বন্ধুরা, তুমি কি কখনও ভেবেছো, কীভাবে আমরা দুটি বাক্যকে একত্রে বা দুটি অংশকে যুক্ত করতে পারি? বা কখনো শুনেছো “আর”, “বা”, “কিন্তু”, “কারণ” এই ধরনের শব্দগুলো কিন্তু কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? আসলে এই শব্দগুলোই আমাদের বাক্যকে আরও সুন্দর, স্পষ্ট এবং বোঝার যোগ্য করে তোলে। আজকের এই পোস্টে আমরা এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি যা তোমার বাংলা ব্যাকরণের জ্ঞানকে আরও শক্তিশালী করবে। তাহলে আসো, একসাথে সহজভাবে জানি যোজক সম্পর্কে সবকিছু।
যোজক কাকে বলে?
যে ব্যক্তি বা চিহ্ন একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্য বা বাক্যের একটি অংশের সঙ্গে অন্য অংশকে সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে যোজক বলে। উদাহরণ: "লাবনী আর মিলন আপন ভাইবোন।"
যোজকের শ্রেণিবিভাগ
১. সাধারণ যোজক
এ ধরনের যোজক দুটি শব্দ বা দুটি বাক্যকে যুক্ত করে।
- দুটো শব্দের সংযোগ: "আলম আর জয়দেব একে অন্যের বন্ধু।"
 - দুটো বাক্যের সংযোগ: "আমাদের সমাজ আর ওদের সমাজ এক নয়।"
 
২. বৈকল্পিক যোজক
এ ধরনের যোজক একাধিক শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বিকল্প নির্দেশ করে। উদাহরণ: "নীল বা হলুদ, যে কোন রং হলেই চলবে।"
৩. বিরোধমূলক যোজক
এ ধরনের যোজক দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটায় এবং দ্বিতীয় বাক্য প্রথমের বক্তব্যের সংশোধন বা বিরোধ নির্দেশ করে। উদাহরণ: "তোমাকে অনেক চিঠি লিখেছি, কিন্তু একটিরও উত্তর পাইনি।"
৪. কারণবাচক যোজক
এ ধরনের যোজক দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ ঘটায় যার একটি বাক্য অন্যটির কারণ নির্দেশ করে। উদাহরণ: "নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, কারণ অবরোধ-হরতাল।"
৫. সাপেক্ষ যোজক
এ ধরনের যোজক একে অন্যের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। প্রথাগত ব্যাকরণে এগুলো শর্তবাচক, সাপেক্ষ বা নিত্যসম্বন্ধী অব্যয় নামে পরিচিত। উদাহরণ: "যত গর্জে তত বর্ষে না।"
উপসংহার
এভাবে আমরা আজ শিখলাম যোজক কাকে বলে, যোজকের প্রকারভেদ এবং উদাহরণসহ তা। আশা করি তোমরা এটি সহজে বুঝতে পেরেছ। যদি আজকের এই তথ্যটি তোমার কাছে ভালো লেগে থাকে, তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারো। এছাড়া আরও নিত্যনতুন শিক্ষামূলক পোস্ট পেতে আমাদের StudyTika.com-এ দেখতেই থাকবে।