📌 ভূমিকা (Introduction): এই ব্লগপোস্টে রয়েছে একটি চমৎকার ভাবসম্প্রসারণ — "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি"। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের অনুভবের সঙ্গে জড়িত একটি শক্তিশালী লাইন, যার ভেতর আছে গভীর আবেগ। পুরো ভাবসম্প্রসারণটি পড়লে আপনি বিষয়টি সহজে বুঝতে পারবেন। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণটি।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি ,আমি কী ভুলিতে পারি
মূলভাব: মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে বাঙালির আত্মত্যাগের ইতিহাস অবিস্মরণীয়। ভাষাশহিদদের রক্তাক্ত স্মৃতি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে অমলিন হয়ে থাকবে। ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় দিন।
সম্প্রসারিত ভাব : ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন দিয়েছিলেন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেক অজানা মানুষ। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পর থেকেই শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের উপর দমন-পীড়ন চালায় এবং তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ঘোষণা দেন যে, ‘উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ এই ঘোষণায় বাঙালি ছাত্রসমাজ তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং মিছিল-মিটিং শুরু করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করলেও ছাত্ররা তা অমান্য করে মিছিল করে, আর তখনই পুলিশের গুলিতে অনেকেই শহিদ হন। এই শহিদদের স্মরণে নির্মিত হয় শহিদ মিনার। আমরা প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে গিয়ে তাদের শ্রদ্ধা জানাই। ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ মনে করিয়ে দেয় আমাদের সেই গানের কথা—‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’ দেশের সব শ্রেণির মানুষ ভাষাশহিদদের প্রতি সম্মান জানায়। আমরা তাঁদের ত্যাগ কোনোদিন ভুলব না।
মন্তব্য : ভাষাশহিদদের মহান আত্মত্যাগের কল্যাণেই অর্জিত হয়েছে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার। তাঁদের রক্তের ঋণ কোনোদিন শোধ হওয়ার নয়। তাঁরাই আমাদের প্রেরণা ।
📝 উপসংহার (Conclusion): আপনি যদি এই ভাবসম্প্রসারণটি উপভোগ করে থাকেন, তাহলে StudyTika.com–এ আরও অনেক সহজ ও সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ রয়েছে — একবার দেখে নিতে পারেন। নতুন নতুন ভাবসম্প্রসারণ পড়তে আমাদের সাইটে ঘুরে আসুন!