এই ব্লগপোস্টে রয়েছে একটি অসাধারণ ভাবসম্প্রসারণ — "সাবাস বাংলাদেশ এ পৃথিবী, অবাক তাকিয়ে রয়; জ্বলে-পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়"। শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ভাবসম্প্রসারণটি সহজ ও সুন্দরভাবে লেখা হয়েছে। পুরোটা মন দিয়ে পড়লে ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
সাবাস বাংলাদেশ এ পৃথিবী,অবাক তাকিয়ে রয়; জ্বলে-পুড়ে মরে ছারখার,তবু মাথা নোয়াবার নয়
মূলভাব : বাঙালি জাতি বীরের জাতি। তারা অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবার নয়, বরং সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতনের সমুচিত জবাব দিয়ে পৃথিবীর বুকে স্থাপন করেছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সম্প্রসারিত ভাব : বাঙালি জাতি চিরকালই শান্তিপ্রিয়, কিন্তু অত্যন্ত সাহসী ও স্বাধীনচেতা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই ভূখণ্ড যেমন ধন-সম্পদে সমৃদ্ধ, তেমনি এর মানুষের চরিত্রে গেঁথে আছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার শক্তি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাঙালি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। বাংলার ঐশ্বর্য আকৃষ্ট করেছিল তুর্কি, আফগান, পাঠান ও মোগলদের, যারা একের পর এক এদেশে এসে দীর্ঘকাল শাসন করেছে। এরপর আসে ইংরেজ শাসকেরা, যারা বাংলার কৃষক সমাজকে শোষণ করে, নিঃস্ব করে দিয়ে যায় এদেশের সম্পদ। তবু বাঙালি চুপ করে থাকেনি—প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে, আর সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ঘটেছে প্রায় দুই শতকের ব্রিটিশ শাসনের অবসান। তবে এখানেই শেষ নয়। স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি পুরোপুরি—পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-নিপীড়নে আবারও বাঙালি জাতি নিপীড়িত হয়। তারা বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে চেপে ধরতে চায়। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। কিন্তু বাঙালি জাতি তো কখনো দমবার নয়। তারা বুক চিতিয়ে রুখে দাঁড়ায়, জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম গড়ে তোলে। এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। এই বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বাঙালি শুধু নিজেদের মুক্ত করেনি, সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে—একটি ছোট জাতিও কীভাবে বিশাল শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারে।
বাঙালি জাতি চিরকালই মুক্তি প্রিয়। তারা দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য বিভিন্ন সময় গড়ে তোলে দুর্বার আন্দোলন।
আশা করি এই ভাবসম্প্রসারণটি তোমার ভালো লেগেছে। এমন আরো সহজ ও সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে চাইলে ঘুরে আসো আমাদের ওয়েবসাইটে — StudyTika.com। এখানে অনেক ভাবসম্প্রসারণ আছে, যা তোমার লেখালেখিতে অনেক সাহায্য করবে।