সমকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে? এটি এমন একটি আকর্ষণীয় বিষয় যা গাণিতিক ধারণাগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। এই ত্রিভুজে একটি কোণ ৯০ ডিগ্রি থাকে, যা এটিকে অন্যান্য ত্রিভুজের থেকে আলাদা করে।
আপনি কি জানেন, সমকোণী ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল, পরিসীমা এবং বৈশিষ্ট্য কিভাবে বের করা হয়? আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা এই সবকিছু জানব এবং কিছু উদাহরণ দেখব। আসুন, একসাথে সমকোণী ত্রিভুজের জাদুতে ডুব দিই!
সমকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে?
সমকোণী ত্রিভুজ বলতে এমন একটি ত্রিভুজকে বোঝায় যার একটি কোণ ৯০ ডিগ্রি। এটি এমন একটি ত্রিভুজ যেখানে একটি কোণ সমকোণ হয়।
সমকোণী ত্রিভুজের উদাহরণ
চিত্র:- ABC একটি সমকোণী ত্রিভুজ, যেখানে কোণ C=৯০ ডিগ্রি। তাই এটি একটি সমকোণী ত্রিভুজ।
ক্ষেত্রফল
সমকোণী ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল বের করতে, আমরা ব্যবহার করি:
ক্ষেত্রফল = ১/২ * ভূমি * উচ্চতা
পরিসীমা
সমকোণী ত্রিভুজের পরিসীমা বের করার জন্য তিন বাহুর যোগফল করতে হবে:
পরিসীমা = ত্রিভুজের তিন বাহুর যোগফল
বৈশিষ্ট্য
- ১। সমকোণী ত্রিভুজে একটি কোণ অবশ্যই ৯০ ডিগ্রি হয়।
- ২। সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজ হলো সবচেয়ে বড় বাহু, যা সমকোণের বিপরীত থাকে।
- ৩। লম্ব ও ভূমি নির্ধারণের ক্ষেত্রে লম্ব এবং ভূমির যে কোনো একটিকে ধরা যেতে পারে।
- ৪। সমকোণী ত্রিভুজের দুটি কোণ পরস্পর পূরক হয়।
- ৫। ত্রিভুজের একটি কোণ ৯০ ডিগ্রি হলে, ত্রিভুজটি সমকোণী ত্রিভুজ হয়।
সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ
যে ত্রিভুজের তিনটি কোণই ৯০ ডিগ্রি থেকে কম হয়, তাকে সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ বলে।
স্থূলকোণী ত্রিভুজ
যে ত্রিভুজের একটি কোণ ৯০ ডিগ্রি থেকে বড় হয়, তাকে স্থূলকোণী ত্রিভুজ বলে।
পরীক্ষায় আসা প্রশ্নাবলী
১। অতিভুজের বিপরীতে থাকে:
(ক) সমকোণ
২। সমকোণী ত্রিভুজের একটি কোণ ৯০ ডিগ্রি হলে, বাকি দুটি কোণের মান হবে:
(গ) ৯০ ডিগ্রি
৩। একটি ত্রিভুজের দুটি কোণ ৩৫ ডিগ্রি এবং ৫৫ ডিগ্রি। ত্রিভুজটি হবে:
(ক) সমকোণী ত্রিভুজ
৪। একটি ত্রিভুজের কোণ ১০ ডিগ্রি এবং ৮০ ডিগ্রি হলে, এটি:
(গ) সমকোণী ত্রিভুজ
৫। দ্বিতীয় কোণটি ২০ ডিগ্রি হলে, তৃতীয় কোণ হবে:
(ঘ) ৭০ ডিগ্রি
সমকোণী ত্রিভুজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল গাণিতিক নয়, বরং প্রকৃতির নানা দিকেও আমাদের দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি আরও জানতে চান এবং গাণিতিক বিষয় নিয়ে আরও কিছু পড়তে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট studytika.com-এ আরও পোস্ট পড়তে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!