প্রিয় পাঠক, আজ আমরা এক বিশেষ বিষয় নিয়ে কথা বলব—স্থিতিস্থাপকতা। এটি পদার্থের একটি অনন্য ক্ষমতা, যা চাপ বা বিকৃতির পর তাকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। একটি রবারের বলের উদাহরণ দিয়ে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে এটি কাজ করে।
এই পোস্টে আমরা স্থিতিস্থাপকতার বৈশিষ্ট্য, প্রভাব এবং বিকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। আশা করছি, তুমি পুরো পোস্টটি পড়ে বিজ্ঞানকে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে?
পদার্থের চাপ বা বিকৃতির পর আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষমতাকে স্থিতিস্থাপকতা বলে।
স্থিতিস্থাপকতা হলো একটি পদার্থের সেই বিশেষ ক্ষমতা, যা তার আকার ও আয়তন পরিবর্তন না করতে সাহায্য করে। যখন কোনো বাহ্যিক বল বা চাপ একটি পদার্থে প্রয়োগ করা হয়, তখন সে তার আকার পরিবর্তন করে, কিন্তু চাপ তুলে নিলে সেটি আবার আগের আকারে ফিরে আসে।
উদাহরণ
ধরি, একটি রবারের বল। যখন আমরা সেটি হাতে ধরে চাপ দিই, তখন এটি গোলাকার অবস্থায় থাকে, কিন্তু আয়তনে সংকুচিত হয়। চাপ সরিয়ে নিলে বলটি আবার আগের আয়তন ফিরে পায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
যখন কোনো বস্তুর ওপর দুটি আলাদা বিন্দুতে সমান শক্তি একেবারে বিপরীত দিকে কাজ করে, তখন এই শক্তিগুলো একত্রে বস্তুটির মধ্যে কোনো সরল গতি তৈরি না করে, বরং ঘূর্ণন গতি উৎপন্ন করে। এই শক্তির জোড়াকে দ্বন্দ্ব বলা হয়।
স্থিতিস্থাপকতার উপর প্রভাব
- অপদ্রব্যের প্রভাব: কোনো ধাতুর সঙ্গে অপদ্রব্য মিশালে, ধাতুটির স্থিতিস্থাপকতা পরিবর্তিত হয়।
- প্রযুক্ত বলের প্রভাব: কোনো ধাতুকে বারবার চাপ দিলে, এর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়।
- উষ্ণতার প্রভাব: সাধারণত উষ্ণতা বাড়লে পদার্থের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং উষ্ণতা কমলে এটি বেড়ে যায়।
- পদার্থের অবস্থা: পদার্থের ভৌত অবস্থার ওপর তার স্থিতিস্থাপক আচরণ প্রদর্শনের ক্ষমতা নির্ভর করে। কঠিন পদার্থের জন্য এটি বেশি হয়।
স্থিতিস্থাপক সীমা
স্থিতিস্থাপক সীমা হলো সেই সীমা, যার মধ্যে একটি বস্তু বাহ্যিক চাপের ফলে আকার বদলায় এবং চাপ উঠিয়ে নিলে তা আবার পূর্বের আকারে ফিরে আসে।
বিকৃতি কাকে বলে?
বিকৃতি হলো বাহ্যিক চাপের কারণে কোনো বস্তু বা পদার্থের আকার বা আয়তন পরিবর্তন। যখন কোনো পদার্থের দৈর্ঘ্য বা আয়তন পরিবর্তিত হয়, তখন সেটিকে বিকৃতি বলা হয়।
বিকৃতির প্রকার
- অনুদৈর্ঘ্য বিকৃতি: বাহ্যিক চাপের কারণে দৈর্ঘ্যে পরিবর্তন।
- আয়তন বিকৃতি: বাহ্যিক চাপের কারণে আয়তনে পরিবর্তন।
- কৃত্তন বিকৃতি: চাপের কারণে আয়তন অপরিবর্তিত থেকে শুধুমাত্র আকৃতির পরিবর্তন।
পীড়ন কাকে বলে?
পীড়ন হলো বাহ্যিক চাপের কারণে পদার্থের মধ্যে তৈরি হওয়া অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া। এটি বিকৃতি সৃষ্টি করতে চায় এমন বাহ্যিক চাপের বিরুদ্ধে কাজ করে।
পীড়নের পরিমাপ
পীড়নের মান হলো বাহ্যিক চাপের পরিমাণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর একক হলো নিউটন/মি² বা ডাইন/সেমি²।
আশা করি, তোমরা স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছো। বিজ্ঞানকে আরো গভীরভাবে জানতে এবং নতুন তথ্য পেতে, আমার ওয়েবসাইটে আরও পোস্ট রয়েছে। তাই, সেগুলো পড়তে ভুলবে না। ধন্যবাদ!