গুনিতক কাকে বলে?
একটি সংখ্যাকে যদি কোন পূর্ণসংখ্যা দ্বারা গুন করা হয়, তাহলে যে সকল সংখ্যা পাওয়া যায়, সেগুলোকে ঐ সংখ্যার গুনিতক বলে।
গুনিতকের নামতা
সাধারণভাবে আমরা যে নামতা ব্যবহার করি তা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার গুনিতক। যেমন:
- ৭×১ = ৭
- ৭×২ = ১৪
- ৭×৩ = ২১
- ৭×৪ = ২৮
- ৭×৫ = ৩৫
এখানে- ৭, ১৪, ২১, ২৮, ৩৫ সংখ্যাগুলো ৭ এর গুনিতক।
গুণিতক এর উদাহরণ
যেমন- ৭ কে ৫ দ্বারা গুন করলে ফলাফল- ৩৫ হয়। এখানে ৩৫ সংখ্যাটি ৭ এর গুনিতক।
গুনিতকের বৈশিষ্ট্য
- জোড় সংখ্যার গুনিতক জোড় সংখ্যাই হয়।
- একটি সংখ্যার গুনিতক দিয়ে তার গুণনীয়ককে ভাগ করলে একটি মূলদ সংখ্যা পাওয়া যায়।
- শূন্য (০) সংখ্যাটি সকল সংখ্যার গুনিতক।
- গণিতে পূর্ণসংখ্যার গুনিতক দেখানো হলেও দশমিক সংখ্যারও গুনিতক হয়।
- প্রতিটি সংখ্যা নিজেই নিজের গুনিতক। যেমন- ৫ সংখ্যাটি ৫ এর, ৮ সংখ্যাটি ৮ এর গুনিতক।
- সকল সংখ্যারই গুনিতক অসীম হয়। কারণ সংখ্যার কোন শেষ সীমা নেই।
সাধারণ গুনিতক কাকে বলে?
দুটি সংখ্যার গুনিতকগুলোর মধ্যে একই বা সাধারন গুনিতক থাকলে সেগুলোকে সাধারন গুনিতক বলা হয়। যেমন:
- ৩ এর গুনিতক – ৩, ৬, ৯, ১২, ১৫
- ৬ এর গুনিতক – ৬, ১২, ১৮, ২৪
এখানে, ৩ ও ৬ এর গুনিতকে ৬ এবং ১২ উভয় সংখ্যার গুনিতক রয়েছে। তাই ৬ ও ১২ দুইটি সংখ্যার সাধারন গুনিতক।
লঘিষ্ঠ সাধারন গুনিতক কাকে বলে?
দুটি সংখ্যার সাধারন গুনিতকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সংখ্যাকে লঘিষ্ঠ সাধারন গুনিতক বা ল.সা.গু বলা হয়।
উপরোক্ত ৩ ও ৬ সংখ্যা দুটির সাধারন গুনিতকের মধ্যে ৬ সংখ্যাটি লঘিষ্ঠ সাধারন গুনিতক।
গণিতে গুনিতকের প্রয়োগ
৪ ও ৬ এর সাধারন গুনিতক ও ল.সা.গু নির্ধারণ করুন।
- ৪ এর গুনিতক- ৪, ৮, ১২, ১৬, ২০, ২৪, ২৮, ৩২, ৩৬
- ৬ এর গুনিতক- ৬, ১২, ১৮, ২৪, ৩০, ৩৬
এখানে, ৪ ও ৬ এর সাধারন গুনিতক – ১২, ২৪, ৩৬ এবং নির্ধারণ ল.সা.গু – ১২ কারণ, সাধারন গুনিতকগুলোর মধ্যে ১২ সবচেয়ে ছোট।
গুনিতক সম্পর্কে জানার পর আমরা বুঝতে পারি এটি আমাদের গণিত শেখার জন্য খুবই উপকারী। গুনিতক, সাধারন গুনিতক এবং লঘিষ্ঠ সাধারন গুনিতক সম্পর্কে জানলে সমস্যা সমাধানে সাহায্য হয়। আরও নতুন নতুন তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে আরও পোস্ট পড়ুন।