ঈদ উৎসব রচনা Class 7 8 9 10 ‍SSC HSC (২০+ পয়েন্ট)

 পরিচিতি: এই ব্লগপোস্টে ঈদ উৎসব নিয়ে একটি রচনা দেওয়া আছে। আশা করি আপনি ভালো লাগবে এবং পুরো রচনা পড়ে উপকৃত হবেন।

ঈদ উৎসব রচনা Class 7 8 9 10 ‍SSC HSC (২০+ পয়েন্ট)

ঈদ উৎসব রচনা 

সূচনা : ঈদ মুসলমানদের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব। ঈদ অর্থ আনন্দ বা খুশী। এ ঈদ উৎসব মুসলমানদের প্রতিটি গৃহে পালিত হয়। ঈদ বছরে দু’বার আসে। প্রতিটি বছর সাওয়াল মাসের ১লা তারিখ এবং জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। প্রথমে যে উৎসব পালিত হয় তাকে ঈদুল ফিতর এবং পরে যে উৎসব পালিত হয় তাকে ঈদুল আয্হা বলে। 

ঈদুল ফিতর : প্রতি বছর মুসলমানগণ দীর্ঘ একমাস রোজা রাখেন। এ রমজান মাসটি মুসলমানদের জন্য অতি পবিত্র। এ মাসের দিবাভাগে পানাহার হতে বিরত থাকার জন্য মুসলমানগণ আল্লাহর আইন অনুসারে এক মাস রোজাব্রত পালন করে থাকেন। দীর্ঘ একমাস রোজা রাখার আনন্দে ঈদুল ফিতর পালন করা হয়। এ দিনে প্রতিটি মুসলিম পরিবার আনন্দে মেতে ওঠে। রমযান শেষ হবার ৩/৪ দিন পূর্ব হতেই ঈদের দিন সকালে প্রত্যেক গৃহে সেমাই, ফিরনী, নাস্তা, পোলাও ইত্যাদি খাবার তৈরি করা হয়। সবাই মিলে এক ঘর হতে অন্য ঘরে আনন্দের সাথে খাওয়া-দাওয়া করে। এ ঈদের দিন সকালে ধনীরা গরীব লোকদের মুক্ত হস্তে দান করে। এ দানকে ফেতরা বলা হয়। এ দিনে মুসলমানগণ সকালে গোসল করে নতুন কাপড় পরে মিষ্টান্ন খেয়ে ঈদগাহে গমন করে। তথায় সকলে মিলে ঈদের নামাজ পড়ে। একজন অপরজনের সঙ্গে কোলাকুলি করে আনন্দের সাথে ঘরে ফিরে। 

ঈদুল আয্হা : জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে মুসলমানরা যে ঈদ পালন করেন, সেটাই ঈদুল আযহা নামে পরিচিত। এই দিনটি হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর মহান ত্যাগ ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্য স্মরণে পালিত হয়। আল্লাহর আদেশে তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ)-কে কোরবানি করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। তিনি পুত্রকে মাটিতে শুইয়ে ছুরি চালাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ছুরি চলেনি। আল্লাহ ইব্রাহীম (আঃ)-এর গভীর বিশ্বাস ও ত্যাগ দেখে সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইল (আঃ)-এর পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি করার আদেশ দেন এবং সেটিই গ্রহণ করেন। এই ঘটনার স্মরণে প্রতিবছর জিলহজ্জের ১০ তারিখে মুসলমানরা কোরবানি দেন। গরু, ছাগল, ভেড়া বা উট কোরবানি করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করেন। এ দিনে মানুষ আনন্দ ও উৎসবে মেতে ওঠে, এবং কোরবানির মাংস গরিব-দুঃখীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।

ঈদ উৎসব : ঈদ মূলত আনন্দের প্রতীক। ঈদের দিন মুসলমানগণ ময়দানে জমায়েত হয়ে নামাজ আদায় করেন। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই এতে শরীক হয়। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ ও মুনাজাত করা হয়। এরপর একে অপরের সাথে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়ে কুশল বিনিময় করেন। 
ঈদের দিন ধনী-বির্ধন সবাই কিছু না কিছু সাধ্যানুসারে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেন। গরিবদের মধ্যে ধনীরা এসব খাবারও বিতরণ করেন। অনেকে কাপড়-চোপড় বিতরণের পদক্ষেপও নেয়। আবার কোরবানীর গোস্ত, পশুর চামড়ার মূল্য ছাড়াও নানা রকম সাহায্যও করে থাকেন। বাড়ির ছেলেমেয়েরা নতুন জামা-কাপড় করে দিনটিকে বিশেষ আনন্দের সাথে উদযাপন করে। 

উপসংহার : ঈদের দিন মুসলমানেরা পরস্পরের শত্রুতা ভুলে গিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে মোছাহাফা করেন, বুকে বুক মিলিয়ে আলিঙ্গন করেন। একে অপরকে দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আপ্যায়ন করেন। এর ফলে তাদের পরস্পরের শত্রুতা ভাব দূর হয় এবং তাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ভাব জেগে ওঠে। ঈদের সওয়াব বর্ষিত হোক সকলের উপর- আমরা এ কামনা করি।

উপসংহার: আমার ওয়েবসাইট StudyTika.com-এ আরও অনেক সুন্দর এবং সহজ রচনা পাবেন। দয়া করে সেখানে গিয়ে অন্য রচনাগুলোও পড়ুন।

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.