আপনি কি কখনও ভাবেছেন, যেসব জিনিস আমাদের চারপাশে থাকে, যেমন সাবান বা রান্নাঘরের কিছু রাসায়নিক, তা কীভাবে কাজ করে? আজ আমরা এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, যা রাসায়নির শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, এবং এটি বোঝা সত্যিই মজার। আর আপনি যদি পুরো বিষয়টা ভালোভাবে জানতে চান, তবে শেষ পর্যন্ত পড়তেই হবে।
ক্ষার কাকে বলে?
যেসব যৌগে ধাতু বা ধাতুর মতো সক্রিয় মৌল থাকে এবং যেগুলো হাইড্রোক্সাইড (OH) যৌগ হিসেবে পানিতে দ্রবণীয়, সেগুলোকেই ক্ষার বলে। অর্থাৎ, যেকোনো ক্ষারে অবশ্যই হাইড্রোক্সাইড আয়ন থাকবে এবং সেটি পানিতে সহজেই মিশে যাবে।
ক্ষারের উদাহরণ
কিছু সাধারণ ক্ষার হলো – সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH), এবং অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH4OH)।
ক্ষারের বৈশিষ্ট্যসমূহ
1. ধাতব লবণের সাথে বিক্রিয়া
বেশিরভাগ ধাতব লবণের জলীয় দ্রবণে ক্ষার যোগ করলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং ধাতুর হাইড্রোক্সাইডের অধঃক্ষেপ তৈরি হয়।
2. সাবানের মতো পিচ্ছিল
ক্ষারের জলীয় দ্রবণ ছুঁলে সাবানের মতো পিচ্ছিল মনে হয়। কারণ এতে হাইড্রোক্সাইড আয়ন থাকে, যা ত্বকের চর্বির সাথে বিক্রিয়া করে সাবানের মতো অনুভূতি দেয়।
3. বিদ্যুৎ পরিবাহিতা
ক্ষারের জলীয় দ্রবণ বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সম্পন্ন। কারণ এতে আয়ন থাকে, যা বিদ্যুৎ পরিবহন করতে সক্ষম।
4. হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে
ক্ষার যখন পানিতে দ্রবীভূত হয়, তখন এটি হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH⁻) উৎপন্ন করে। এই আয়নের জন্যই ক্ষার লাল লিটমাস কাগজকে নীল করে দেয়।
5. পানিতে দ্রবণীয়
ক্ষার সহজেই পানিতে মিশে যায়। সব ক্ষারই পানিতে দ্রবণীয় এবং স্বচ্ছ দ্রবণ তৈরি করে।
6. অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া
ক্ষার অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। এটি একটি নিরপেক্ষকরণ বিক্রিয়া।
এখন আপনি ক্ষারের মূল ধারণা ও এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে সহজভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে। আরও এমন শিক্ষামূলক এবং সহজে বোধ্য পোস্ট পড়তে চাইলে, দয়া করে StudyTika.com-এ ভিজিট করুন। এখানে আরও অনেক মজার এবং দরকারী পোস্ট আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।