আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই বোনেরা আপনি অথবা আপনার আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কেও অসুস্থ হয়েছে, তাই না? আর এজন্য আপনি নানানরকম ঔষধ এর ব্যাপারে জানার চেষ্ট করছেন। তার মধ্যে একটি হলো B Dexa। এই মেডিসিন এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো B Dexa এর কাজ কি,B Dexa কিসের ঔষধ,B Dexa এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, B Dexa খাওয়ার নিয়ম,B Dexa এর দাম। আশা করি আপনি এই রিলেটেড সকল তথ্য জানতে পারবেন।
সবার এই বিষয়ে খুব সুন্দর ধারণা ও জ্ঞান থাকা উচিত। তো চলুন পড়ে নেওয়া যাক আজকের এই ঔষধ এর ব্যাপারে। যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ মেসেজ করুন। এবং B Dexa ঔষধ এর ব্যাপারে সকল না বোঝা জিনিস খুলে বলবেন।
B Dexa এর কাজ কি?
সহজ ভাষায়: B Dexa ট্যাবলেট অনেক ধরনের অসুখের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। এটি এলার্জি, হাঁপানি, ত্বকের নানা রোগ, আর্থ্রাইটিস, ক্যান্সার, মস্তিষ্কের সমস্যা, চোখের প্রদাহ, কিডনির রোগ, ফুসফুসের সমস্যা এবং রিউমাটিক রোগে সাহায্য করে। যখন সাধারণ ওষুধ কাজ না করে বা অসুখ খুব গুরুতর হয়, তখন এই ট্যাবলেট দেওয়া হয়। এটি শরীরে প্রদাহ কমায় এবং রোগের লক্ষণ হালকা করে।
B Dexa এর দাম কত?
B Dexa ট্যাবলেট প্রতি পিসের দামঃ ০.৫০ টাকা। এই দাম একটু কম বেশি হতে পারে। আপনি বাজারে গিয়ে একদম সঠিক দামটি জানতে পারবেন। আশা করি এই দামটিই ঠিক।
B Dexa খাওয়ার নিয়ম কি?
B Dexa ট্যাবলেট সাধারণভাবে রোগের ধরণ এবং রোগীর অবস্থার ওপর গ-কোকটিকয়েডের মাত্রা নির্ভর করে। ওষুধ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে আশানুরূপ ফলাফল না পেলে গ—কোকটিকয়েড চালিয়ে যাবার প্রয়োজন নেই। দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনে সবচেয়ে কম মাত্রায় কার্যকরী
- পরিমান গ- কোকটিকয়েড সেবা। ট্যাবলেট: ১। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিদিন ১ মি.গ্রা. থেকে ১০ মি.গ্রা. পর্যন্ত সেব্য।
- শিশুদের ক্ষেত্রে ০.০৩০.২০ মি.গ্রা./কেজি দৈহিক ওজন হিসেবে প্রতিদিন সেব্য।
- কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে উচ্চ মাত্রায় ডেক্সামেথাসন সেব্য। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী মাত্রা কমাতে হবে।
- সাপ্রেশন টেস্ট: সকাল ১১টায় ১ মি.গ্রা. ডেক্সামেথাসন দেয়া হয় এবং পরদিন সকালে পাজমা কর্টিসন পরিমাপ করা হয়। যে সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রে কর্টিসনের পরিমান কমে না, ০.৫ মি.গ্রা. ডেক্সামেথাসন ৬ ঘন্টা পর পর ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৪৮ ঘন্টায় ২ মি.গ্রা. করে ৬ ঘন্টা পরপর দেয়া হয়। টেস্টের আগে, টেস্টের সময় এবং পরে ২৪ ঘন্টার প্রস্রাব পরীক্ষা করে ১৭ আলফা-হাইড্রোক্সিকটিকয়েডের পরিমাপ করা হয়।
- ইঞ্জেকশন:ডেক্সামেথাসন ইঞ্জেকশন ইন্ট্রাভেনাস (আইভি),ইন্ট্রামাস্কুলার (আইএম) অথবা লোকাল ইঞ্জেকশন হিসেবে প্রয়োগ করা যায়। ডেক্সামেথাসন ইঞ্জেকশন ইনফিউশন ফ্লুইড এর সাথে মিশ্রিত করে অথবা সরাসরি ইনফিউশন লাইনে প্রয়োগ করা যায়। অধিক মাত্রায় ৬২ শিরায় প্রয়োগ করা হলে কয়েক মিনিট ধরে প্রয়োগ করতে হবে। সাবকিউটেনিয়াস এডিপোস টিস্যুর এ্যাট্রফি প্রতিরোধ করার জন্য ইন্ট্রামাস্কুলার ইঞ্জেকশন গভীর মাংসপেশীতে প্রয়োগ করতে হবে।
- যেহেতু গ—কোকটিকয়েড ইনফেকশন এর প্রতি প্রতিরোধকে কমিয়ে দেয়, তাই ইন্ট্রা-আর্টিকুলার ইঞ্জেকশন হিসেবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে জীবাণুমুক্ত অবস্থা বজায় রাখতে হবে। ডেক্সামেথাসন বিভিন্ন ইনফিউশন ফ্লুইডের সাথে মিশ্রিত করা হলে এর সরবিটল ৫%, রিঙ্গার'স সলিউশন, হার্টম্যান'স সলিউশন (রিঙ্গার-ল্যাকটেট) ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় ।
- কার্যকারিতা কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অক্ষুণœ থাকে। ইনফিউশন ফ্লুইড হিসেবে সোডিয়াম ক্লোরাইড ০.৯%, এনহাইড্রাস গ—কোজ ৫%, ইনভার্ট সুগার ১০%,রোগের তীব্রতা এবং রোগীর ওষুধের প্রতি সংবেদনশীলতার উপর নির্ভর করে ডেক্সামেথাসন
- ইঞ্জেকশন এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে সিস্টেমিক থেরাপি হিসেবে ০.০৫-০.২০ মি.গ্রা./ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে। জরুরী অবস্থায় (এনাফাইলেকসিস, একিউট সিভিয়ার অ্যাজমা, সেরেব্রাল ইডিমা) অধিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। প্রাথমিক মাত্রায় ১০-২০ মি.গ্রা. আইভি প্রয়োগ করতে হবে, তারপর ৬ মি.গ্রা. আইডি অথবা আইএম প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর প্রয়োগ করতে হবে। পর্যাপ্ত উপশমের পরপরই ব্যবহার মাত্রা ধাপে ধাপে কমিয়ে দিতে হবে।
- লোকাল থেরাপি-এর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত মাত্ৰা সমূহ নির্দেশিতইটো আর্টিকুলারলিঃ ২-৪ মি.গ্রা. বড় এবং ০.৮-১ মি.গ্রা. ছোট অস্থিসন্ধিতে ইন্ট্রা-বারশালিঃ ২-৪ মি.গ্রা. টেনডন সিথ-এঃ ০.৪ ১ মি.গ্রা. এ সকল ক্ষেত্রে ইনজেকশন্ ৩-৫ দিন হতে ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বিভিন্ন কারনে ঔষধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে।
- ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ঔষধ গ্রহন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
B Dexa এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?
দীর্ঘমেয়াদী সেবনে নিম্নলিখিত প্রতিক্রিয়াসমূহ দেখা দিতে পারেঃ
• এন্ডোক্রাইন এবং মেটাবলিক সমস্যা: কুশিং লাইক সিন্ড্রোম, হারসুটিসম, অনিয়মিত রক্তস্রাব, প্রিম্যাচিওর এপিফিসিয়াল ক্লোসার, সেকেন্ডারী এড্রেনোকর্টিকাল এবং পিটুইটারী আনরেসপনসিভনেস, গ্লুকোজ টলারেন্স কমে যাওয়া, নেগেটিভ নাইট্রোজেন এবং ক্যালসিয়াম ব্যালেন্স।
• ফ্লুইড এবং ইলেকট্রোলাইট জনিত সমস্যা: সোডিয়াম এবং ফ্লুইড রিটেনশন, উচ্চরক্তচাপ, পটাসিয়াম ঘাটতি, হাইপোক্যালেমিক অ্যালকালোসিস।
• পেশী ও কঙ্কালতন্ত্র- এর উপর প্রভাব: মায়োপ্যাথি,পেট ফুলে যাওয়া, অস্টিওপোরোসিস, ফিমোরাল এবং হিউমোরাল হেডস্ এর এসেপ্টিক নেক্রোসিস। পরিপাকতন্ত্র- এর উপর প্রভাব: গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার, পারফোরেশন, রক্তপাত।
ত্বক এর উপর প্রভাব: দেরীতে ঘা শুকানো, ত্বকের এ্যাট্রফি, স্ট্রায়া, পেটেচি এবং ইকাইমোসেস, ত্বকেরলালচে দাগ, অতিরিক্ত ঘাম, ব্রন। • কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র - এর উপর প্রভাব: ইউফোরিয়া,অন্যান্য মানসিক সমস্যা, খিঁচুনী, শিশুদের ক্ষেত্রে সিউডোমটর সেরেরি এর সাথে বমি এবং পেপিলোইডিমা।
• চোখ - এর উপর প্রভাব: গ্লুকোমা, ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার বেড়ে যাওয়া, পোস্টেরিয়র সাবক্যাপসুলার ক্যাটারেক্ট।
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রশমণ এর উপর প্রভাব: -সহজেই জীবাণু সংক্রমণের প্রবনতা, ত্বকের পরীক্ষা এবং টিকার কার্যকারিতা কমে যাওয়া।
Also Read: B Cort এর কাজ কি?
আশা করি আপনাদের এই বিষয়টি ‘B Dexa এর কাজ কি,B Dexa খাওয়ার নিয়ম,B Dexa এর দাম কত,B Dexa এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি’ ভালো লেগেছে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি B Dexa এর বিষয়ে আরো কিছু জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ সরাসরি মেসেজ করুন। আমাদের ফেইসবুক পেইজর লিংক। যদি ভালো লেগে তাহলে অন্য পোস্ট পড়তে ভুলবেন না।
নোট: এই সব তথ্য ইন্টারনেট ও অন্যান্য জায়গা থেকে সংগ্রহিত। তাই কোনো তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হলে এই ওয়েবসাইট এর কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। আর যদি পারেন তাহলে ভুল এর একটি Screenshot দিয়ে মেসেজ করুন।