এই ব্লগপোস্টে সহজ ও সুন্দর ভাষায় একটি ভাবসম্প্রসারণ দেওয়া হয়েছে — “সাধনা নাই, যাতনা নাই”। পড়লেই মন ভালো হয়ে যাবে। আশা করি আপনি পুরোটা মন দিয়ে পড়বেন।
সাধনা নাই, যাতনা নাই
জগতে দুঃখ-কষ্ট আছে এবং থাকবে কিন্তু দৃঢ় প্রতিশ্রুতি, প্রবল চেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমে সকল দুঃখ-কষ্ট-যাতনাকে জয় করতে পারলে কোনো যাতনাই থাকবে না।
জগতে মানুষের জীবন খুবই জটিল। প্রতিনিয়ত এখানে মানুষের জীবন নানা সমস্যা, দুঃখ-কষ্ট আর বিরূপতার মাঝে পতিত হয়ে থাকে। তাই মানুষকে কণ্টকাকীর্ণ এবং বন্ধুর পথ পরিক্রমার জীবন অতিবাহিত করতে হয়। তবে মানুষ কেবল দুঃখ-যন্ত্রণা আর বাধা-বিপত্তির দাস, এমন ভাবারও কোনো কারণ নেই। নিজের আত্মপ্রয়াস, দৃঢ় সংকল্প ও নিরলস সাধনার মাধ্যমে মানুষ যেকোনো কষ্টকেই জয় করতে সক্ষম। মানুষের সাহস ও সাধনার কাছে কোনো বাধাই চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন আত্মনিয়োগ ও কঠোর অনুশীলন। সাধনা না থাকলে জীবনের কণ্টকাকীর্ণ পথে মানুষকে বারবার নানা প্রতিবন্ধকতা, হতাশা ও অশুভ শক্তির মুখোমুখি হতে হয়। যাদের মাঝে কর্মস্পৃহা নেই, যারা অলস ও উদ্যমহীন—তারা এসব বিপদে সহজেই ভেঙে পড়ে। তখন তাদের কাছে জীবন হয়ে ওঠে এক বিশৃঙ্খল, হতাশায় ভরা দুনিয়া। তাদের পথ হয়ে পড়ে ঝঞ্ঝাপূর্ণ ও বিক্ষুব্ধ। এই বাস্তবতা জাতীয় জীবনের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। কোনো জাতি যখন শ্রমবিমুখ, দিশাহীন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অক্ষম হয়ে পড়ে, তখন তার উন্নয়নের পথ থমকে যায়। প্রতিযোগিতার দৌঁড়ে তারা পিছিয়ে পড়ে, আর একের পর এক সংকট ও বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে জাতি ধীরে ধীরে অধঃপতনের দিকে গড়িয়ে যায়।
জীবনে সমস্যা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যাকে জয় করার জন্য সাধনার কোনো বিকল্প নেই। আর কঠোর সাধনার কাছে কোনো সমস্যা আর যাতনাই গুরুত্ব পায় না।
আপনি যদি এই ভাবসম্প্রসারণ পছন্দ করে থাকেন, তাহলে আরও অনেক ভালো ভাবসম্প্রসারণ পড়তে পারেন StudyTika.com এ। সহজ ভাষায় অনেক ভালো ভাবসম্প্রসারণ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।