এই ব্লগপোস্টে রয়েছে একটি চমৎকার ভাবসম্প্রসারণ — “আমি ভয় করব না, ভয় করব না, দুবেলা মরার আগে মরব না ভাই…”। সাহস ও দৃঢ়তার অনুপ্রেরণামূলক এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে আশা করি আপনি সাহসিকতার গভীর অর্থ বুঝতে পারবেন। নিচে সহজ ভাষায় সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আমি ভয় করব না, ভয় করব না,দুবেলা মরার আগে মরব না ভাই, মরব না,তরীখানা বাইতে গেলে ,মাঝে মাঝে তুফান মেলে-তাই ব’লে হাল ছেড়ে দিয়ে কান্নাকাটি করব না,আমি ভয় করব না
ভাব-সম্প্রসারণ : জীবনের সংগ্রামে সফল হতে হলে মানুষকে সাহসের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হয়। যদি এমন মনোভাব না থাকে, তাহলে জীবনের সমস্যা থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় মানুষের সফলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার নিজস্ব দুর্বলতা। লজ্জা, ভয় বা সংকোচ তাকে থামিয়ে দেয়। কেউ কেউ আবার এতটাই হতাশ হয়ে পড়েন যে, সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার চিন্তাও করতে পারেন না। এসব মানসিক বাধা থাকলে মানুষ এগোনোর বদলে বরং পিছিয়ে যায়। এ রকম অবস্থার কথাই বুঝিয়ে শেকসপিয়র বলেছিলেন, “কাপুরুষেরা মরার আগেই বারবার মরে।
নদীতে নৌকা চালাতে গিয়ে নৌকার মাঝিকে নানা বিপদ মাথায় নিয়ে তরী বাইতে হয়। আসে ঝড়, আজে তুফান। নদীতে ওঠে প্রবল ঢেউ আর প্রচণ্ড স্রোত। এই সব বিপদের মুখে মাঝি যদি হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকে তবে মৃত্যু অনিবার্য। বিপদকে মোকাবেলা করেই তাকে এগিয়ে যেতে হয়। আবার বিপদের ভয়ে মাঝি যদি নৌকাই না চালায় তবে তার জীবিকা উপার্জন কঠিন হয়ে পড়ে।
জীবনের চলার পথে সংকটের মুখোমুখি হলে তাকে দৃঢ়চিত্তে মোকাবেলা করাই সাফল্য অর্জনের পথ। জীবন-যুদ্ধে সংগ্রামই বড়ো কথা। শত বিপদেও যে হতাশাচ্ছন্ন না হয়ে সাহস বুকে নিয়ে এগিয়ে যায়, সেই শেষ পর্যন্ত জীবন-সংগ্রামে জয় লাভ করে।
এই ছিল ভাবসম্প্রসারণ “আমি ভয় করব না, ভয় করব না…”। আপনি যদি এমন আরও সহজ ও সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে চান, তাহলে ঘুরে আসুন আমাদের ওয়েবসাইটে — StudyTika.com। এখানে রয়েছে আরও অনেক ভাবসম্প্রসারণ আপনার জন্য।