সুপারক্রিট সিমেন্ট এর দাম কত? [এইমাত্র পাওয়া] | আজকে সুপার কিট সিমেন্টের দাম কত টাকা | সুপারক্রিট সিমেন্ট ডিলার | সুপারক্রিট সিমেন্ট কেমন | সুপারক্রিট সিমেন্ট হেড অফিস | বাংলাদেশে সুপারক্রিট সিমেন্টের দাম কত?

সুপারক্রিট সিমেন্ট: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা আলোচনা করবে সুপারক্রিট সিমেন্ট দাম সম্পর্কে। তোমরা এখান থেকে যে বিষয় গুলোজানতে পারবে তা হলে স

সুপারক্রিট সিমেন্ট: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা আলোচনা করবে সুপারক্রিট সিমেন্ট দাম সম্পর্কে। তোমরা এখান থেকে যে বিষয় গুলোজানতে পারবে তা হলে সুপারক্রিট সিমেন্টর দাম? ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। চলো তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে সুপারক্রিট সিমেন্ট দাম, ব্যবহার, ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেই।  

সুপারক্রিট সিমেন্ট বাংলাদেশের একটি পরিচিত সিমেন্ট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এটি একটি অংশগ্রহণকারী শীর্ষ উৎপাদক এবং সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত। সুপারক্রিট সিমেন্ট লিমিটেড হলো সুপারক্রিট গ্রুপের একটি উদ্যোগ, যা প্রায় ২৮ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।

সুপারক্রিট সিমেন্ট পরিশুদ্ধ, উন্নতমানের পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট উৎপাদন করে। এটি নির্মাণ ও প্রকল্পের জন্য উত্তম মানের সিমেন্ট প্রদান করে। সুপারক্রিট সিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বোত্তম মানের সিমেন্ট উৎপাদন করে সম্ভাবনাময় সব নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা।

১ বস্তা সিমেন্টের দাম কত?

সুপারক্রিট সিমেন্ট দাম হচ্ছে ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫৬০ টাকা প্রতি বস্তা। এই সিমেন্ট দিয়ে নির্মাণ কাজ দ্রুত এবং টেকসই হয় তাই অন্যান্য ব্রান্ডের সিমেন্টের বস্তার তুলনায় সুপারক্রিট সিমেন্টের বেশি থাকে এবং  বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে ৫৫০-৫৬০ টাকা প্রতি বস্তা দামে সুপারক্রিট সিমেন্ট কিনতে পারবেন। দাম আরো একটু বেশি হতে পারে।

সুপারক্রিট সিমেন্টের দাম খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ৫-১০ টাকা বেশি হলেও আপনি যদি অফিসিয়াল ডিলার থেকে সুপারক্রিট সিমেন্ট ক্রয় করেন, তাহলে ৫৫০ টাকা প্রতি বস্তা হিসেবে এই সিমেন্ট কিনতে পারবেন। তাহলে কম দামে পাবেন। বেশি করে নিলে আরো কম রাখতে পারে। 

সুপারক্রিট সিমেন্ট মূল্য তালিকা 

সুপারক্রিট সিমেন্ট পরিমাণ আজকের দাম
১ বস্তা সুপারক্রিট সিমেন্ট এর দাম ৫৫০ – ৫৬০ টাকা
২ বস্তা সুপারক্রিট সিমেন্ট এর দাম ১,০১০ – ১,০২০ টাকা
৫ বস্তা সুপারক্রিট সিমেন্ট এর দাম ২,৭৫০ – ২,৮০০ টাকা
১০ বস্তা সুপারক্রিট সিমেন্ট এর দাম ৫,৫০০ – ৫,৬০০ টাকা
২০ বস্তা সুপারক্রিট সিমেন্ট এর দাম ১১,০০০ – ১১,২০০ টাকা
৫০ বস্তা সুপারক্রিট সিমেন্ট এর দাম ২৭,৫০০ – ২৮,০০০ টাকা
১০০ বস্তা সুপারক্রিট সিমেন্ট এর দাম ৫৫,০০০ – ৫৬,০০০ টাকা

সুপারক্রিট সিমেন্ট ডিলার

সুপারক্রিট সিমেন্টের ডিলারদের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার নির্মাণ কাজের জন্য সেরা মানের সিমেন্ট পেতে পারেন। সুপারক্রিট সিমেন্ট এর ডিলাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে সেবা দিয়ে থাকে। তারা দ্রুত সরবরাহ এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সিমেন্ট প্রদান করে, যা আপনার প্রকল্পের জন্য আদর্শ। বিস্তারিত জানতে বা অর্ডার করতে সরাসরি যোগাযোগ করুন সুপারক্রিট সিমেন্ট ডিলারের ফেসবুক পেজে: Supercrete Cement Dealer

সঠিক দামে, গুণগত মানের সিমেন্টের নিশ্চয়তা দিতে সুপারক্রিট সিমেন্ট ডিলার আপনার বিশ্বস্ত সহযোগী।

সুপারক্রিট সিমেন্ট হেড অফিস

সুপারক্রিট সিমেন্টের হেড অফিস LafargeHolcim Bangladesh Ltd.-এর অধীনে পরিচালিত হয়, যা ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থিত। হেড অফিস থেকে সুপারক্রিট সিমেন্টের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যেমন বিক্রয়, বিপণন, এবং ডিলার ব্যবস্থাপনা।

ঠিকানা:
  • LafargeHolcim Bangladesh Ltd.
  • Plot 12, Road 135, Gulshan-1, Dhaka-1212, Bangladesh
  • ফোন: +880 2 222277001-5
  • ওয়েবসাইট: www.lafargeholcim.com.bd

এই অফিসের মাধ্যমে সুপারক্রিট সিমেন্টের সকল প্রকার গ্রাহকসেবা এবং তথ্য সরবরাহ করা হয়। তবে আমরা হেড অফিস এর ঠিকানা নিশ্চয়তা দিতে পারবো না।

সুপারক্রিট সিমেন্ট কেমন

সুপারক্রিট সিমেন্ট বাংলাদেশের অন্যতম উন্নত মানের সিমেন্ট হিসেবে পরিচিত। এটি উচ্চমানের কাঁচামাল থেকে তৈরি, যা স্থায়িত্ব এবং শক্তির জন্য উপযুক্ত। সুপারক্রিট সিমেন্ট বিশেষ করে বড় অবকাঠামো প্রকল্প, যেমন সেতু, টানেল, এবং উচ্চতল ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। এর নির্ভরযোগ্যতা ও টেকসই গুণাবলি সিমেন্টকে দেশে জনপ্রিয় করে তুলেছে। পাশাপাশি, সুপারক্রিট সিমেন্ট কম সংকোচন এবং উচ্চ চাপ সহ্য করতে সক্ষম, যা ভবনের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে।

সুপারক্রিট সিমেন্ট কোন দেশের কোম্পানি

সুপারক্রিট সিমেন্ট বাংলাদেশের একটি কোম্পানি। এটি বাংলাদেশে উৎপাদিত সিমেন্ট ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি, যা নির্মাণ কাজের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। Supercrete Cement ব্র্যান্ডটি LafargeHolcim Bangladesh Ltd.-এর অধীনে পরিচালিত হয়, যা একটি আন্তর্জাতিক সিমেন্ট কোম্পানি হলেও, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে সুপারক্রিট সিমেন্ট উৎপাদন এবং সরবরাহ করে থাকে।

বাংলাদেশে সুপারক্রিট সিমেন্টের ইতিহাস

সুপারক্রিট সিমেন্ট বাংলাদেশে একটি পরিচিত সিমেন্ট কোম্পানি যা দেশের সিমেন্ট ও নির্মাণ উদ্যোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাখে। এটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং কারখানাটি গাজীপুর জেলার নরসিংদী উপজেলায় অবস্থিত

সুপারক্রিট সিমেন্ট প্রথমে বাংলাদেশে অল্প সংখ্যক কারখানা হিসেবে কাজ শুরু করে। কিন্তু দ্রুতই তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ও সম্প্রসারণ বাড়িয়ে নেয়। এখন সুপারক্রিট সিমেন্ট বাংলাদেশের সর্বাধিক উৎপাদক সিমেন্ট কোম্পানি হিসেবে গণ্য হয়ে উঠেছে।

সুপারক্রিট সিমেন্ট প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত উদ্যোগ হিসেবে গণ্য, যা উন্নত সিমেন্ট উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সর্বাধিক মানের সিমেন্ট উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনকারীতা মেটাতে এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা।

সুপারক্রিট সিমেন্টের প্রধান কিছু অবকাঠামো প্রকল্প:


সুপারক্রিট সিমেন্ট বাংলাদেশের কিছু প্রধান অবকাঠামো প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়েছে, যেগুলো দেশটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সুপারক্রিট সিমেন্টের প্রধান অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:

পদ্মা সেতু প্রকল্প – বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম সেতু প্রকল্প, যা দেশের অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মেট্রোরেল প্রকল্প (Dhaka Metro Rail) – ঢাকায় যানজট কমানোর জন্য নির্মিত এই মেট্রোরেল প্রকল্পেও সুপারক্রিট সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র – বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সুপারক্রিট সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

কর্ণফুলী টানেল – কর্ণফুলী নদীর নিচে তৈরি বাংলাদেশের প্রথম টানেল, যেটি চট্টগ্রাম শহরের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করছে।

পায়রা সমুদ্র বন্দর – দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, যেখানে সুপারক্রিট সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়েছে।

এসব প্রকল্পে সুপারক্রিট সিমেন্টের ব্যবহার তার গুণগত মান ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ বহন করে।

সুপারক্রিট সিমেন্ট এর উপাদান

সুপারক্রিট সিমেন্টের উপাদান:

সুপারক্রিট সিমেন্ট একটি উন্নতমানের সিমেন্ট যা বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণে তৈরি হয়। এর মূল উপাদানগুলি সাধারণত নিম্নলিখিত:

  • পোর্টল্যান্ড ক্লিন্কার (Portland Clinker): এটি সিমেন্টের প্রধান উপাদান, যা সিমেন্টের শক্তি এবং স্থায়িত্ব প্রদান করে।
  • পজ্জোলানা (Pozzolana): একটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপাদান যা সিমেন্টের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং এর স্থায়িত্ব বাড়ায়।
  • জিপসাম (Gypsum): এটি সিমেন্টের সেটিং সময় নিয়ন্ত্রণ করে এবং সিমেন্টকে সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।
  • ফ্লাই অ্যাশ (Fly Ash): এটি একটি উপশম উপাদান যা সিমেন্টের শক্তি বাড়ায় এবং পরিবেশবান্ধব।
  • স্লাগ (Slag): এটি একটি শিল্পগত副োড যা সিমেন্টের কেমিক্যাল স্থিতিশীলতা বাড়ায় এবং এর সামগ্রিক কার্যকারিতা উন্নত করে।

সুপারক্রিট সিমেন্টের বৈশিষ্ট্য:

  • উচ্চ শক্তি: এটি শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী নির্মাণ নিশ্চিত করে।
  • মৌলিক বৈশিষ্ট্য: এটি জলরোধী, দ্যুতি বৃদ্ধিকারী এবং ক্র্যাক প্রতিরোধক।
  • পরিবেশবান্ধব: এটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করে এবং কম কার্বন নিঃসরণ করে।

সুপারক্রিট সিমেন্টের এই উপাদানগুলি একসাথে মিশ্রিত হয়ে একটি উচ্চ মানের সিমেন্ট তৈরি করে যা নির্মাণ প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত।

আগের সিমেন্ট তৈরির জন্য রাসায়নিক মিশ্রণ হিসেবে ক্যালসিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন ব্যবহার করা হয় এছাড়াও একই সিমেন্ট উৎপাদন করার ক্ষেত্রে চুনাপাথর, শাঁস এবং শক, ক্লে, স্লেট, বিস্ফোরণ চুল্লি স্ল্যাগ, সিলিকা বালি এবং লোহা আকরিক অন্তর্ভুক্ত।

সুপারক্রিট সিমেন্ট বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা ও উন্নতমানের সিমেন্ট উৎপাদনের মাধ্যমে, এটি দেশের শীর্ষ সিমেন্ট প্রস্তুতকারকদের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। আশা করি, এই আলোচনা থেকে আপনি সুপারক্রিট সিমেন্টের দাম, ব্যবহার এবং ইতিহাস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছেন। আরও বিস্তারিত জানতে বা সঠিক মূল্য পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.