প্রিয় পাঠক, বিজ্ঞান জগতের অন্যতম মজার বিষয় হলো 'পরমাণু'। এটি মৌলিক পদার্থের সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণা, যা মৌলের সব গুণাবলী ধারণ করে। সহজ ভাষায়, পরমাণু হলো সেই উপাদান যা আমাদের চারপাশের সব কিছু তৈরি করে।
আজকের পোস্টে, আমরা পরমাণুর গঠন, তার বিভিন্ন অংশ এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানব। আশা করি, আপনি পুরো পোস্টটি পড়ে পরমাণু সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন!
পরমাণু কাকে বলে?
মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ অক্ষুন্ন থাকে তাকে পরমাণু বলে ।
পরমাণু হলো যে কোনো মৌলিক পদার্থের সবচেয়ে ছোট অংশ, যার মধ্যে ঐ মৌলিক পদার্থের সব গুণাগুণ ঠিক থাকে। এটি অত্যন্ত ছোট একটি কণা, যা একা থাকতে পারে না কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।
প্রথমে ধারণা করা হতো যে পরমাণু অবিভাজ্য, অর্থাৎ এটি আর ছোট করা সম্ভব নয়। তবে আধুনিক বিজ্ঞানে জানা গেছে যে পরমাণুর ভিতরেও প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন নামক ছোট কণা থাকে।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, নাইট্রোজেন (N) এবং অক্সিজেন (O)। নাইট্রোজেনের পরমাণুতে নাইট্রোজেনের সব বৈশিষ্ট্য থাকে, যেমন নাইট্রোজেনের ধর্ম। ঠিক তেমনি, অক্সিজেনের পরমাণুতে থাকে অক্সিজেনের ধর্ম।
প্রতিটি পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস, যেখানে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে। নিউক্লিয়াসের চারপাশে ইলেকট্রনগুলো ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকে। প্রোটন পজিটিভ চার্জযুক্ত, নিউট্রন চার্জহীন, আর ইলেকট্রন নেগেটিভ চার্জযুক্ত।
পরমাণুর গুরুত্ব
পরমাণু পৃথিবীর সব পদার্থের মূল ভিত্তি। প্রতিটি পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরি। প্রতিটি পরমাণু একে অপরের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নতুন পদার্থ তৈরি করে।
যেমন, যখন দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু একটি অক্সিজেন পরমাণুর সাথে বিক্রিয়া করে, তখন আমরা পানির (H2O) সৃষ্টি দেখতে পাই।
এভাবেই আমাদের চারপাশের সমস্ত বস্তু পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত।
পরমাণু যদি না থাকতো, তবে কোনো পদার্থই তৈরি হতে পারতো না, আর আমাদের পৃথিবীও অস্তিত্বে থাকতো না।
অতএব, পরমাণু আমাদের পৃথিবীর সব পদার্থের মূল ভিত্তি। এটি না থাকলে আমাদের জীবন ও চারপাশের সবকিছু অস্তিত্বে আসত না। আশা করি, এই পোস্টটি পড়ে আপনি পরমাণুর গুরুত্ব এবং গঠন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। আরও শিক্ষামূলক পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসতে ভুলবেন না!