এই ব্লগপোস্টে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ — “অন্য খরচের চেয়ে বাজে খরচেই মানুষকে চেনা যায়, কারণ মানুষ ব্যয় করে বাঁধা নিয়ম অনুসারে, অপব্যয় করে নিজের খেয়ালে”। সহজ ভাষায় লেখা এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়লে আপনি এর গভীরতা বুঝতে পারবেন খুব সহজে। পুরোটা পড়ুন—ভালো লাগবে আশা করি।
অন্য খরচের চেয়ে বাজে খরচেই মানুষকে চেনা যায়, কারণ মানুষ ব্যয় করে বাঁধা নিয়ম অনুসারে, অপব্যয় করে নিজের খেয়ালে
মূলভাব : যে মানুষ নৈমিত্তিক প্রয়োজন অনুসারে খরচ করেন তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বোঝা দুরূহ। যেমন যিনি সাংসারিক কারণে প্রতিদিন বাজার করেন সেটা তার প্রাত্যহিক কর্তব্য। তার বৈশিষ্ট্য আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু যিনি উল্লিখিত কাজগুলোর পাশাপাশি অপব্যয় করেন তার অপব্যয় হয় বইকেনা, ভ্রমণ বা ছবিসংগ্রহে।
সম্প্রসারিত ভাব : প্রাত্যহিক জীবনের অপরিহার্য চাহিদা পূরণে হিসেবি মন ব্যস্ত থাকে। দৈনন্দিন জীবনের হিসাব-নিকাশ মেলাতে গিয়ে এই মন বাঁধা পড়ে ছকবাঁধা বাধ্যবাধকতায়। হিসেবি মানুষের জীবনে থাকে না স্বাধীন বিচরণের সুযোগ, ফলে তাদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য প্রায় একইরকম হয়ে ওঠে। তাদের মনের স্বাধীনতা কম এবং বিচিত্র ভাবনার অভাব থাকে। অপরদিকে, বেহিসেবি মানুষ স্বভাব ও আচরণে সম্পূর্ণ আলাদা। তাদের দৈনন্দিন ব্যয়েই ফুটে ওঠে তাদের প্রকৃত চরিত্র। তারা ছকবাঁধা সংসার জীবন পছন্দ করে না। কেউ সংসারবিহীন উদাসীন বাউল, কেউ মানবকল্যাণে অর্থ খরচ করে দেন। তারা কৃপণ বা স্বার্থপর নয়। তবে কেউ যদি শুধু বিলাসিতার জন্য বাজে খরচ করেন, তা উচ্ছৃঙ্খলতার দৃষ্টান্ত। আবার, সৌন্দর্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিপ্রেমিক মানুষ অভাব-অনটনের মধ্যেও বেহিসেবি খরচ করতে পারেন দেশভ্রমণ, বই কেনা বা শিল্পকলা সংগ্রহে।
মন্তব্য : বস্তুত খরচের মধ্যেই মানুষের মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। ফুটে ওঠে তার ব্যক্তিগত মানসপ্রবণতা, যা তার স্বাতন্ত্র্যের পরিচায়ক ।
ভাবসম্প্রসারণটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আরও সহজ ও সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে ভিজিট করুন আমার ওয়েবসাইট StudyTika.com। এখানে Class 6 থেকে HSC পর্যন্ত অনেক দরকারি ভাবসম্প্রসারণ দেওয়া আছে—সবই সহজ ভাষায়।