Ciprox DS Syrup এর কাজ কি? (আপডেট তথ্য) | Ciprox DS Syrup এর দাম কত? | Ciprox DS Syrup খাওয়ার বা ব্যাবহারের নিয়ম কি? | Ciprox DS Syrup এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?

Ciprox DS Syrup : আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই-বোনেরা। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। তবে, যদি আপনি বা আপনার প্রিয়জনের কেউ অসুস্থ হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই ঔষধের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেষ্টা করছেন। আজ আমরা কথা বলব একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের নাম—Ciprox DS Syrup

এটি সম্পর্কে আপনাদের কিছু মূল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব, যেমনঃ 🔹 Ciprox DS Syrup কি কাজ করে? 🔹 এটি কিসের ঔষধ? 🔹 Ciprox DS Syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? 🔹 Ciprox DS Syrup খাওয়ার বা ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম কী? 🔹 Ciprox DS Syrup এর দাম কত ইত্যাদি?

আমরা আশা করি, এই বিষয়ে আপনি প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

Ciprox DS Syrup এর কাজ কি?

Ciprox DS Syrup হলো একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ, যার মূল উপাদান হলো Ciprofloxacin। "DS" মানে হলো Double Strength, অর্থাৎ এটি সাধারণ Ciprox Syrup এর চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এই ওষুধটি সাধারণত শিশুদের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ, যেমন—জ্বর, গলা বা কান পাকা, সাইনাস ইনফেকশন, শ্বাসনালীর ইনফেকশন, ইউরিন ইনফেকশন, অথবা ডায়রিয়া ও পেটের ইনফেকশনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। তবে এটি শুধু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত, কারণ ভুল ডোজ বা অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

Ciprox DS Syrup এর দাম কত?

Ciprox DS সিরাপ 60মি.লি প্রতি পিসের দামঃ ১০০.০০ টাকা। 

এই দাম একটু কম বেশি হতে পারে। আপনি বাজারে গিয়ে একদম সঠিক দামটি জানতে পারবেন। আশা করি এই দামটিই সঠিক।

Ciprox DS Syrup খাওয়ার বা ব্যাবহারের নিয়ম কি?

Ciprox DS Syrup প্রচলিত সেবন মাত্রা: সংক্রমণের ধরন, তীব্রতা, রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংবেদনশীলতা এবং রোগীর বয়স, ওজন ও বৃক্কীয় কার্যকারিতার উপর নির্ভর করেই সাধারণত সিপ্রোফ্লক্সাসিনের সেবন মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রাপ্ত বয়স্ক: এসব রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণ সেবন মাত্ৰা ১০০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার। উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ:উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে তীব্রতা অনুযায়ী ২৫০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার। স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের চিকিৎসায় ৭৫০ মি.গ্ৰা. দৈনিক ২ বার করে দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয় ৷ গনোরিয়া: ২৫০ বা ৫০০ মি.গ্রা. এর একটি এককমাত্রা দেওয়া হয়। অন্যান্য অধিকাংশ সংক্রমণে ৫০০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার সেব্য।

সিসটিক ফাইব্রোসিস :নিম্ন শ্বাসনালীর সিডোমোনাস জনিত সংক্রমণে সাধারণ মাত্রা ৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার। যেহেতু সিসটিক ফাইব্রোসিসে রোগীদের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিনের ফার্মাকোকাইনেটিক্স অপরিবর্তিত থাকে সেহেতু সেবন মাত্রা নির্ধারণ করার আগে এসব রোগীদের স্বল্প দৈহিক ওজনের কথা বিবেচনা করা উচিত।

অপ্রতুল বৃক্কীয় কার্যকারিতার ক্ষেত্রে: তীব্র বৃক্কীয় অপ্রতুলতা ব্যতীত (যখন সেরাম ক্রিয়েটিনিন>২৬৫ মাইক্রোমোল/লিটার অথবা ক্রিয়েটিনিনের ক্লিয়ারান্স<২০ মি.লি./মিনিট) মাত্রা পুন:নির্ধারণের তেমন প্রয়োজন হয় না। যদি মাত্ৰা নির্ধারণের প্রয়োজন হয় তা দৈনিক মোট মাত্রা অর্ধেক করার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে যদিও ওষুধের সেরাম লেভেল পর্যবেক্ষণ করাই মাত্রা নির্ধারণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।

বয়ো:বৃদ্ধি:যদিও এসব রোগীদের সেরামে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অধিকতর পরিমাণে উপস্থিত থাকে তথাপি মাত্ৰা নির্ধারণের কোন প্রয়োজন হয় না।

শিশু ও কিশোর:এই শ্রেনীর অন্যান্য ওষুধের মত সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও অপরিণত জীবের ক্ষেত্রে ভারবহনকারী অস্থিসন্ধিতে অর্থোপ্যাথি সৃষ্টি করতে পারে। যদিও মানুষের ক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতা জানা নাই তা স্বত্ত্বেও শিশু, বাড়ন্ত শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সুপারিশযোগ্য নয়। যদি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপরোক্ত সম্ভাব্য ঝুঁকির তুলনায় বেশী গুরুত্ববাহী হয় তবেই এ ধরনের রোগীদেরকে এ ওষুধ দেয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ৭.৫-১৫ মি.গ্রা./কেজি/দিন ২টি বিভক্ত মাত্রায় দেয়া যেতে পারে।

চিকিৎসা মেয়াদকাল :চিকিৎসার স্থায়িত্বকাল সংক্রমন জনিত রেসপন্স এবং ব্যাকটেরিওলজিক্যাল পরীক্ষালব্ধ ফলের উপর নির্ভর করে। মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসার মেয়াদকাল সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন। সংক্রমণের চিহ্ন বা লক্ষণ দূর হবার পর আরও ৩ দিন পর্যন্ত সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত।

বিভিন্ন কারনে ওষুধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ওষুধ গ্রহন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

Ciprox DS Syrup এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?

সকল ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে. যাইহোক, অনেক মানুষের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না বা কেবল ছোটখাট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যদি এইসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়।

এ ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমনঃ বমি বমি ভাব, অন্যান্য পরিপাকতন্ত্রীয় অসুবিধা, মাথা ব্যথা, মাথা ঝিম্ ঝিম্ ভাব, গায়ে ফুসকুড়ি, কৃষ্টাল ইউরিয়া ইত্যাদি।

আশা করি, 'Ciprox DS Syrup এর কাজ কি?', 'Ciprox DS Syrup খাওয়ার বা ব্যাবহারের নিয়ম', 'Ciprox DS Syrup এর দাম কত', এবং 'Ciprox DS Syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি'—এই বিষয়গুলো আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং ভালো লেগেছে। যদি আপনি Ciprox DS Syrup সম্পর্কিত আরও কিছু জানার আগ্রহী হন, তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজে সরাসরি মেসেজ পাঠাতে পারেন। আমাদের ফেইসবুক পেইজের লিংক নিচে দেওয়া হল।

👉 [ফেইসবুক পেইজ লিংক]

আর যদি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্টগুলোও পড়তে ভুলবেন না। ধন্যবাদ 😊

নোট: এই সকল তথ্য ইন্টারনেট এবং অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত। যদি কোন তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে এই ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। তবে, যদি আপনি কোন ভুল তথ্য খুঁজে পান, অনুগ্রহ করে একটি স্ক্রিনশট নিয়ে আমাদের মেসেজ করুন।

সাবধান !!

অ্যান্টিবায়োটিক সতর্কতা

শুধুমাত্র বি,এম,ডি,সি রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশান মোতাবেক এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন, ব্যাবহার অথবা বিক্রি করতে হবে। রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশান মোতাবেক এন্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্দেশিত মাত্রার ওষুধ, নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত সেবন করতে হবে।

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.