ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? (সহজ ভাবে) | ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব! | ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায় | ব্যবস্থাপনা কি | ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য

ব্যবস্থাপনা কাকে বলে: ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান তার সম্পদগুলো যেমন মানুষ, অর্থ, এবং তথ্যের সঠিক ব্যবহার করে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য পূরণ করা খুবই কঠিন। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সহজভাবে জানবো এবং এর উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করবো।

Management বা ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি, যা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করে থাকে। অর্থাৎ, পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মী নিয়োগ, নির্দেশনা, উৎসাহ, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য পূরণ করাকে ব্যবস্থাপনা বা Management বলে।

ব্যবস্থাপনা হল এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে মানুষের কাজগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হয় যাতে প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। মানুষ, অর্থ, তথ্য, এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

সহজ কথায়: সহজভাবে বলতে গেলে, ব্যবস্থাপনা হল প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তার সমস্ত জিনিস সঠিকভাবে ব্যবহারের একটি পদ্ধতি। এর মধ্যে পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, উৎসাহ দেওয়া, এবং নিয়ন্ত্রণের মতো কাজ থাকে।

ব্যবস্থাপনা কি?

ব্যবস্থাপনা হল কাজ করার একটি পদ্ধতি, যেখানে লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন জিনিস সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়। "ব্যবস্থাপনা" শব্দটি ইংরেজি "Management" শব্দের বাংলা। এই শব্দটি এসেছে ইতালীয় বা ল্যাটিন "Maneggiare" থেকে, যার মানে ঘোড়া চালানো বা নিয়ন্ত্রণ করা।

বিখ্যাত ব্যক্তিদের সংজ্ঞা

বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিরা ব্যবস্থাপনার ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:

• নিউম্যান: "ব্যবস্থাপনা হল প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করা।"
• হেনরি ফেওল: "ব্যবস্থাপনা হল পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা এবং নিয়ন্ত্রণের মিশ্রণ।"
• ব্রেক: "Management হল কাজটি সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা দেখা।"

ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য

ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

• মুখ্য উদ্দেশ্য: মুনাফা অর্জন, মালিক ও কর্মীদের কল্যাণ, এবং প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা।
• গৌণ উদ্দেশ্য: উন্নয়ন, সম্পর্ক বৃদ্ধি, এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।

ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য

ব্যবস্থাপনা একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

• লক্ষ্য-ভিত্তিকতা: ব্যবস্থাপনার কাজগুলো সব সময় একটি লক্ষ্য পূরণের দিকে যায়।
• সর্বজনীনতা: ব্যবস্থাপনা সব জায়গায় দরকার হয়, যেমন পরিবার, ব্যবসা বা রাষ্ট্র।
• সামাজিক প্রক্রিয়া: ব্যবস্থাপনা মানুষের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন ব্যবস্থাপক-কর্মচারী সম্পর্ক।
• শৃঙ্খলা: নিয়ম মেনে কাজ করা ব্যবস্থাপনার মূল বিষয়।
• পরিবর্তনশীলতা: সময় ও পরিবেশের সাথে সাথে ব্যবস্থাপনা বদলাতে পারে।
• প্রক্রিয়া: এটি ধারাবাহিক কাজের একটি ধাপ, যা একসাথে সম্পন্ন হয়।

এই বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যবস্থাপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হিসেবে তুলে ধরে।

ব্যবস্থাপনা কেবল একটি পদ্ধতি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। সঠিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া, প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্য পূরণ করতে পারে না। ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন লক্ষ্য-ভিত্তিকতা, শৃঙ্খলা এবং পরিবর্তনশীলতা এটিকে একটি শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে। সঠিক পরিকল্পনা, সংগঠন, এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্যগুলো সহজে অর্জন করতে পারে।