এই ব্লগপোস্টে রয়েছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ — “করিতে পারি না কাজ, সদা ভয়, সদা লাজ, সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে”। সহজ ভাষায় লেখা এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়লে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন। পুরোটা পড়ুন, আশা করি ভালো লাগবে।
করিতে পারি না কাজ, সদা ভয়, সদা লাজ,সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে
সমাজে কিছু দুর্বল মনের মানুষ থাকে। ভয় ও সংকোচ তাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। কথা বলতে তারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে। কোনো কাজ করতে গেলেও তাদের মনে সংশয় থাকে। ফলে মনের কথাটা প্রয়োজন মতো বলা হয় না। আবার শুভ কাজটাও সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করা হয় না।
সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন, যারা মন থেকে দুর্বল এবং সবসময় এক অদৃশ্য ভয়ের মধ্যে বাস করেন—কে কী বলবে, কে কী ভাববে, কে সমালোচনা করবে। ‘লোকে কী বলবে’—এই মানসিক বাধাই তাদের বড় পিছুটান। অথচ তাদের ভাবনা, কর্মপ্রেরণা ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে সমাজকল্যাণমুখী। তারা এমন কিছু করতে চায় যা মানুষের উপকারে আসবে, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। তাদের আছে জ্ঞান, সামর্থ্য, অর্থ ও শক্তি—সবই রয়েছে মঙ্গলের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু যখনই বাস্তব উদ্যোগ নেওয়ার সময় আসে, তখনই সমালোচনা ও নিন্দার আশঙ্কা তাদের থমকে দেয়। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ফাঁদে পড়ে তারা আর এগোতে পারে না। ফলে তাদের শুভ ইচ্ছা, সুন্দর চিন্তা আর সমাজের জন্য কল্যাণকর পরিকল্পনাগুলো হৃদয়ের গহীনে চাপা পড়ে যায়—তা বাস্তবের মুখ দেখে না, কোনো সুফলও বয়ে আনে না। এইভাবে সমাজ এক সম্ভাবনাময় কর্মীর অবদান থেকে বঞ্চিত হয়, এবং তার চিন্তাধারা হারিয়ে যায় নিঃশব্দে।
প্রকৃতপক্ষে যেকোনো সুন্দর বা গঠনমূলক কথা বলতে বা শুভ কাজ করতে পিছুটান থাকা উচিত নয়। কল্যাণ, উন্নতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-ভয় বিসর্জন দিতে হয়। নিশ্চিন্ত নির্ভয়ে ও নিঃসংকোচে শুভ চিন্তা ও কল্যাণ ভাবনাকে কাজে লাগালেই উন্নতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।
আশা করি ভাবসম্প্রসারণটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আরও অনেক ভাবসম্প্রসারণ পড়তে চাইলে ঘুরে আসুন আমাদের ওয়েবসাইটে — StudyTika.com।