ভাবসম্প্রসারণঃ সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত [Class 6 7 8 9 10 ‍SSC HSC] | জ্ঞানশক্তি অর্জনিই শিক্ষার উদ্দেশ্য

 🌸 ভূমিকা: এই ব্লগপোস্টে একটি সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ দেওয়া হয়েছে – “সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত | জ্ঞানশক্তি অর্জনিই শিক্ষার উদ্দেশ্য”। খুব সহজ ভাষায় এখানে ভাবসম্প্রসারণটি দেওয়া হয়েছে, যা ক্লাস ৬ থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সবাই খুব সহজেই পড়তে এবং বুঝতে পারবে। আশা করি তুমি পুরোটা মন দিয়ে পড়বে।

ভাবসম্প্রসারণঃ সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত [Class 6 7 8 9 10 ‍SSC HSC] | জ্ঞানশক্তি অর্জনিই শিক্ষার উদ্দেশ্য

ভাবসম্প্রসারণঃ সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত

মূলভাব : শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত হলেই তাকে শিক্ষিত বলা যাবে না। সুশিক্ষিত হতে হলে তার মধ্যে সৃজনশীল অনুভূতি থাকা প্রয়োজন।

সম্প্রসারিত ভাব : শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ শিক্ষিত হয়ে উঠে। মানব জীবন সুগঠন ও সুন্দর বিকাশের জন্য শিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। শিক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামোর ভিতর দিয়ে শিক্ষা অর্জনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। আর এ শিক্ষা অর্জন করেই শিক্ষিত মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে শিক্ষা অর্জিত হলেও শিক্ষার সীমা সেখানে শেষ হয়ে যায় না। শিক্ষার পূর্ণতার দিকে অগ্রসর হতে হলে মানুষকে নিজস্ব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। স্বশিক্ষা বা নিজে নিজে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হয় বেশি জ্ঞানের জন্য।

শিক্ষা অর্জনের জন্য নানা ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে ডিগ্রি অর্জন করে এবং শিক্ষিত হিসেবে পরিচিত হয়। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের একটি সীমাবদ্ধতা আছে—তারা কেবল নির্দিষ্ট ডিগ্রি প্রদান করেই দায়িত্ব শেষ করে। অথচ শিক্ষার পরিধি অনেক বিস্তৃত, যা কোনো প্রতিষ্ঠানের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব নয়। জ্ঞানের জগৎ এত বিশাল যে, তা কেবল পাঠ্যপুস্তকের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করা যায় না। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে গিয়েও একজন মানুষকে জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা একজনকে শিক্ষিত পরিচিতি দিতে পারে, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজ প্রচেষ্টা, মনোযোগ ও সাধনার বিকল্প নেই। বলা হয়, "বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পরই প্রকৃত শিক্ষা শুরু হয়।" কারণ তখন মানুষ নিজ উদ্যোগে জ্ঞান অর্জন করতে শেখে। আত্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে যিনি শিক্ষিত হন, তিনিই সত্যিকারের সুশিক্ষিত হয়ে উঠেন। সুশিক্ষা অর্জনের জন্য নিরন্তর অনুশীলন, সাধনা ও নিজের আগ্রহ জরুরি। স্বশিক্ষাই একজন মানুষকে প্রকৃত অর্থে আলোকিত করে তোলে। আর যারা এই পথে এগিয়ে চলে, তারাই প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ হিসেবে সমাজে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

এই ভাবসম্প্রসারণটি অন্য বই থেকেও সংগ্রহ করে দেয়া হলো

ভাব-সম্প্রসারণ : প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপটে প্রকৃতি থেকে অর্জিত শিক্ষা-এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কারণ সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ হয়ে যায়, কিন্তু শিক্ষার কোনো সীমা বা পরিসীমা নেই। শিক্ষার পূর্ণতার দিকে অগ্রসর হতে হলে মানুষকে নিজস্ব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এবং সুশিক্ষিত হওয়ার জন্যে স্বশিক্ষা বা নিজে নিজে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানশক্তি অর্জন করা।

শিক্ষা একটি সম্পূর্ণ অর্জননির্ভর প্রক্রিয়া, যা নিরলস চেষ্টার মাধ্যমে লাভ করতে হয়। এই শিক্ষালাভের জন্যে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে ডিগ্রি অর্জন করে এবং শিক্ষিত হিসেবে পরিচিত হয়। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের একটি সীমাবদ্ধতা হলো—তারা শুধু নির্দিষ্ট ডিগ্রি প্রদান করেই দায়িত্ব শেষ করে। প্রকৃত শিক্ষা বা জ্ঞানের পূর্ণতা কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে আসে না। আত্মপ্রচেষ্টা ছাড়া জ্ঞানকে আত্মস্থ করা সম্ভব নয়। কারণ, শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলমান একটি প্রক্রিয়া। তাই গভীরভাবে জ্ঞানচর্চা ছাড়া কেউ সত্যিকারের সুশিক্ষিত হতে পারে না। আমাদের সমাজে অনেকেই আছেন যাদের উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে, কিন্তু তারা দেশের বা সমাজের কোনো উপকারে আসেননি। কারণ, তারা আত্ম-উন্নয়ন ও মুক্তচিন্তার চর্চা করেননি। অন্যদিকে, এমন অনেক স্বশিক্ষিত মানুষ আছেন, যাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছাড়াও বিশ্বমানবতার জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। যেমন: সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো, নিউটন, গ্যালিলিও, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম—তাঁরা সবাই আত্মশিক্ষার মাধ্যমে সুশিক্ষিত হয়ে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। একজন সত্যিকারের সুশিক্ষিত ব্যক্তি মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী হন, যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক হন, রুচিসম্পন্ন, উদার ও বিনম্র হয়ে ওঠেন। এ ধরনের আলোকিত মানুষই একটি জাতির উন্নয়নের প্রধান সম্পদ। তাই দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত মানুষের কোনো বিকল্প নেই।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে যথার্থ জ্ঞানার্জনের জন্যে জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করতে হয়। সুশিক্ষার জন্যে নিজের উদ্যোগের প্রয়োজন হয়। একমাত্র স্বশিক্ষার মাধ্যমেই সুশিক্ষিত হয়ে ওঠা সম্ভব। সেজন্যে সারা জীবন ধরে মানুষের জ্ঞানসাধনা চলে।

🌟 উপসংহার: এই ভাবসম্প্রসারণ তোমার ভালো লেগেছে তো? আরও সহজ এবং সুন্দর ভাবসম্প্রসারণ পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট StudyTika.com-এ চলে আসো। অধিক পড়াশোনার জন্য আমাদের সাথেই থাকো।

Getting Info...

إرسال تعليق

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.