এই ব্লগপোস্টে আপনি পাবেন এক অসাধারণ ভাবসম্প্রসারণ যার শিরোনাম "হাত জোড় করে নয়, হাত মুঠো করেও নয়, পেতে হলে হাত লাগাতে হবে"। ভাবসম্প্রসারণটি খুব সহজ এবং সুন্দর ভাষায় লেখা, যা পড়তে খুবই মনোরম। আশা করি আপনি পড়তে পড়তে ভেবে উঠবেন ভাবসম্প্রসারণের মজার কথা এবং ভালো লাগবে।
হাত জোড় করে নয়, হাত মুঠো করেও নয়,পেতে হলে হাত লাগাতে হবে
মূলভাব : সফলতাই হলো জীবন। যে জীবনে সফলতার বিদ্যুতের ঝলকানি নেই সে জীবন নিশ্চেষ্ট, নিষ্ক্রিয়, নিষ্প্রাণ। ব্যর্থতার দুর্ভেদ্য আঁধারই তার জীবনের একমাত্র সম্বল। সফলতা চলমান সময়ের পথ নির্বাচন করে।
সম্প্রসারিত ভাব : সাফল্যই জীবন। সাফল্যই মানবিক অভীপ্সা। নিষ্ক্রিয়, নিশ্চেষ্ট জীবনে নেই সফলতার বিদ্যুৎ ঝলকানি। ব্যর্থতার দুর্ভেদ্য অন্ধকারই তার ভাগ্যের একমাত্র সঞ্চয়। সক্রিয় মানুষ তা মেনে নেয় না। প্রয়োজন হয় সফলতার পথটি নির্ণয় করা। ব্যক্তির সহজাত প্রবৃত্তি, আত্মবল ও মননের সঙ্গে আকাঙ্খিত লক্ষ্যের সংযোগ ঘটানো প্রয়োজন, এ সংযোগ রেখাই সেই পথ। দুস্তর বাধা, দুর্গম দূরত্ব, বিভেদী আবহ সেই পথে নিরন্তর দৃশ্য হতে পারে। এ সব মেনে নিয়েই যেটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় তা হল ব্যক্তির প্রকৃতিগত মানসতা। মানসতাই অভিমুখিতাকে সঠিক পথ নির্বাচন করায়।
জীবনে মানুষের জন্য অনেক কিছুই প্রয়োজনীয়। যেমন—খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান যেমন দৈনন্দিন জীবনের জন্য দরকারি, তেমনি স্বাধীনতা, অধিকার ও স্বীকৃতির মতো মানসিক ও নৈতিক প্রয়োজনও জরুরি। কিন্তু সমাজে জাত, শ্রেণি, অর্থ ও সামাজিক বিভাজন অনেক সময় মানুষকে অসমতা ও শোষণের শিকার করে তোলে। সাধারণ অথচ সংখ্যায় বেশি মানুষই এই বৈষম্যের বোঝা বয়ে বেড়ায়। মানুষের প্রকৃত উন্নতির জন্য দরকার এই অসাম্যের প্রাচীর ভেঙে দিয়ে স্বাধিকারের জায়গা প্রতিষ্ঠা করা। তবে শুধু প্রার্থনা বা ভিক্ষার আশায় বসে থাকলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। আত্মশক্তির অভাব, অলসতা বা অন্যের করুণা নির্ভরতা দিয়ে কখনও সাফল্য আসে না। ভিক্ষা কখনও সম্মানের পথ হতে পারে না। যারা ভিক্ষায় বিশ্বাস করে না, তারা প্রতিবাদ করে, পরিবর্তনের পথ খোঁজে। তবে শুধু আবেগে প্রতিবাদ করলেই হবে না, যদি তাতে পরিশ্রম ও যোগ্যতার মেলবন্ধন না থাকে, তবে সেই দাবী অর্থহীন হয়ে পড়ে। সফলতার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম। ভিক্ষা নয়, ফাঁকা দাবিও নয়—সফলতা আসে একমাত্র শ্রম আর আত্মনির্ভরতার মাধ্যমে। একজন মানুষ তার চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার মিল ঘটাতে চাইলে তার মানসিকতা হতে হবে ইতিবাচক ও কর্মপ্রবণ। এই সচেতন মনোভাব শুধু ব্যক্তিগত নয়, জাতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একটি জাতির স্বপ্ন তখনই বাস্তবে রূপ পায়, যখন সেই জাতি পরিশ্রমে বিশ্বাস করে। পরনির্ভরতা বা অহংকার দিয়ে কখনও উন্নয়ন হয় না। তাই চাই নিষ্ঠাবান শ্রম ও আত্মনির্ভরতা। শ্রমশক্তিই সফলতার প্রতীক ও অঙ্গীকার।
মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের চাহিদা থাকে। এ চাহিদা পূরণের জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য। পরিশ্রম ছাড়া স্বনির্ভরতা সম্ভব নয়।
উপসংহার (Conclusion): আমাদের এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। StudyTika.com-এ আরও অনেক সুন্দর ও সহজ ভাবসম্প্রসারণ রয়েছে, যা আপনি নিশ্চয় পছন্দ করবেন। অন্য ভাবসম্প্রসারণ পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখুন।