কোণ কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | কোণ কত প্রকার ও কি কি?

কোণ কাকে বলে: স্বাগতম! আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব "কোণ কাকে বলে" বিষয়টি নিয়ে। কোণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় এবং এর অনেক প্রকার রয়েছে। এখানে আমরা কোণের সংজ্ঞা, বিভিন্ন ধরনের কোণ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সহজ ভাষায় জানবো।

কোণ কাকে বলে?

কোন সমতলে একটি বিন্দু থেকে দুটি রশ্মি বের হলে যে জ্যামিতিক আকৃতি তৈরি হয়, সেটিকে কোণ বলে। 

অথবা, দুইটি সরলরেখা পরস্পর কোন বিন্দুতে মিলিত হয়ে যে জ্যামিতিক আকৃতি ধারণ করে বা গঠন করে তাকে কোণ বলে।

দুইটি রেখার শেষ বিন্দু পরস্পর মিলিত হয়ে কোণ তৈরি করে। দুটি সরলরেখা যখন একসাথে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়, তখন একটি জ্যামিতিক আকৃতি তৈরি হয়, যাকে কোণ বলা হয়। 

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যখন দুইটি রেখাংশের শেষ বিন্দু একসাথে মিলিত হয়, তখন কোণ তৈরি হয়। এছাড়া, যদি দুইটি সরলরেখা তির্যকভাবে এক বিন্দুতে মিলিত হয়, তখনও কোণ তৈরি হয়। এমন অবস্থায় চারটি কোণ তৈরি হয়। তাই, দুইটি সরলরেখা, বক্ররেখা, রেখাংশ বা রশ্মির শেষ বিন্দু একসাথে মিলিত হলে যে আকৃতি তৈরি হয়, সেটাই হলো কোণ।

কোণ কত প্রকার ও কি কি?

কোণকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়, যেমন তার আকার, গঠন ও পরিমাপের উপর ভিত্তি করে। এর সঠিক প্রকারভেদ নির্ধারণ করা কঠিন। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কোণের প্রকার দেওয়া হলোঃ

  • শুন্যকোণ
  • সূক্ষ্মকোণ
  • সমকোণ
  • স্থূলকোণ
  • সরলকোণ
  • প্রবৃদ্ধ কোণ
  • পূর্ণ কোণ
  • সম্পূরক কোণ
  • পরিপূরক কোণ
  • অনুরূপ কোণ
  • একান্তর কোণ
  • সন্নিহিত কোণ
  • পূরক কোণ

শুন্যকোণ

যদি কোন কোণের পরিমাণ শূন্য (0°) হয়, তবে সেটিকে শুন্যকোণ বলা হয়। এই অবস্থায় কোনো কোণ তৈরি হয়নি, এটি একটি বিন্দুকে নির্দেশ করে।

সূক্ষ্মকোণ

যদি কোনো কোণের পরিমাণ ৯০° (সমকোণ) এর চেয়ে কম হয়, তবে সেটিকে সূক্ষ্মকোণ বলা হয়। সূক্ষ্মকোণের মান θ হয় এবং θ এর সীমা হবে ০° < θ < ৯০°। সাধারণত একটি ত্রিভুজের যেকোনো দুটি কোণ সূক্ষ্মকোণ হয়।

সমকোণ

যদি কোণের পরিমাণ ৯০° হয়, তবে সেটিকে সমকোণ বলা হয়। যখন একটি রেখা একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে লম্বভাবে অঙ্কিত হয়, তখন যে কোণ তৈরি হয়, সেটি সমকোণ।

স্থূলকোণ

যদি কোণের পরিমাণ ৯০° এর বেশি এবং ১৮০° এর কম হয়, তবে সেটিকে স্থূলকোণ বলা হয়। এটি এমন কোণ, যা সমকোণ থেকে বড় এবং সরলকোণ (১৮০°) থেকে ছোট। এর মান θ হয় এবং θ এর সীমা হবে ৯০° < θ < ১৮০°।

সরলকোণ

দুটি সমকোণ মিলে একটি সরলকোণ তৈরি হয়। যদি দুটি রেখা পরস্পর বিপরীতমুখী হয়, তাহলে যে কোণ তৈরি হয়, সেটি সরলকোণ। আমরা জানি, ২ সমকোণ = ১ সরলকোণ।

প্রবৃদ্ধ কোণ

যদি কোণের পরিমাণ ১৮০° এর বেশি এবং ৩৬০° এর কম হয়, তবে সেটিকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলা হয়। অর্থাৎ, ১ সরলকোণ থেকে বেশি এবং ২ সরলকোণ থেকে কম কোণ।

পূর্ণ কোণ

যদি কোণের পরিমাণ ৩৬০° হয়, তবে সেটিকে পূর্ণ কোণ বলা হয়। অর্থাৎ, একটি রেখা এক বিন্দু থেকে ঘুরে আবার একই বিন্দুতে আসলে যে কোণ তৈরি হয়, সেটি পূর্ণ কোণ।

সন্নিহিত কোণ

সন্নিহিত কোণ হতে হলে, একটি শীর্ষবিন্দুতে দুটি কোণ থাকতে হবে এবং একটি সাধারণ রশ্মি থাকতে হবে। তখন যে দুটি কোণ তৈরি হয়, তাদের সন্নিহিত কোণ বলা হয়।

পূরক কোণ

যদি দুটি কোণের যোগফল ৯০° হয়, তবে একটি কোণ অপরটির পূরক কোণ বলা হয়।

সম্পূরক কোণ

যদি দুটি কোণের যোগফল ১৮০° হয়, তবে একটি কোণ অপরটির সম্পূরক কোণ বলা হয়।

পরিপূরক কোণ

যদি দুটি কোণের যোগফল ৩৬০° হয়, তবে একটি কোণ অপরটির পরিপূরক কোণ বলা হয়।

অনুরূপ কোণ

যদি দুটি সরলরেখা একসাথে ছেদ করে এবং একই দিকে দুইটি সম্মুখ কোণ তৈরি হয়, তাহলে সেগুলোকে অনুরূপ কোণ বলা হয়।

একান্তর কোণ

যদি দুটি সমান্তরাল সরলরেখা অন্য একটি সরলরেখা দ্বারা একই দিকে ছেদ করা হয় এবং ছেদকের বিপরীত পাশে কোণ তৈরি হয়, সেটি একান্তর কোণ।

আশা করি, আজকের পোস্টে "কোণ" সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনারা আরো পড়তে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শিক্ষামূলক পোস্ট। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে থাকুন!

Getting Info...

إرسال تعليق

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.