🌸 ভূমিকা: এই ব্লগপোস্টে রয়েছে একটি সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ – "পরের অভাব মনে করিলে চিন্তন, আপন অভাব ক্ষোভ থাকে কতক্ষণ?"। সহজ ও পরিষ্কার ভাষায় লেখা হয়েছে, যাতে তুমি একবার পড়লে পুরোটা বুঝতে পারো। চলো, দেখে নিই!
পরের অভাব মনে করিলে চিন্তন,আপন অভাব ক্ষোভ থাকে কতক্ষণ?
মূলভাব : জীবন ও অভাব যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। মানবজীবনে অভাববের শেষ নেই। এটা মানবজীবনের এক ভয়ানক রোগ। কিন্তু অন্যের অভাবের কথা ভাবলে নিজের অভাবের চিন্তা অনেকটা কমে আসে।
সম্প্রসারিত ভাব : জীবনের সংগ্রামে মানুষ নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় এত ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে, অন্যের কথা ভাবার সময় থাকে না। টিকে থাকার লড়াইয়ের কারণে মানুষের মধ্যে অভাবের অনুভূতি জন্মায়। যেমন, বাসার ব্যবস্থা করার পর সেটাকে সুন্দর করার জন্য নতুন নতুন আসবাবপত্র কেনার দরকার পড়ে। আবার একটু সময় গেলে পুরনো জিনিস বদলানোর ইচ্ছা হয়—এই মনোভাব থেকেই অভাবের সৃষ্টি হয়। এই অভাবের তাড়নায় মানুষ প্রতিনিয়ত আরও বেশি কিছু পাওয়ার চেষ্টা করে। যার যা আছে, তার চাইতে আরও চাইতে থাকে। এই মানসিকতাই মানুষকে অর্থের পেছনে ছুটতে বাধ্য করে, অন্য কারো কথা ভাবার সময় বা মন থাকে না। কিন্তু আসলে অনেক মানুষ অভাবের কারণে দিনে দু’মুঠো ভাত জুটিয়ে খেতে পারেনা, অনাহারে কষ্ট পায়। তাদের সন্তান, মা-বাবা, প্রিয়জনরা দারিদ্র্যের সীমার নিচে বাস করছে। তারা নিরাপদ বাসস্থান, খাবার, পানি বা সামাজিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। আমরা এসবের দিকে খেয়াল না দিয়ে শুধু নিজের অভাবকেই বড় ভাবি। নিজের অভাব নিয়ে চিন্তা করলে সত্যিকার সুখ পাওয়া যায় না। যদি আমরা নিজের অভাব না দেখে সমাজের নির্যাতিত, দুঃস্থ মানুষের কষ্ট দেখে সহানুভূতি রাখি, তাহলে আমাদের অভাববোধ অনেকটা কমে আসবে।
মন্তব্য : অভাব মূলত প্রয়োজনবোধের অনুভূতি। আত্মতৃপ্ত থেকে অন্যের অভাবকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করলে নিজের অভাব অনেকাংশে হালকা হয়।
🌿 উপসংহার: এই ভাবসম্প্রসারণ যদি ভালো লাগে, তাহলে StudyTika.com-এ আরও অনেক সহজ ভাবসম্প্রসারণ আছে তোমার জন্য। আরও পড়তে ভিজিট করো 👉 StudyTika.com – পড়ালেখা হোক আরও সহজ!