ভূমিকা: জল সংকট আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই রচনায় আমরা জল সংকট সম্পর্কে আলোচনা করেছি সহজ ও সুন্দর ভাষায়। এটি পড়লে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। চলুন, রচনাটি পড়ে দেখি!
জল সংকট রচনা
ভূমিকা : জলের অপর নাম জীবন, জল ছাড়া গোটা পৃথিবী অচল। পৃথিবীর সৃষ্টির আদিতে সম্পূর্ণ গ্রহ ছিল জলাময়। তারপর স্থল ভাগ একাংশ দখল করলেও তিনভাগ জলেরই রয়ে গেছে। কিন্তু আজ, কালের করাল গ্রাসে, পৃথিবীতে দেখা দিচ্ছে জলের তীব্র সংকট। নাগরিক সভ্যতার লোভ-লালসায়, জলময় পৃথিবী হতে চলেছে তপ্ত মরুভূমি।
জলের ব্যবহার/প্রতিদিনের জীবনে জল : মানব জীবনের সঙ্গে এক সুতোয় বাঁধা রয়েছে জল। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে, রাতের ঘুমানোর আগে পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে জল আমাদের অতি প্রয়োজনীয়। যেমন- ১. ঘুম থেকে ওঠার পর প্রাতঃক্রিয়া করার জন্য; ২. তরিতরকারি ধোয়ার জন্য; ৩. জামাকাপড় ধোয়া এবং স্নানের জন্য; ৪. পানের জন্য; এছাড়া কৃষিকাজ, শিল্পকর্ম, কল-কারখানা এবং পরিবহনসহ সকল ক্ষেত্রেই জল অপরিহার্য।
জল সংকট : অদ্ভুত এক আঁধার আজ পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। অত্যধিক জনস্ফীতি এবং ভৌম জলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আজ বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি করছে তীব্র জল সংকট। জল সংকটের প্রধান কারণগুলি হল – অত্যাধিক ভৌত জলের ব্যবহার, পাম্পের সাহায্যে প্রচুর পরিমাণে জল তোলা, কলকারখানা ও কৃষি ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ভৌত জলের ব্যবহার। এছাড়া কল-কারখানা ও নগরের বর্জ্যপদার্থ নদী সমুগ্রে মিশে বাড়ছে জল দূষণ, রাসায়নিক-কীটনাশক মিশে জল হয়ে উঠছে দূষিত।
জল সংকট নিরসনের উপায় : পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য, আমাদের এখনই জল সংকট নিরসনের কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে – বিনা কারণে ভৌম জলের অপচয় রোধ করতে হবে, জলাশয়ে আবর্জনা ফেলা যাবে না, গবাদিপশুকে জলে স্নান করানো যাবে না, বিনা কারণে ট্যাপ কল খুলে রাখা চলবে না, অযাচিতভাবে জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে পাম্পের সাহায্যে জল তোলা বন্ধ করতে হবে।
উপসংহার : জল ছাড়া জীবন অচল। জলহীন জীবন কল্পনাই করা যায় না। তাই জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে এবং জলের দূষণও বন্ধ করতে হবে। এরমাধ্যমেই আমরা আগামী প্রজন্মকে সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারবো।
এই রচনাটি তোমার উপকারে এলে, আমাদের ওয়েবসাইট StudyTika.com-এ আরও অনেক রচনা রয়েছে। সেগুলোও পড়তে ভুলবে না!