এই ব্লগপোস্টে রয়েছে একটি দারুণ ভাবসম্প্রসারণ — “বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায়, কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে ফেলা যায় না”। সুন্দর ও সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে, যাতে আপনি একবার পড়লেই সহজে বুঝতে পারেন। চলুন শুরু করা যাক!
বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায়, কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে ফেলা যায় না
ভাব-সম্প্রসারণ : মানুষ প্রাণী হলেও সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে তার মধ্যে মানবীয় গুণাবলি বিদ্যমান। প্রাণীর স্বভাব-বৈশিষ্ট্য গড়ে ওঠে পরিবেশ ও শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে।
জন্তু ও মানুষের মধ্যে স্বভাব ও প্রকৃতিগত পার্থক্য বিদ্যমান। জন্তুর সকল স্বভাব মানুষের মধ্যে বিরাজমান- হিংসা, বিদ্বেষ, পাশবিকতা, হিংস্রতা, লোলুপতা ইত্যাদি মানুষের মধ্যেও রয়েছে। কিন্তু এসব অতিক্রম করে প্রীতি, মমত্ব, সুস্বভাব, সুচরিত্র অর্জন করাই মনুষ্যজীবনের সার্থকতা। এইসব মহৎ গুণের জন্যই মানুষ পশু থেকে ভিন্ন। কোনো বন্যপ্রাণীকে যদি জঙ্গল থেকে এনে সুসভ্য পরিবেশে রাখা হয়, তবুও তার আচরণে বিশেষ পরিবর্তন আসে না। কারণ তার মানসিক গঠন ও স্বভাব বনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। পশুর মধ্যে মানুষের মতো উন্নত মানব-চেতনার বিকাশ নেই, যা একজন মানুষকে মানুষ করে তোলে। ঠিক একইভাবে, কোনো মানুষ যদি স্বভাবে হীন, নীচ মনোভাবের অধিকারী হয়, তাকে যতই ভালো পরিবেশে রাখা হোক বা শিক্ষা দেওয়া হোক—তার স্বভাব পরিবর্তন খুবই কঠিন। কারণ প্রকৃত পরিবর্তন আসে অন্তর থেকে, বাইরের পরিবেশ থেকে নয়। পরিবেশ সহজে বদলানো গেলেও মানুষের স্বভাব পরিবর্তন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। তাই বলা হয়, প্রকৃত পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন মানুষ নিজে তার ভেতরের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়।
এই ভাবসম্প্রসারণটি ভালো লাগলে, আরও অনেক সহজ ও সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে ভিজিট করুন StudyTika.com। এখানে ক্লাস ৬ থেকে এইচএসসি পর্যন্ত অনেক ভাবসম্প্রসারণ একদম সহজ ভাষায় দেওয়া আছে। পড়ে দেখুন, ভালো লাগবে!