আপনারা কি জানেন, বিভব শক্তি কাকে বলে? এটি একটি অসাধারণ শক্তি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম কাজে ব্যবহৃত হয়। যখন আমরা কোনো বস্তুকে তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাই, তখন সেই বস্তু নতুন একটি শক্তি অর্জন করে।
এই শক্তি কিভাবে কাজ করে এবং এর পেছনের বিজ্ঞান সম্পর্কে জানার জন্য এই পোস্টটি পড়ুন। আসুন, বিভব শক্তির রহস্য উন্মোচন করি এবং জানি কিভাবে এটি আমাদের চারপাশে কাজ করে। বিস্তারিত জানতে থাকুন।
বিভব শক্তি কাকে বলে?
স্বাভাবিক অবস্থান থেকে পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য অবস্থানে বা স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন করে অন্য কোনো অবস্থায় আনলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভব শক্তি বলে।
বিভব শক্তি হলো এমন এক ধরনের শক্তি যা কোনো বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন করলে তার মধ্যে জমা হয়। এটা এমন শক্তি, যা বস্তুকে কোনো নির্দিষ্ট অবস্থানে রাখলে জমা থাকে, এবং যখন সেই বস্তুকে স্থানান্তর করা হয় বা স্থান পরিবর্তন করা হয়, তখন এই শক্তি কাজে লাগে।
সহজ ভাষায়, বিভব শক্তি বলতে সেই শক্তি বোঝায়, যা কোনো বস্তুর উচ্চতা বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
বিভব শক্তির সংজ্ঞা
যখন কোনো বস্তুকে তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরিয়ে অন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সেই বস্তু কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করে। এই অর্জিত ক্ষমতাকে বিভব শক্তি বা স্থিতিশক্তি বলা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, একটি বস্তুকে যখন উপরে তোলা হয়, তখন সেটির ভেতরে বিভব শক্তি জমা হয়।
বিভব শক্তি কীভাবে হিসাব করা হয়?
কোনো বস্তুর ভর m এবং ভূ-পৃষ্ঠ থেকে তার উচ্চতা h হলে, বিভব শক্তি বা স্থিতিশক্তি হিসাব করা যায় নিম্নলিখিত সূত্রে:
বিভব শক্তি (Ep) = বস্তুর ওজন × উচ্চতা
অর্থাৎ, Ep = mgh, যেখানে:
- m হলো বস্তুর ভর
- g হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ (যার মান পৃথিবীতে প্রায় ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড²)
- h হলো ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বস্তুর উচ্চতা
এই সূত্র থেকে স্পষ্ট হয় যে, বস্তুর ভর যত বেশি হবে এবং উচ্চতা যত বেশি হবে, তার বিভব শক্তিও তত বেশি হবে।
এখন আপনি বিভব শক্তি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানলেন। আশা করি, এই বিষয়টি আপনার কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়েছে। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির দুনিয়ায় আরো জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, StudyTika.com-এ আরো পোস্ট পড়ুন। আপনার জানার এই যাত্রায় আমাদের সঙ্গে থাকুন!