এই ব্লগপোস্টে রয়েছে একটি সুন্দর ও শিক্ষামূলক ভাবসম্প্রসারণ — "আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর"। সহজ ভাষায় লেখা এই ভাবসম্প্রসারণটি আপনার পড়তে ভালো লাগবে। চলো তবে পুরোটা পড়ে নিই!
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর,আপন করিতে কাদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর
মূলভাব : মহানুভবতা ও সহনশীলতা মানবজাতির বিশেষ গুণ। এই গুণের প্রভাবে মানুষ অন্যের দেওয়া দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে, পরকে ভালোবেসে আপন করে পৃথিবীকে সুন্দর ও শান্তিময় করে গড়ে তোলে।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো সে ভাবতে পারে, যেকোনো বিষয়ে চিন্তা করতে পারে। এই চিন্তা ও ভাবা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। পৃথিবীতে মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের বেশি কিছু ভাবতে হয় না। তাদের চিন্তাভাবনা, বাঁচা-মরা এবং আহার-দাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু একজন মানুষ প্রকৃত অর্থে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য অনেক গুণাবলীর অধিকারী হতে হয়। কারণ মানুষ সামাজিক জীব; সমাজের সঙ্গে মিলেমিশে বাঁচতেই হয়। সমাজের বাইরে থেকে কেউ সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে না। তবে সমাজের সবাই একই রকম মানসিকতার নয়। কেউ বদমেজাজি হতে পারে, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে পারে, যা ব্যক্তি বা সমাজের বড় ক্ষতি ডেকে আনে। তখন সহনশীলতার গুণের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি পড়ে। কারণ ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতা মানুষকে মহোত্তম পর্যায়ে উন্নীত করে। পারস্পরিক শত্রুতা পরিহার করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করতে পারলেই সমাজজীবনে শান্তি বিরাজ করবে। নিজেদের মধ্যে ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে একে অপরকে ভালোবাসতে পারলে সুন্দর ও মঙ্গলময় সমাজ গড়ে উঠবে।
মহানুভবতা মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ। সমাজের সর্বক্ষেত্রে মহানুভবতার পরিচয় দিতে পারলেই সমাজজীবন সার্থক ও সুন্দর হবে।
আশা করি এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। আরও এমন সহজ ও সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে ভিজিট করুন আমার ওয়েবসাইট 👉 StudyTika.com।