আপনি কি কখনো ভেবেছেন, সাধারণ ভাষায় লেখা কিছু কি এত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে? আমাদের চারপাশের অনেক লেখা আছে—ক্লাসের বই, গল্প, প্রবন্ধ—সবই কিন্তু একই ধরনের নয়। কখনো আমরা সহজে কিছু পড়তে চাই, আবার কখনো আমাদের জটিল কিছু বোঝার চেষ্টা থাকে। আজকের এই পোস্টে আমরা এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব যা প্রতিদিন আমাদের পড়া এবং লেখার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এটি বুঝলে আপনি আপনার লেখা এবং পড়া আরও সুন্দরভাবে করতে পারবেন। পুরো পোস্টটি পড়ুন, অনেক সুন্দর তথ্য এবং উদাহরণ পাবেন যা আপনার বোঝাকে আরও সহজ করবে।
গদ্য কাকে বলে?
সহজ ভাষায় লেখা বা বলা সাহিত্য যা স্বাভাবিক কথার প্রবাহ অনুসরণ করে এবং ছন্দ বা নির্দিষ্ট কাঠামোর চাপ নেই, এটাকেই গদ্য বলে।
আরো বিস্তারিত বললে, গদ্য হলো সাধারণ ভাষায় লেখা বা বলা সাহিত্য যা স্বাভাবিক কথার প্রবাহ অনুসরণ করে। এটি কবিতা থেকে ভিন্ন, কারণ এতে ছন্দ বা নির্দিষ্ট কাঠামোর চাপে থাকা লাগে না। গদ্যের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সহজ বোধ্যতা এবং স্বাভাবিক প্রকাশভঙ্গি।
গদ্যের বৈশিষ্ট্য
১. স্বাভাবিকতা
গদ্য দৈনন্দিন কথার মতো স্বাভাবিক ভাষা ব্যবহার করে। এতে কবিতার মতো সুনির্দিষ্ট ছন্দ বা কাঠামোর বাধ্যবাধকতা থাকে না।
২. ব্যাকরণগত কাঠামো
গদ্য সাধারণ ব্যাকরণগত নিয়ম এবং বাক্য বিন্যাস অনুসরণ করে। এটি লেখাকে সহজে বোঝা যায় এমন করে তোলে।
৩. বিস্তৃত পরিসর
গদ্য বলতে সাধারণ কথোপকথন, গল্প, গল্পের অংশ, বা আনুষ্ঠানিক প্রবন্ধ সবই অন্তর্ভুক্ত। এটি খুবই বহুমুখী।
৪. কাব্যিক গঠন থেকে ভিন্নতা
গদ্য কবিতার থেকে আলাদা, কারণ কবিতায় নির্দিষ্ট শৈল্পিক কাঠামো, ছন্দ ও মিল থাকে, যা গদ্যে প্রয়োজন হয় না।
৫. প্রকাশভঙ্গি
গদ্য সাধারণত তথ্য জানানো বা বিষয় ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে কবিতা অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে।