বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা Class 7 8 9 10 ‍SSC HSC (২০+ পয়েন্ট)

এই ব্লগপোস্টে রয়েছে বাংলাদেশের ষড়ঋতু নিয়ে একটি সুন্দর ও সহজ রচনা। পড়লে ভালো লাগবে।

বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা Class 7 8 9 10 ‍SSC HSC (২০+ পয়েন্ট)

বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা ১

সূচনা: বাংলাদেশ ঋতু-বৈচিত্রের দেশ। এখানে এক এক ঋতর এক এক রূপ। ঋতুতে ঋতুতে এখানে চলে। সাজ বদলের পালা। নতুন নতুন রঙ-রেখায় প্রকতি আলপনা আঁকে মাটির বুকে, আকাশের গায়ে মানুষের। মনে। তাই ঋতু বদলের সাথে সাথে এখানে জীবনেরও রঙ বদল হয়। সে-কারণেই বু* ** প্রনাথ। ঠাকুরের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়:

জগতের মাঝে কত বিচিত্র তুমি হে
তুমি বিচিত্র রূপিণী।

ষড়ঋতুর পরিচয়: পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ঋতুর সংখ্যা চারটি হলেও বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। এখানে প্রাত দুই মাস অন্তর একটি নতুন ঋতুর আবির্ভাব ঘটে। ঋগলাে হচ্ছে- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শাত ও বসন্ত। এরা চক্রাকারে আবর্তিত হয়। আর প্রত্যেক ঋতুর আবির্ভাবে বাংলাদেশের প্রকৃতির রূপ ও সোন্দ্য বৈচিত্র্যময়।

গ্রীষ্মকাল: ঋতুচক্রের শুরুতেই আসে গ্রীষ্ম। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। আগুনের মশাল হাতে মাঠ-ঘাট পােড়াতে পােড়াতে গ্রীষ্মরাজের আগমন। তখন আকাশ-বাতাস ধুলায় ধূসরিত হয়ে ওঠে। প্রকৃতির শ্যামল-স্নিগ্ধ। রূপ হারিয়ে যায়। খাল-বিল, নদী-নালা শুকিয়ে যায়। অসহ্য গরমে সমস্ত প্রাণিকুল একটু শীতল পানি ও ছায়ার। জন্য কাতর হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কখনাে হঠাৎ শুরু হয় কালবােশেখির দুরন্ত তাণ্ডব। ভেঙেচুরে সবকিছু। তছনছ করে দিয়ে যায়। তবে গ্রীষ্ম শুধু পােড়ায় না, অকৃপণ হাতে দান করে আম, জাম, জামরুল, লিচু, তরমুজ ও নারকেলের মতাে অমৃত ফল।

বর্ষাকাল: গ্রীষ্মের পরেই মহাসমারােহে বর্ষা আসে। আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। দিগ্বিজয়ী যােদ্ধার বেশে বর্ষার আবির্ভাব। মেঘের গুরুগম্ভীর গর্জনে প্রকৃতি থেমে থেমে শিউরে ওঠে। শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। মাঠ-ঘাট পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। প্রকৃতিতে দেখা দেয় মনােরম সজীবতা। জনজীবনে ফিরে আসে প্রশান্তি। কৃষকেরা জমিতে ধান-পাটের বীজ রােপণ করে। গাছে গাছে ফোটে কদম, কেয়া, উঁই। বর্ষায় পাওয়া যায় আনারস, পেয়ারা প্রভৃতি ফল। বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা

শরৎকাল: বাতাসে শিউলি ফুলের সুবাস ছড়িয়ে আসে শরৎ। ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস শরৎকাল। এ সময় বর্ষার কালাে মেঘ সাদা হয়ে স্বচ্ছ নীল আকাশে তুলাের মতাে ভেসে বেড়ায়। নদীর তীরে তীরে বসে সাদা কাশফুলের। মেলা। বিকেল বেলা মালা গেঁথে উড়ে চলে সাদা বকের সারি। সবুজ ঢেউয়ের দোলায় দুলে ওঠে ধানের খেত। রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে অজস্র তারার মেলা। শাপলার হাসিতে বিলের জল ঝলমল ঝলমল করে।

তাই তাে কবি গেয়েছেন
আজিকে তােমার মধুর মুরতি
হেরিনু শারদ প্রভাতে।
হে মাতঃ বঙ্গ, শ্যামল অঙ্গ।
ঝলিছে অমল শােভাতে।

শরতের এই অপরূপ রূপের জন্যই শরৎকে বলা হয় ঋতুর রানি । বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা ।

হেমন্তকাল: হেমন্ত ঋতু আসে ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসবের আনন্দ নিয়ে। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস জুড়েই হেমন্তকাল। প্রকৃতিতে লেগে থাকে হলুদ রঙের ছোঁয়া। মাঠে মাঠে শর্ষে ফুলের ঘ্রাণ, পাকা ধানে ভরে ওঠে চারদিক। কৃষকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে ধান কাটায়। সোনালি ধানে গােলা ভরে ওঠে, তাদের মুখে ফুটে ওঠে তৃপ্তির হাসি। সেই আনন্দেই শুরু হয় নবান্ন উৎসব। হেমন্ত আসে নিঃশব্দে, আবার শীতের কুয়াশায় মিলিয়ে যায় ধীরে ধীরে।

শীতকাল: কুয়াশার চাদর গায়ে উত্তরে হাওয়ার সাথে আসে শীত। পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল। শীত রিক্ততার ঋতু। কনকনে শীতের দাপটে মানুষ ও প্রকৃতি অসহায় হয়ে পড়ে। তবে রকমারি শাক-সবজি, ফল ও ফুলের সমারােহে বিষন্ন প্রকৃতি ভরে ওঠে। বাতাসে ভাসে খেজুর রসের ঘ্রাণ। ক্ষীর, পায়েস আর পিঠাপুলির উৎসবে মাতােয়ারা হয় গ্রামবাংলা। বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা । 

বসন্তকাল: সবশেষে বসন্ত আসে রাজবেশে। ফাল্গুন-চৈত্র দুই মাস বসন্তকাল। বসন্ত নিয়ে আসে। সবুজের সমারােহ। বাতাসে মৌ মৌ ফুলের সুবাস। গাছে গাছে কোকিল-পাপিয়ার সুমধুর গান। দখিনা বাতাস বুলিয়ে দেয় শীতল পরশ। মানুষের প্রাণে বেজে ওঠে মিলনের সুর। আনন্দে আত্মহারা কবি গেয়ে ওঠেন।

আহা আজি এ বসন্তে 
এত ফুল ফোটে
এত বাঁশি বাজে
এত পাখি গায়।।

উপসংহার: বাংলাদেশের ষড়ঋতুর এই লীলা অবিরাম চলছে। বিভিন্ন ঋতু প্রকৃতিতে রূপ-রসের বিভিন্ন সম্ভার নিয়ে আসে। তার প্রভাব পড়ে বাংলার মানুষের মনে। বিচিত্র ষড়ঋতুর প্রভাবেই বাংলাদেশের মানুষের মন উদার ও ভালােবাসায় পরিপূর্ণ।

বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা ২

ভূমিকা : এক অসাধারণ সৌন্দর্যপটের নাম বাংলাদেশ। প্রকৃতির মায়া মমতা যার আপন বৈশিষ্ট্য। যে দেশকে বিধাতা সাজিয়েছেন তাঁর আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে, সুচারুরূপে, বর্ণাঢ্য করে। সে দেশর নাম বাংলাদেশ। যে দেশের সৌন্দর্যের মাঝে নেই কোন কৃত্রিমতার ছোঁয়া, আছে কেবল প্রগাঢ় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহ, সে দেশর নাম বাংলাদেশ। নিসর্গ যে দেশের অলংকার, প্রকৃতি যে দেশের রূপ সুষমার মূল উপকরণ, সে দেশেইতো বাংলাদেশ। অপূর্ব সৌন্দর্যে শস্য-সম্পদে আর প্রকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরা এমন দেশ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। এদেশে জন্মেছি আমি। আমি ধন্য। আমি তৃপ্ত। এ-বাংলার রূপে বিমুগ্ধ কবি আবেগে উদ্বেলিত হয়ে তাই গেয়ে ওঠেন-

“ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা,
আমাদের এই বসুন্ধরা,
তাহার মাঝে আছে দেশ এক
সকল দেশের সেরা;
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ,
স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।”

বাংলার সীমা ও ভূ-প্রকৃতি : ত্রিশ লক্ষ মানুষ যে দেশের জন্য জীবন দিতে পারে, সে দেশ কি যেই-সেই দেশ। সাড়ে সাত কোটি মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বেলিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জন করে স্বধীন বাংলাদেশ। এ বাংলাকে ঘিরে উত্তর দিকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শ্যমলিমায় জলপাইগুড়ি ও কুচবিহার, উত্তর-পূর্বদিকে আসামের পর্বতময় অঞ্চল, পূর্বে বৈচিত্র্যময় দেশ বার্মা, পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের সমভূমি আর সর্বদক্ষিণে রয়েছে চির প্রবহমান বঙ্গোপসাগরের শীতল জলধারা।

বাংলার সৌন্দর্য :

“বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছিতই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে চাই না আর।”
গ্রাম বাংলার রূপে বিমুগ্ধ রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের এ স্বীকারোক্তিতেই প্রতীয়মান হয় বংলার গ্রামীণ সৌন্দর্য। গ্রামকে বাদ দিয়ে বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোন চিহ্নসূত্রই থাকবে না। গ্রাম প্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। তই বাংলার যে দিকে দৃষ্টিপাত করি না কেন চোখে পড়ে শ্যামল শোভাশয় সবুজ অরণ্যানী। কোখাও বা মাঠের পর মাঠ আর সোনালি পাকা ধানের শোভা দৃশ্যমান। সেই ধানের ক্ষেতে যখন মৃদুমন্দ হাওয়া বয়ে যায়, তখন নাবযৌবনা কুমারীর মতই কলহাস্যে নেচে দুলে ওঠে সেই স্বর্ণ রূপিনী ধানের ক্ষেত। কোখাও আবার সারি সারি তাল-নারিকেল-খেজুরের বনানী, কোথাও বা সুজচ্চ বটবৃক্ষ মৌন তপস্যায় মাথা উঁচু করে ঊর্ধ্বপানে তার বাহু প্রসারিত করে আছে আর অকৃপণভাবে স্নেহশীতল ছায়া দান করছে দূরদূরান্ত থেকে আগাত পথিককে। কোখাও বা রাখাল ছেলে গরু-মেষগুলোকে চরাতে দিয়ে কোন সুশীতল তরু মূলে বসে বাঁশিতে তুলছে মেঠো সুর। বাংলার এসব দৃশ্য যুগে যুগে তার সন্তানদের করেছে বাউল, কবি, গল্পকার, চিত্রকার। বাংলার এ রূপ দৃষ্টেই কবিগুরু গেয়েছিলেন-

“অবারিত মাঠ গগন ললাট চুমে তব পদধূলি,
ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলি।”

ঋতুবৈচিত্র্য ও বাংলার প্রকৃতি : বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আবর্তিত হয় এর ঋতুবৈচিত্র্যের সাথে সাথে। ছয়টি ঋতুর এক আশ্চর্য লীলা নিকেতন এই বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুই বৈচিত্র্যে আর সৌন্দর্যে অনন্য।

গ্রীষ্মে : এখানে গ্রীষ্ম আসে সূর্যের প্রচন্ড দাবদাহ নিয়ে। গাছে গাছে পেকে ওঠে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল প্রভৃতি ফল। মাঠ-ঘাঠ-প্রান্তর, জনজীবন সবকিছুই এ সময় মেতে ওঠে। প্রখর তাপদাহে জীবধাত্রী ধরিত্রীর বক্ষ বিধীর্ণ হয়ে যায়, চৌচির হয়ে যায় তার তৃষ্ণার্ত প্রান্তর। তাইতো কবি বলেছেন,

‘ঘাম ঝরে দর দর গ্রীষ্মের দুপুরে
মাঠ-ঘাট চৌচির, জল নেই পুকুরে।’

বর্ষায় : গ্রীষ্ম বিদায় নেয় বর্ষার আগমনের সাথে সাথে। আষাঢ়ের জলধারা বাংলার প্রকৃতিকে দেয় চির সবুজ করে। খাল-বিল-নদী-নালা পানিতে থৈ থৈ করে তখন। কদম্ব, যুঁথী, কেয়া। কবি গেয়ে ওঠেন-

“নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে
তিল ঠাই আর নাহিরে
ওগো আজ তোরা যাসনে গোতোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।”

শরতে : এর পর ধীরে ধীরে বর্ষার অবসান ঘটে এবং শরৎ তার শুভ্র জ্যোৎস্না ও পুষ্প সুষমা নিয়ে আগমন করে। বর্ষার নিপীড়িতা ধরণী আবার পুলকিত হয়ে ওঠে। শশীর উজ্জল কিরণে কি কাশবন, কি বনের বৃক্ষশীর্ষ, কি গৃহচূড়া, কি নদীর নির্জন বৃক্ষ সমস্তই হাস্যময়ীরূপ ধারণ করে। শরৎকালে শেফালী, কামিনী প্রভৃতি ফুল প্রস্ফুটিত হলে সৌন্দর্য সৌরভে সবাইকে মুগ্ধ করে। এ সময় কবি গেয়ে উঠেন-

“এবার অবগুণ্ঠন খোল
গহন মেঘ-মায়ায় বিজন বন ছায়ায়
তামার আঁচলে অবগুণ্ঠন সারা হল
শিউলি সরভি রাত বিকশিত জোচনাতে
মৃদু মর্মর গানে তব মর্মের বাণী বোলো।”

হেমন্তে : বাংলার মানুষের জীবনে নব আশার সঞ্চার করে প্রকৃতিতে এবার আগমন ঘটে পাকা ধানের গন্ধে মাতাল করা হেমন্তের। শস্যক্ষেত্র ধারণ করে এসময় হরিদ্রাবর্ণ, রাত্রিতে শিশির পড়ে ভিজিয়ে দেয় সতেজ ঘাসের ডগা। ভোরে সেই ভেজা ঘাসের ওপর ঝরে পড়ে শিউলি ফুল।

শীতে : গাছপালাকে শ্রীহীন করে, বিবর্ণ করে দিয়ে, এরপর প্রকৃতিতে ঝেঁকে বসে শীত বুড়ি। অবশ্য শীতে বাংলার প্রকৃতি পায় এক ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য। চারদিকে সাদা কুয়াশার চাদর, ভোরে খেজুর রস পাড়ার দৃশ্য, নাড়ার আগুনে শিম পোড়ানো এ সবের মধ্যেই আছে এক স্বতন্ত্র আনন্দ।

ঋতুরাজ বসন্তে : সবশেষে প্রকৃতিরাজ্যে আগমন ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের। গাছ-পালা নব পল¬বে সুশোভিত হয়ে ওঠে, ফুলে ফুলে মধুমক্ষিকার গুন গুন তান, গাছে গাছে কোকিলের গান মুখরিত হয়। রাতে জ্যোৎস্না ধারার মাঝে মন কেমন করে ওঠে। হৃদয় ফুঁড়ে বেরোয় গান-

“আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে,
বসন্তের এই মাতাল সমীকরণে।” 

উপসংহার : বাংলার প্রকৃতি এভাবেই তার বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য বিকাশের মাধ্যমে আমাদের বিমোহিত করে আসছে। বাংলাদেশের প্রকৃতিতে যে সৌন্দর্য সম্ভার রয়েছে, তা তার একান্তই নিজস্ব সম্পদ। এমন সৌন্দর্য সম্ভার আর কোথাও খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। বাংলার প্রকৃতি বিমুগ্ধ কবি তাই জীবনের চরম চাওয়া-পাওয়ার ঘটিয়েছেন এ প্রকৃতির বন্দনার মাধ্যমেই-

“কোন বনেতে জানিনে ফুল, 
গন্ধে এমন করে আকুল। 
কোন গগনে উঠেরে চাঁদ এমন হাঁসি হেসে, 
আঁখি মেলে তোমার আলো 
দেখে আমার চোখ জুড়ালো; 
ঐ-আলোতেই নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে।”

রচনাটি যদি ভালো লাগে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট StudyTika.com -এ আরও রচনা পড়ে নিও। অনেক সুন্দর ও সহজ রচনা আছে তোমার জন্য।

Getting Info...

إرسال تعليق

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.