ভূমিকা: এই লেখায় আমরা একটি সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পেয়েছো – “ধৈর্যের ন্যায় মহৎ গুণ আর নেই”। সহজ ও পরিষ্কার ভাষায় এখানে লেখা হয়েছে, যাতে তোমরা সবাই বুঝতে পারো। পুরোটা মন দিয়ে পড়লে ভালো লাগবে।
ভাবসম্প্রসারণঃ ধৈর্যের ন্যায় মহৎ গুণ আর নেই
মূলভাব : সহিষ্ণুতা মানব চরিত্রের একটি শ্রেষ্ঠ গুণ। ধৈর্য ধারণ করা না শিখলে কোনো মানুষই জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারবে না। সহনশীল ব্যক্তিরাই জীবনে অধিক দিন টিকে থাকে।
সম্প্রসারিত ভাব : জীবনে চলার পথে বাধা-বিপত্তি আসবেই—এটাই স্বাভাবিক। এই বাধাগুলো ধৈর্য ধরে অতিক্রম করতে পারলেই পথ চলা সহজ হয়। অনেক সময় মানুষ না বুঝেই খারাপ ব্যবহার করে বসে, কিন্তু যদি আমরা ধৈর্য না ধরে তা সহ্য করতে না পারি, তাহলে ঝগড়া-বিবাদ তৈরি হতে পারে, যার পরিণতি হতে পারে খুবই ভয়ানক। একজন বৃদ্ধা বারবার রাস্তা কাঁটা ফেলে রাখলেও মহানবী (স.) ধৈর্য ধরে কাঁটা সরিয়ে পথ চলেছেন, তাই আজও তাঁর ধৈর্যের উদাহরণ সবাই মনে রাখে। সম্রাট নেপোলিয়ন বহুবার চেষ্টা করে অবশেষে ওয়াটারলু যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিলেন। ধৈর্য ছাড়া কোনো মহান কাজ সফল হয় না। একজন ছাত্র যত ধৈর্য ধরে পড়াশোনা করতে পারে, তার ভবিষ্যৎ ততই উজ্জ্বল হয়। আবার, দুঃখ-কষ্ট ও দারিদ্র্যের সময় ধৈর্য না ধরলে সেই কষ্টকে জয় করা সম্ভব নয়। বহু অপমান ও কষ্ট সহ্য করতে পেরেছিলেন বলেই নিচু জাতের হয়েও বি.আর. আম্বেদকর একসময় ভারতের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন।
মন্তব্য : পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করতে হলে ধৈর্যের সাধনা করতে হবে। কোনো কাজে অধৈর্য হযে পড়লে সাফল্য অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই সাফল্য অর্জনে ধৈর্যের মহৎ গুণ আত্মস্থ করা অত্যাবশ্যক।
উপসংহার: তোমার যদি এই ভাবসম্প্রসারণ ভালো লাগে, তাহলে আমাদের সাইটে আরও অনেক সহজ ভাবসম্প্রসারণ আছে। পড়তে থাকো, নতুন কিছু শিখতে থাকো। আরো ভাবসম্প্রসারণ পড়তে ভিজিট করো 👉 StudyTika.com