বিদ্যুৎ কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ কী? | পরিবাহী পদার্থের প্রকারভেদ

আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, আমরা প্রতিদিন যে আলো জ্বালাই, পাখা ঘোরাই বা মোবাইল চার্জ দিই— সেসব কাজ কীভাবে সম্ভব হয়? 🤔 একটা অদৃশ্য শক্তি আছে, যা আমাদের জীবনকে এত সহজ ও সুন্দর করে তুলেছে। কিন্তু আসলে এই শক্তিটা কী? কেমন করে কাজ করে? আর এর কত প্রকার? আজকের এই পোস্টে আমরা খুব সহজ ভাষায় জানবো সেই রহস্যময় শক্তি সম্পর্কে, যা ছাড়া আমাদের আধুনিক জীবন প্রায় অসম্ভব! 🔌✨

বিদ্যুৎ কাকে বলে?(সহজ সংজ্ঞা)

বিদ্যুৎ কাকে বলে?

পরিবাহির/কন্ডাকটরের মধ্যে দিয়ে ইলেক্ট্রন প্রবাহের ফলে যে শক্তি সৃস্টি হয় তাকে বিদ্যুৎ বলে।

আরো বিস্তারিত বললে, বিদ্যুৎ হলো এক ধরনের শক্তি যা আমরা চোখে দেখতে পাই না, কিন্তু অনুভব করতে পারি। যখন কোনো পরিবাহকের (যেমন: তার, ধাতু) মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়, তখন যে শক্তি উৎপন্ন হয়, সেটিকেই বিদ্যুৎ বলে।

বিদ্যুৎ কত প্রকার?

বিদ্যুৎ মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে:

  • ১. স্থির বিদ্যুৎ (Static Electricity): এটি এমন এক ধরনের বিদ্যুৎ যা কোনো পদার্থের উপর জমে থাকে এবং প্রবাহিত হয় না। যেমন— চিরুনি দিয়ে শুকনো চুল আঁচড়ালে চুল দাঁড়িয়ে যায়।
  • ২. চল বিদ্যুৎ (Current Electricity): এটি হলো সেই বিদ্যুৎ যা পরিবাহকের মধ্য দিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। যেমন— আমাদের ঘরের বৈদ্যুতিক লাইট, ফ্যান ইত্যাদি।

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ কী?

যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে, অর্থাৎ বিদ্যুৎ প্রবাহে কোনো বাধা সৃষ্টি হয় না, তাকে বলা হয় পরিবাহী পদার্থ

পরিবাহী পদার্থের প্রকারভেদ

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়:

১. সু-পরিবাহী (Good Conductor):

যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজেই বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে, তাকে সু-পরিবাহী বলে। এদের পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ১, ২ বা ৩টি ইলেকট্রন থাকে।

উদাহরণ: তামা, সোনা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, পিতল, নিকেল, সীসা, রাং, প্লাটিনাম, ফসফর ব্রোঞ্জ, পারদ ইত্যাদি।

২. অর্ধ-পরিবাহী (Semi Conductor):

যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ আংশিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে, তাকে অর্ধ-পরিবাহী বলা হয়। এদের পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ৪টি ইলেকট্রন থাকে।

উদাহরণ: কার্বন, সিলিকন, মাইকা, কয়লা, জার্মেনিয়াম, ভিজে মাটি, ভিজে বাঁশ ইত্যাদি।

৩. কু-পরিবাহী (Insulator):

যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, তাকে কু-পরিবাহী বলা হয়। এদের পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ৫, ৬ বা ৭টি ইলেকট্রন থাকে।

উদাহরণ: ব্যাকেলাইট, অ্যাসবেস্টস, মার্বেল, পাথর, রাবার, চিনামাটি, তুলা, শুকনো কাগজ, শুকনো বাঁশ ইত্যাদি।

👉 সহজ কথায়: বিদ্যুৎ হলো এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সবকিছুতেই ব্যবহার হয় — আলো জ্বালাতে, পাখা ঘোরাতে, মোবাইল চার্জ দিতে এবং আরও অনেক কাজে।

তাহলে বন্ধু, এখন নিশ্চয়ই তুমি বিদ্যুৎ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলে — এটি কী, এর প্রকারভেদ এবং কোন কোন পদার্থে এটি সহজে প্রবাহিত হয়। 💡 বিদ্যুৎ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এর মৌলিক ধারণা জানা খুব দরকার। আরও এমন সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক লেখা পড়তে ভিজিট করো আমাদের ওয়েবসাইট StudyTika.com 🌐 — যেখানে প্রতিদিন তুমি পাবে নতুন কিছু শেখার সুযোগ! 📚✨

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.