ট উপাদান রয়েছে। ইন্টারনেটে অনেকেই জানতে চাই আগে সিমেন্ট এর উপাদান সম্পর্কে। আগের সিমেন্ট তৈরির জন্য রাসায়নিক মিশ্রণ হিসেবে ক্যালসিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন ব্যবহার করা হয় এছাড়াও একই সিমেন্ট উৎপাদন করার ক্ষেত্রে চুনাপাথর, শাঁস এবং শক, ক্লে, স্লেট, বিস্ফোরণ চুল্লি স্ল্যাগ, সিলিকা বালি এবং লোহা আকরিক অন্তর্ভুক্ত।

১। প্রশ্ন: ১ বস্তা শাহ সিমেন্টর দাম কত?

উওর: ১ বস্তা সিমেন্টের মূল্য ৫১০ থেকে ৫৫০ টাকা। 

২। প্রশ্ন: শাহ সিমেন্ট কোন দেশের সিমেন্ট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান?

উওর: বাংলাদেশের একটি পরিচিত সিমেন্ট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান

৩। প্রশ্ন: শাহ কোন ধরণের সিমেন্ট তৈরী করে ?

উওর: শাহ সিমেন্ট পরিশুদ্ধ, উন্নতমানের পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট উৎপাদন করে

৪। প্রশ্ন: শাহ সিমেন্ট কত ধরণে বাজারে পাওয়া যায়?

উওর: ৪ ধরণের শাহ সিমেন্ট বাজারে পাওয়া যায়।
যেমন: 
১। শাহ প্লাটিনাম পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট: 
২। শাহ স্পেশাল পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট: 
৩। শাহ ডাউন টাইম স্পেশাল পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট: 
৪। শাহ বাংলা পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট :

৫। প্রশ্ন: শাহ সিমেন্ট কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়?

উওর: ১। রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প:
২। পুল নির্মাণ প্রকল্প:
৩। ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্প:
৪। নির্মাণিত বা বাস্তবায়িত সম্পদ প্রকল্প: বাস্তু ও স্থাপত্য প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়, যেমন বাসা, অফিস, কারখানা, হাসপাতাল, শপিং মল, ব্রিজ, ইত্যাদি।

৬। প্রশ্ন:শাহ সিমেন্টর উৎপাদন ক্ষমত কত?

উওর: শাহ সিমেন্ট সাধারণত একটি বড় উৎপাদন কারখানা অপারেশন করে যার প্রতিষ্ঠানিক ক্ষমতা মাসিক ২.১ লক্ষ ১৫ হাজার টন।

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.